নফল ইবাদতের গুরুত্ব (পূর্বে প্রকাশিতের পর)

জাহিদুল ইসলাম 17189 বার পঠিত

আযান দেওয়া :

নফল ইবাদতের অন্যতম হ’ল পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের আযান দেওয়া। আযানের অনেক গুরুত্ব বা ফযীলত রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

فَإِنَّهُ لاَ يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلاَ إِنْسٌ وَلاَ شَىْءٌ إِلاَّ شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-

‘মুয়াযযিনের আওয়াজ যে পর্যন্ত পৌছবে, ক্বিয়ামতের দিন ঐ স্থানের সকল জিন, মানুষ এবং প্রতিটি বস্ত্ত তার সাক্ষ্য প্রদান করবে’।[1] 

রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন,الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‘ক্বিয়ামতের দিন মুয়াযযিনদের ঘাড় সকলের চেয়ে লম্বা হবে’।[2]

রাসূল (ছাঃ) অন্যত্র বলেন,

الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَّ صَوْتِهِ وَيَسْتَغْفِرُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَشَاهِدُ الصَّلاَةِ يُكْتَبُ لَهُ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ حَسَنَةً وَيُكَفَّرُ عَنْهُ مَا بَيْنَهُمَا -

‘মুয়াযযিনের আযানের ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত সজীব ও নির্জীব সকল বস্ত্ত তার জন্য প্রার্থনা করে ও সাক্ষ্য প্রদান করে। ঐ আযান শুনে যে ব্যক্তি ছালাতে যোগ দিবে, সে ২৫ ওয়াক্ত ছালাতের সমপরিমাণ নেকী পাবে। মুয়াযযিন ও উক্ত মুছল্লীর সমপরিমাণ নেকী পাবে, এবং তার দুই আযানের মধ্যবর্তী সকল ছগীরা গুনাহ মাফ করা হবে’।[3]  তিনি আরো বলেন,  

مَنْ أَذَّنَ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَكُتِبَ لَهُ بِتَأْذِينِهِ فِى كُلِّ يَوْمٍ سِتُّونَ حَسَنَةً وَلِكُلِّ إِقَامَةٍ ثَلاَثُونَ حَسَنَة-           

‘যে ব্যক্তি বার বছর যাবত আযান দিল, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। তার প্রতি আযানের জন্য ৬০ নেকী ও এক্বামতের জন্য ৩০ নেকী লেখা হয়’।[4]

আযানের জওয়াব দেওয়া :

রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ قَالَ مِثْلَ هَذَا يَقِينًا دَخَلَ الْجَنَّةَ- ‘যে অন্তরের বিশ্বাস নিয়ে অনুরূপ (আযান) বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[5]

আযানের দোআ পড়া :

রাসূল (ছাঃ) বলেন, حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِى يَوْمَ الْقِيَامَة-ِ (যে ব্যক্তি আযান শেষে দরূদ ও দো‘আ পড়বে) ‘তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হবে’।[6]                                        

কুরআন তেলাওয়াত করা : কুরআন তেলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হয়। তেলাওয়াতকারীর পক্ষে কুরআন ক্বিয়ামতের দিন সুফারিশ করবে। হাদীছে এসেছে,

عَنْ عُثْمَانَ رضى الله عنه عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ.

উছমান বিন আফ্ফান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কুরআন শিখে ও অপরকে শিখায়’।[7]

ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, আমরা মসজিদের পিছনে বের হয়ে একটি স্থানে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় রাসূল (ছাঃ) বের হয়ে আসলেন এবং বললেন, তোমাদের কে চায় যে, প্রত্যহ সকালে বুতহান অথবা আকীক নামক বাজারে যাবে আর বড় কুঁজের অধিকারী দু’টি উটনী নিয়ে আসবে, কোন অপরাধ না করে ও আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন না করে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমরা প্রত্যেকে এমন সুযোগ গ্রহণ করতে চাই। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তবে কেন তোমাদের কোন ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে দু’টি আয়াত শিক্ষা দেয় না বা গ্রহণ করে না, অথচ এ কাজ তার জন্য উটনী অপেক্ষা উত্তম। তিন আয়াতে তিনটি, চার আয়াতে চারটি অপেক্ষা উত্তমভাবে যত পড়বে’।[8] হাদীছে এসেছে,

عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم َرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ.

