সাদা মেঘের দেশে

শামসুল আলম 8946 বার পঠিত

পাখিদের যখন দেখি মনে হয় ওদের জীবন কত সুন্দর! মুক্ত বিহঙ্গ উন্মুক্ত গগনে যখন উড়ে বেড়ায়, নির্মল পবনে ভেসে বেড়ানোর সে দৃশ্য ভুবনবাসী অবাক হয়ে কেবল উপভোগই করে। রং-বেরঙের পাখিরা যখন কিচিমিচির করে ঘরের পাশ দিয়ে উড়ে যেতে দেখি, তখন মনে হয় আমিও যদি ওদের সাথে যেতে পারতাম! পাখির একটা গল্প মনে পড়ে যায়। বিখ্যাত তাফসীরে কাশশাফ এর লেখকের একটি গল্প রয়েছে। লেখক এর পূর্ণনাম আবুল কাসেম মাহমূদ বিন ওমর যামাখশারী আল-খারেযামী (৪৬৭-৫৩৮ হিঃ) যিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন উযবেকস্থানের যামাখশারে। তিনি নাকি একবার শিক্ষার  উদ্দেশ্যে বোখারায় গমন করার পর বাহনে থেকে পড়ে গিয়ে তিনি এক পা হারান। তিনি বলতেন, ছোট বেলায় আমি একটি চড়ুই পাখি ধরি ও তার পায়ে রশি বাঁধি। পরে সে হাত থেকে ছুটে গিয়ে একটি গর্তে ঢুকে পড়ে। তখন আমি রশি ধরে টান দিলে তার পা-টি ছিঁড়ে যায়। তাতে মা আমাকে বদ দো‘আ করে বলেন, তোর একটা পা কাটা যাক, যেমন তুই পাখির একটা পা তুই  কেটেছিস! আমি  মনে করি বাহন থেকে পড়ে গিয়ে আমার একটা পা কেটে ফেলা সেদিনের চড়ুই পাখির একটা পা ছিঁড়ে যাওয়ার শাস্তি’।

ড. গালিব স্যারের তাফসীরুল কুরআনে যখন কাহিনীটি পড়লাম আমারও ছোটকালের সেই চড়ুই পাখি, দোয়েল, শালিক আরও কত পাখি গুলতি দিয়ে মারার স্মৃতি জাগ্রত হ’ল। এখন মনে হয়, কতই না ভুল করেছি। তবে মা আমাকে বদ দো‘আ করেননি। আমাদের গ্রামে প্রসিদ্ধ একটি মাঠের নাম ছিল কাঠাল বাগান। তার একটির নাম গোয়াল বাথান। কী ঘন জঙ্গল সেই মাঠের চতুর্পার্শ্বে! স্কুল শেষে বিকেলে গ্রামের সহপাঠিদের নিয়ে গুলতি এবং সাথে পোষা একটি কুকুর নিয়ে কত যে কাঠবিড়ালী মেরেছি। বন্ধুদের কেউ গাছে উঠত আবার কেউ নিচ থেকে ইট অথবা মেঠো শক্ত ঢিল ছুঁড়ে দিতাম বাবলার সরু চিকন ডালে। আমার নিখুঁত ছোড়া এক ঢিলের আঘাতে কাঠবিড়ালিটি মাটিতে পড়ে যেত, আর ততক্ষণে শিকারী কুকুর তো ছিলই, কিন্তু তার আগে আমরা প্রতিযোগিতা করতাম কে ওটা আগে লাঠি বা ঢিল দিয়ে মারতে পারি। আমরা যখন তাকে ধরাশায়ী করতাম, সকলে মিলে কতই না আনন্দ করতাম। মুহূর্তেই সাথে থাকা কুকুরটি ওকে ধরে খেয়ে ফেলত।

