আল্লাহর পথে ব্যয়

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 699 বার পঠিত

আল-কুরআনুল কারীম :

1- يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْناكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لا بَيْعٌ فِيهِ وَلا خُلَّةٌ وَلا شَفاعَةٌ وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ-

‘হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোন বেচাকেনা, না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর কাফেররাই যালিম’ (বাকারা ২৯৪)

২- قُلْ لِعِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا يُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خِلَالٌ-

‘আমার বান্দাদের বল, যারা ঈমান এনেছে, যেন তারা ছালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন বেচা-কেনা থাকবে না এবং থাকবে না বন্ধুত্বও’ (ইবরাহীম ৩১)

- فَاتَّقُوا اللهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنْفِقُوا خَيْرًا لِأَنْفُسِكُمْ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

‘অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শ্রবণ কর, আনুগত্য কর এবং তোমাদের নিজেদের কল্যাণে ব্যয় কর, আর যাদেরকে   অন্তরের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়, তারাই মূলতঃ সফলকাম’ (তাগাবুন ১৬)

4- لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّ اللهَ بِهِ عَلِيمٌ-

‘তোমরা কখনো ছওয়াব অর্জন করতে পারবে না, যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে, যা তোমরা ভালবাস। আর যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে, তবে নিশ্চয় আল্ল­াহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত’ (আলে ইমরান ৯২)

৫- إِنَّ الْمُصَّدِّقِينَ وَالْمُصَّدِّقَاتِ وَأَقْرَضُوا اللهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ أَجْرٌ كَرِيمٌ-

‘নিশ্চয় দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারীগণ এবং যারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেয়, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান’ (হাদীদ ১৮)

৬- مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَاللهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ-

‘কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন। আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরানো হবে’ (বাকারা ২৪৫)

৭- إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتابَ اللهِ وَأَقامُوا الصَّلاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْناهُمْ سِرًّا وَعَلانِيَةً يَرْجُونَ تِجارَةً لَنْ تَبُورَ- لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ-

‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, ছালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিযিক দিয়েছেন তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না যাতে তিনি তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দান করেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল, মহানগুণগ্রাহী’ (ফাতির ২৯-৩০)।   

8- وَما أَنْفَقْتُمْ مِنْ نَفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُمْ مِنْ نَذْرٍ فَإِنَّ اللهَ يَعْلَمُهُ وَما لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصارٍ-إِنْ تُبْدُوا الصَّدَقاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِنْ تُخْفُوها وَتُؤْتُوهَا الْفُقَراءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنْكُمْ مِنْ سَيِّئاتِكُمْ وَاللهُ بِما تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ-

‘তোমরা যা কিছু ব্যয় কর অথবা যে কোন মানত কর তা অবশ্যই আল্লাহ জানেন। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। তোমরা যদি ছাদাকা প্রকাশ কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন কর এবং ফকীরদেরকে তা দাও, তাহলে তা তোমাদের জন্য অধিকতর উত্তম এবং (এর মাধ্যমে) তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত’ (বাক্বারাহ ২৭০-২৭১)

১০- وَمَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ وَتَثْبِيتًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَآتَتْ أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِنْ لَمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ-

‘আর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও নিজেদেরকে সুদৃঢ় রাখার লক্ষ্যে সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা উঁচু ভূমিতে অবস্থিত বাগানের মত, যাতে পড়েছে প্রবল বৃষ্টি। ফলে তা দ্বিগুণ ফল-ফলাদি উৎপন্ন করেছে। আর যদি তাতে প্রবল বৃষ্টি নাও পড়ে, তবে হালকা বৃষ্টি (যথেষ্ট)। আর আল্লাহ তোমরা যা আমল কর, সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা’ (বাক্বারা ২৬৫)

11- قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشاءُ مِنْ عِبادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ وَما أَنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْ ءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ-

‘বল, নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিযিকদাতা’ (সাবা ৩৯)

12- وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ-

‘আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় কর এবং নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। আর সৎকর্ম কর। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন’ (বাক্বারা ১৯৫)