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের কোন একটি অক্ষর পাঠ করবে তার জন্য একটি নেকী লেখা হবে। আর একটি নেকী দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আমি বলছি না ‘আলিফ-লাম-মীম, একটি অক্ষর’।[9] অত্র হাদীছ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তা‘আলা কুরআন তেলাওয়াতের বিনিময়ে প্রত্যেকটি নেকীকে দশগুণ বাড়িয়ে দিবেন। তাছাড়া ক্বিয়ামত দিবসে প্রতি আয়াত পাঠ করার মাধ্যমে জান্নাতের মর্যাদায় উত্তীর্ণ করা হবে। অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍوعَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِى الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَأُ بِهَا.

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। অক্ষর অক্ষর, শব্দ শব্দ স্পষ্টভাবে পাঠ করতে থাক যেভাবে দুনিয়ায় পাঠ করতে। কেননা তোমার জন্য জান্নাতে বসবাসের স্থান হচ্ছে তোমাদের তেলাওয়াতের শেষ আয়াতের নিকট’।[10]

তাছাড়া পবিত্র কুরআনে বিশেষ বিশেষ কিছু সূরা রয়েছে যেগুলো পাঠের মাধ্যমে অল্পতেই অধিক নেকী অর্জন ও জান্নাত লাভ করা যায়।

সুপারিশকারী হিসাবে কুরআন :

হাদীছে এসেছে,أَبُو أُمَامَةَ الْبَاهِلِىُّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لأَصْحَابِهِ- ‘আবু উমামা (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসূল (ছাঃ) বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন তেলাওয়াত করো। কেননা কুরআন ক্বিয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে’।[11]                        

আল্লাহর রাস্তায় দান :

আল্লাহর পথে আল্লাহর দেয়া রিযিক্ব থেকে ব্যয় করার মাধ্যমে বিশেষ রহমত পাওয়া যায়। আল্লাহ তা’আলা মুত্তাকীদের গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونََ-

‘যারা গায়েবে বিশ্বাস করে ও ছালাত কায়েম করে এবং আমরা তাদেরকে যে রূযী দান করেছি, তা থেকে ব্যয় করে’ (বাক্বারাহ ২/৩)।  হাদীছে আছে,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ نُودِىَ فِى الْجَنَّةِ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا خَيْرٌ. فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الصَّلاَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ-

‘আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জোড়া দান করবে, তাকে জান্নাতে প্রবেশের জন্য আহবান করা হবে। হে আল্লাহর বান্দা! এ কাজ উত্তম। যে ব্যক্তি ছালাত আদায়ে নিষ্ঠাবান, তাকে বাবুস ছালাত থেকে আহবান জানান হবে। যে ব্যক্তি মুজাহিদ, তাকে বাবুল জিহাদ থেকে আহবান জানান হবে। যে ব্যক্তি দানশীল, তাকে বাবুস ছাদাক্বা থেকে আহবান জানানো হবে। যে ব্যক্তি ছিয়াম পালনকারী তাকে বাবুর রাইয়ান থেকে আহবান জানানো হবে’।[12] অন্য একটি হাদীছে এসেছে,

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رضى الله عنه عَنِ النَّبِىِّ  صلى الله عليه وسلم  وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا صَنَعَتْ يَمِينُهُ وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَإِنْ تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ-                                 

‘আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি গোপনে ছাদাক্বা করল এমনভাবে যে তার ডান হাত যা ব্যয় করেছে বাম হাত তা জানতে পারেনি’।

 এবং আল্লাহর বাণী : ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে সাদকা কর তবে তা ভালো আর যদি তা গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্থকে দাও তবে তা তোমাদের জন্য আরো ভালো এবং তিনি তোমাদের কিছু কিছু পাপমোচন করবেন, তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্যক অবহিত’ (বাক্বারাহ ২/২৭১)।[13]

রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন,

وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ-

(ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে সাত শ্রেণীর লোক আল্লাহর ছায়ায় স্থান পাবে তন্মধ্যে) ‘যে ব্যক্তি গোপনে ছাদাক্বা করল এমনভাবে যে তার ডান হাত যা ব্যয় করেছে বাম হাত তা জানতে পারেনি’।[14]

প্রাণীতে দয়া :

ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলাম তাই প্রাণীর উপর দয়া করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছে।