ছোটবেলার সেই স্মৃতি আজ কষ্টের সঙ্গে মনে পড়ে যায়। মাদরাসার একাডেমিক ভবনে ক্লাসের অবসরে প্রায়শই চোখ চলে যায় প্রকৃতির পানে। গাছে গাছে কাঠবিড়ালী আর পাখিরা নিশ্চিন্তে কীভাবে ঘুরে-ফিরে আর উড়ে বেড়ায়। কাকেরা ডিম পাড়ার আগে কি চমৎকার বাসা তৈরী করেছে! আর বাবুইয়ের বাসা তো আরও চমৎকার। ভাবি আল্লাহ এদের এত জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েছেন! এরপর সেই বাসায় ডিম পাড়ে, বাচ্চা হয়। অতঃপর বাচ্চাগুলো আস্তে আস্তে বড় হয়। অতঃপর একদিন দেখি তারা কীভাবে এক ডাল থেকে আর এক ডালে ছুটে বেড়াচ্ছে। অবাক করা বিষয়, উড়াল হাওয়ার সময় যদি একবার এরা নিচে পড়ে যায় তাহলে নিশ্চিত কুকুর-বিড়ালের কবলে অথবা ছোটকালের আমার মত পাষান ছেলেরা টেনে হিঁচড়ে এক পর্যায়ে মেরে ফেলবে। ভাবি ওদের বাবা-মা বাচ্চাদের কীভাবে মুখে মুখে খাবার দিচ্ছে। কঠিন প্রতিকূল পরিবেশে কাকের মত কত পাখিরা তাদের বাচ্চা নিয়ে এভাবে দিন রজনী পার করছে। ওদের প্রতি আল্লাহর কত করুণা! তাইতো আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তারা কি দেখে না উড়ন্ত পাখিগুলোর দিকে? যারা তাদের ডানা সমূহ বিস্তৃত করে ও সংকুচিত করে। তাদেরকে শূন্যে ধরে রাখেন কেবল দয়াময় আল্লাহ। নিশ্চয় তিনি সকল বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা’ (মুলক ১৯)। অথচ শক্তিশালী মানুষ মুহূর্তের জন্য হলেও কি এমন অবস্থানে থাকতে পারে? তবে একথা সত্য যে, দেশে-বিদেশে যুদ্ধে অথবা রাষ্ট্রীয় যুলমের কারণে অথবা বেঁচে থাকার কোন উপকরণ না থাকায় তাদের (বিশেষত মুসলমানরা) জীবন যেন এই পশু-পাখির চেয়ে খারাপ। পশু-পাখিরা তা-ও খাবার জুটিয়ে নেয় কিন্তু আজ মানুষেরা খাবার পাচ্ছে না। পাখির মত মানুষ মানুষকে মারছে। অনুরূপভাবে বর্তমানে করোনার কারণে দেশে-বিদেশে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর প্রহর গুণছে, তেমনি বন্দিদশায় কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে কাটাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ মারা গেছে করোনায়। আক্রান্ত হয়েছে পঞ্চাশ লাখেরও বেশী। এদের কোন চিকিৎসা নেই। অপরদিকে আমাদের সামনে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা। চারিদিকে লাশের গন্ধ। অনেকের ধারণা কোটি মানুষ মরতে পারে। আল্লাহ এই মহামারী থেকে আমাদের সকলকে হেফাযত করুন এবং এর বিনিময়ে আমাদেরকে ঈমানী শক্তি দান করুন। যাক যে কথা বলছিলাম। ঐ সমস্ত পাখিদের জীবন ও জীবিকার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ পাকের। অনুরূপ মানুষের রুযী-রুটি এবং বাচা-মরার দায়িত্বও আল্লাহর। আল্লাহ বলেন, ‘আর ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই যার রিযিক আল্লাহর যিম্মায় নেই’ (হূদ ১১/৬)। সুতরাং আমাদেরকে একমাত্র তাঁরই প্রতি অবনত হতে হবে এবং তাঁরই বিধান অনুসরণ করতে হবে।

এবার মূল গল্পে আসি। ছোটকালে ভাবতাম পাখিগুলো কীভাবে মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে, পাশাপাশি কিভাবে বিমানও উড়ছে। ভাবতাম পাখিগুলোর তো পাখা আছে। কিন্তু বিমানগুলোর তো পাখা নেই। শুনি পাখির শরীর যত ভারী তার চেয়ে পাখির ডানাগুলো নাকি আরও বেশী বাতাস নিয়ে উড়তে পারে। কিন্তু শতশত যাত্রী নিয়ে বিশাল ভারী যন্ত্রের ঐ বিমান কীভাবে উড়ে যাচ্ছে, তা সত্যিই বিস্মিত করত। আল্লাহ মানুষকে যে সামান্য জ্ঞান দিয়েছেন, তা দিয়েই সে কত অসাধ্যই না সাধন করেছে। মাত্র এক’শ বছর আগে পাখির মত উড়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৯০৩ সালে আমেরিকার রাইট ব্রাদারস (দু’সহোদর ভাই) এটি আবিষ্কার করেন। মনটা বড় ছটফট করে একবার যদি ঐ বিমানে চড়তে পারতাম। কীভাবে তা তৈরী, ভিতরটা কেমন, পাইলট তা জীবনের ঝুকি নিয়ে চালাচ্ছে, শূন্যে কেমন লাগে ইত্যাদি। প্রসঙ্গ এলে বন্ধুরা বলে ‘তুমি এখনও বিমানে চড়োনি? এখনও হজ্জও কর নি’? ইত্যাদি। তার মানে ওদের বিশ্বাস ইতোমধ্যে আমার যেন হজ্জ সম্পন্ন হয়ে গেছে। উত্তর দিতে একটু সংকোচ লাগত। যাক আল্লাহ যেন সে তাওফীক দ্রুত দান করেন, এই দোআ‘ই করি। ওরা আমার কথা বিশ্বাস করুক আর নাই করুক বিমানে আমাকে একবার উঠতেই হবে।

ভাগ্যক্রমে সে সুযোগটা ঘটেই গেল সেদিন। ঢাকায় অফিসিয়াল কাজ শেষ হয়েছে আগের রাতে। ভায়রা ভাই হাফেয আখতার মাদানী আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের  ৩০তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা ২০২০ উপলক্ষ্যে সঊদী আরব থেকে দেশে আসছেন। ঢাকায় নামার পর আবার কানেক্টিং ফ্লাইটে রাজশাহী যাবেন। তিনি আমাকে প্রস্তাব দিলেন একসাথে যাব কি-না। পরে তিনি ফোনে জানালেন আপনার বিমান টিকিট কনফার্ম হয়ে গেছে। আগামীকাল সকালে (২৬শে ফেব্রুয়ারী’২০) ফ্লাইট। আলহামদুলিল্লাহ অনেক দিনের একটা স্বপ্ন আল্লাহ তার মাধ্যমে পূরণ করালেন। মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁকে। তবে কৌতুহলী মন আনচান করা শুরু করে। কেমনে যাব, কিভাবে উঠবো, উঠে কী করব, উঠলে কেমন লাগবে ইত্যাদি নানা ভাবনা।

পরদিন সকালে শ্যালক আব্দুর রাকীব সোহাগের গুলশানস্থ (উত্তর বাড্ডা) বাসা থেকে ঢাকা বিমানবন্দর পৌঁছলাম। আজ আমার মনে অন্যরকম আমেজ। হ্যাঁ আমি আজ নিজেই বিমান যাত্রী! কত যে আত্মীয়ের বিদায় দিয়েছি এই বিমানবন্দর থেকে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু নিজে যাত্রী হওয়ার সুযোগ পাইনি কখনও। আজ সেই মুহূর্ত উপস্থিত। যাক সঊদী থেকে ফ্লাইট নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে আটটার আগে ল্যান্ড করল। মাদানী ছাহেব বের হলে তাঁর সাথে কোলাকুলি হ’ল। অতঃপর তাঁকে নিয়ে বিমান বন্দরের ডমেস্টিক টার্মিনালে প্রবেশ করলাম। ফ্লাইট বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরীতে ছিল। তাই দু’জনে অনেকক্ষণ গল্প-গুজব, খাওয়া-দাওয়া, ঘুরে-ফিরে কাটানোর সময় পাওয়া গেল। টার্মিনালের চিত্রটি খুব ভাল লাগল না। শত শত যাত্রীর ভীড়। বোঝা গেল, বিমানের যাত্রী এখন অনেক। এদেশের মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা এসেছে। তবে সড়ক পথে যানজটের যে অবস্থা, তাতে অর্থকষ্ট হ’লেও মানুষ বিমানকে বেছে নিচ্ছে। কেউ সময় বাঁচানোর জন্য, কেউবা যরূরী কাজে। আমার মত শখে কয়জনই বা যাচ্ছে। হ্যাঁ, এক সময় ডাক পড়লো আমাদের। কত চেক, কত পরীক্ষা। মাদানী ছাহেবের ব্যাগে নাকি ধাতব বস্ত্তর শব্দ পেয়েছে। তার জন্য বেশ ভোগান্তি দিল ওরা। পরে দুঃখ প্রকাশ করল অবশ্য। আমাদেরকে প্রথমে বাসে উঠানো হল। বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিটে গিয়ে পৌঁছলাম কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিমানের এটি ছোট্ট ফ্লাইটের সামনে। অবশেষে উঠলাম স্বপ্নের সেই বিমানে। পাশাপাশি দু’জনে। ছোট জানালা দিয়ে বাইরে দেখি। স্টার্ট দিল বিমান। কিছুদূর গিয়ে আবার থামল। তারপর চূড়ান্ত যাত্রার পালা। হ্যাঁ, বিমানটি এবার সাঁই সাঁই করে মুহূর্তে উপরে উঠতে লাগল। তখন বেলা ২-১৫ মিনিট।