হাদীছে এসেছে,عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رضى الله عنه عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ غُفِرَ لاِمْرَأَةٍ مُومِسَةٍ مَرَّتْ بِكَلْبٍ عَلَى رَأْسِ رَكِىٍّ يَلْهَثُ، قَالَ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ، فَنَزَعَتْ خُفَّهَا، فَأَوْثَقَتْهُ بِخِمَارِهَا ، فَنَزَعَتْ لَهُ مِنَ الْمَاءِ ، فَغُفِرَ لَهَا بِذَلِكَ- ‘আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জনৈক ব্যাভিচারিণীকে (এ কারণে) ক্ষমা করে দেওয়া হয় যে, একদা সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসায় তাকে মৃতপ্রায় করে দিয়েছিল। তখন ব্যাভিচারিণী মহিলাটি তার মোজা খুলে তাঁর উড়নার সাথে বাঁধল। তারপর সে (তা কূপে ছেড়ে দিয়ে) কূপ হ’তে পানি তুলে আনল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হল’।[15]

রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করা :

হাদীছে এসেছে,

أَبُو بَرْزَةَ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِىَّ اللَّهِ عَلِّمْنِى شَيْئًا أَنْتَفِعُ بِهِ قَالَ  اعْزِلِ الأَذَى عَنْ طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ-

আবু বারযাহ  (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি বললাম হে আল্লাহর নবী (ছাঃ)! আমাকে এমন একটি বিষয় শিক্ষা দিন যা দ্বারা আমি উপকৃত হ’তে পারি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তাহ’লে তুমি রাস্তা হ’তে কষ্টদায়ক বস্ত্ত দূর করে দাও’।[16] অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم قَالَ  لَقَدْ رَأَيْتُ رَجُلاً يَتَقَلَّبُ فِى الْجَنَّةِ فِى شَجَرَةٍ قَطَعَهَا مِنْ ظَهْرِ الطَّرِيقِ كَانَتْ تُؤْذِى النَّاسَ.       

আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি এক ব্যক্তিকে একটি গাছের কারণে জান্নাতে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। সে গাছটিকে কেটে রাস্তার উপর থেকে সরিয়েছিল যা মানুষকে কষ্ট দিত’।[17]

মসজিদ নির্মাণ করা :

মসজিদ নির্মাণ করা উত্তম ছাদাক্বার অন্যতম। হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  أَحَبُّ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ مَسَاجِدُهَا وَأَبْغَضُ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ أَسْوَاقُهَا-

‘আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহর নিকট স্থান সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয় স্থান হ’ল মসজিদ সমূহ। আর সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য স্থান হ’ল বাজার সমূহ’।[18]  অন্য একটি হাদীছে এসেছে,

فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ  مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِى الْجَنَّةِ مِثْلَهُ.

‘ওছমান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি অনুরূপ ঘর নির্মাণ করেন’।[19]

সুধী পাঠক আসুন! ফরয ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হই। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন-আমীন!

লেখক : অনার্স ৪র্থ বর্ষ, সরকারী কলেজ, সাতক্ষীরা।


[1]. বুখারী, মিশকাত হা/৬৫৬।                                              

[2]. মুসলিম হা/৮৭৮; মিশকাত হা/৬৫৪।                                        

[3]. ইবনু মাজাহ হা/৭৭৩; মিশকাত হা/৬৬৭।                                       

[4]. ইবনু মাজাহ হা/৭৭৭; মিশকাত হা/৬৭৮। 

[5]. নাসাঈ হা/৬৮২; মিশকাত হা/৬৭৬।                                                             

[6]. বুখারী হা/৪৭১৯; মিশকাত হা/৬৫৯।                                                                                          

[7]. বুখারী হা/৫০২৭।                                        

[8]. মিশকাত হা/২১১০।                                        

[9].তিরমিযী হা/৩১৫৮;মিশকাত হা/২১৩৭।                                                                                  

[10].তিরমিযী হা/ ৩১৬২;মিশকাত হা/২১৩৪।         

[11].মুসলিম, মিশকাত হা/২১২০।         

[12]. মুসলিম হা/২৪১৮; মিশকাত হা/১৮৯০।                               

[13]. বুখারী হা/১৩।                               

[14]. বুখারী হা/১৪২৩; মিশকাত হা /৭০১।                               

[15]. বুখারী হা/৩৩২১; মিশকাত হা/১৯০২।                               

[16]. মুসলিম হা/৬৮৩৯; মিশকাত হা/ ১৯০৬।                               

[17]. মুসলিম হা/৬৮৩৭; মিশকাত হা /১৯০৫।

[18]. মুসলিম হা/১৫৬০; মিশকাত হা/৬৯৬।                             

[19]. মুসলিম হা/১২১৮; মুসনাদে আহমাদ হা/৫০৬

 



বিষয়সমূহ: আমল
আরও