কি ব্যাপার! কেমন যেন লাগছে উপরে উঠতে। এবার জানালা দিয়ে নীচে তাকালাম। মনটা যেন ছ্যাঁত করে উঠল। হায় আল্লাহ, আমরা কোন শূন্যে হারিয়ে যাচ্ছি। ভাবনা জাগে যদি কোন সমস্যা হয় বিমানের! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভূমিতে আছড়ে পড়বে না তো! এবার আরও বেশী বেশী দো‘আ পড়তে থাকি। আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকি। তারপর ভাবলাম কিসের এত ভয়! আরও তো অনেকেই আছে। নাহ, ভয়ের কারণ নেই বলে নিজেকে আবার মনকে শক্ত করে বসলাম। মাদানী ছাহেব হেসে বলছেন, কেমন লাগছে বিমানে। এরপর তো বড় বিমানে উঠার পালা। নাকি? বললাম- আল্লাহ চাইলে হবে। আস্তে আস্তে ভয় কিছুটা কেটে গেল। ঢাকা শহর পার হয়ে গেল। ঘর-বাড়ি উঁচু উঁচু ভবন কত কি দৃশ্য। সবই যেন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে এক সময়ে হারিয়ে গেল জীবন্ত পৃথিবীর সব কিছু। মাদানী ভাইকে বলি এ কোথায় এলাম! ভূপৃষ্ঠ আর দেখা যাচ্ছে না যে! তিনি বললেন, এরকমই হয়। আরও ভাল করে দেখেন। হ্যাঁ, সত্যি এটাতো মনে হচ্ছে অন্য এক পৃথিবী! চারিদিকে শুধু মেঘ আর মেঘ। সাদা পেজা তুলার মত। উঁচু নিচু পাহাড়-পর্বতের মত সারি সারি সাজানো। এত চমৎকার তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। বাহ! তাহলে আমরা এখন মেঘের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। জানাল খোলা থাকলে হয়ত ভিজে যেতাম। কিন্তু এখানে সে সুযোগ নেই।

আমি মেঘমালার প্রেমে পড়ে গেলাম। আল্লাহু আকবার! চারিদিকে শুধু সাদা মেঘের মেলা! এত সুন্দর করে সাজানো থাকতে পারে তা আগে কখনও কল্পনা করিনি। বিমান থেকে স্বচক্ষে না দেখলে কেউ অনুভব করতে পারবে না। আমি যেন ওদেরই নিকটবর্তী এক বন্ধু। সূর্যের আলোতে যে কত রঙ ও কত বৈচিত্র্য রয়েছে, তা সিলেটের চা বাগান আর পাহাড় পর্বতের সৌন্দর্যকেও হার মানাবে। তবে এটা সবুজ নয়। বিচিত্র্যময় সাজে সুসজ্জিত। এ যেন সত্যি আরেক জগৎ। নাস্তা দেয়ার সময় বিমানের ক্রু শহীদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলাম- এ বিমানটি কত জন বহন করতে পারে? তিনি বললেন ৭৫ জন। এখন যাত্রী ৪৫ জন। বললাম, আমরা এখন কত উঁচুতে। বললেন এগার থেকে সাড়ে এগার হাযার ফুট উঁচুতে। আর এটিই সর্বোচ্চ। এর উপরে যায় না। আধা ঘন্টা পর পাইলট নওশাদ ছাহেব খুব দক্ষতার সাথে বিমানটি ল্যান্ড করাতে যাচ্ছেন। কাত হয়ে যায় বিমানটি। ভাবি বিমান কি এবার উল্টে যাবে? আমার গা ঘামতে লাগল। অবশেষে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর ২.৫০ মিনিটে বিমানটি ল্যান্ড করল।

এ বিমান সফরে আমার জীবনটি যে জন্য ধন্য হ’ল তা হ’ল- বৈচিত্র্যময় আকাশের রূপটি কাছ থেকে দেখা। প্রাণ ভরে উপভোগ করেছি সাদা মেঘে ভেলায় সাজানো ভুবনটি। যা কোনদিন ভোলার নয়। মনে হচ্ছে যেন ঐ মেঘমালা আমাকে আবার হাতছানি দিয়ে ডাকছে আর বলছে, এস বন্ধু এস, আবার আমাদের দেশে এস। আমি বলি, তোমাদেরকে ধন্যবাদ, তোমাদের খুব ভাল লেগেছে। ভাগ্যে যদি থাকে লেখা তবে দেখা হবে আবার ইনশাআল্লাহ।



আরও