১৩- مَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللهُ يُضاعِفُ لِمَنْ يَشاءُ وَاللهُ واسِعٌ عَلِيمٌ-

‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’ (বাক্বারা ২৬১)

14- يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تُبْطِلُوا صَدَقاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذى كَالَّذِي يُنْفِقُ مالَهُ رِئاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ-

‘হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেয়ার মাধ্যমে তোমাদের দানকে বাতিল করো না। সে ব্যক্তির মত, যে তার সম্পদ ব্যয় করে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি’ (বাক্বারা ২৬৪)

15- وَمَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوالَهُمُ ابْتِغاءَ مَرْضاتِ اللهِ وَتَثْبِيتاً مِنْ أَنْفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ أَصابَها وابِلٌ فَآتَتْ أُكُلَها ضِعْفَيْنِ فَإِنْ لَمْ يُصِبْها وابِلٌ فَطَلٌّ وَاللهُ بِما تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ-

আর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও নিজেদেরকে সুদৃঢ় রাখার লক্ষ্যে সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা উঁচু ভূমিতে অবস্থিত বাগানের মত, যাতে পড়েছে প্রবল বৃষ্টি। ফলে তা দ্বিগুণ ফল-ফলাদি উৎপন্ন করেছে। আর যদি তাতে প্রবল বৃষ্টি নাও পড়ে, তবে হালকা বৃষ্টি (যথেষ্ট)। আর আল্লাহ তোমরা যা আমল কর, সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা (বাক্বারা ২৬৫)

হাদীছে নববী থেকে :

17- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللهُ أَنْفِقْ يَا ابْنَ آدَمَ أُنْفِقْ عَلَيْكَ-

হাদীছে কুদসীতে রাসূল (ছঃ) বলেন, ‘আল্লাহ বলেন যে, তুমি ব্যয় কর হে আদম সন্তান! তাহলে আমি তোমার জন্য ব্যয় করব’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৬২)

18- عَنْ خُرَيْمِ بْنِ فَاتِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَنْفَقَ نَفَقَةً فِي سَبِيلِ اللهِ كُتِبَتْ لَهُ بِسَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কিছু দান করে, তার জন্য সাতশত গুণ নেকী লিপিবদ্ধ হয়’ (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৮২৬ সনদ ছহীহ)

20- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةََ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَبْعَة يُظِلُّهُمُ اللهُ تَعَالَى فِيْ ظِلِّهِ يَوْمَ الْقِيَامَة يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ .... وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَمْ تَعْلَمْ شِمَالُهُ مَا صَنَعَتْ يَمِيْنُهُ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাতজন ব্যক্তিকে আল্লাহ কিয়ামতের দিন ছায়া প্রদান করবেন, যে দিন তাঁর ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না...(তাদের একজন হল) ঐ ব্যক্তি যে এমন সংগোপনে দান করে যে, তার বাম হাতও জানতে পারে না যে, তার ডান হাত কি দান করেছে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭০১)

21- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةََ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ العِبَادُ فِيهِ إلاَّ مَلَكانِ يَنْزلاَنِ ، فَيقُولُ أحَدُهُمَا : اللهُمَّ أعْطِ مُنْفقاً خَلَفاً ، وَيَقُولُ الآخَرُ : اللهُمَّ أعْطِ مُمْسِكاً تلَفاً-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা আসমান থেকে অবতীর্ণ হন এবং আল্লাহর পথে ব্যয়কারী দানশীল মুমিনের জন্য দো‘আ করে বলেন, হে আল্লাহ! দানশীলকে আপনি তার পূর্ণ প্রতিদান দিন। অপরজন কৃপণের জন্য বদদো‘আ করে বলেন, হে আল্লাহ আপনি কৃপণকে ধ্বংস করুন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৬০)

22-عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ عَنْ أَهْلِهَا حَرَّ الْقُبُورِ، وَإِنَّمَا يَسْتَظِلُّ الْمُؤْمِنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي ظِلِّ صَدَقَتِهِ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই দান কবরের শাস্তিকে মিটিয়ে দেয় এবং ক্বিয়ামতের দিন মুমিন তার দানের ছায়াতলে ছায়া গ্রহণ করবে’ (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৮৪)

23- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللهُ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দান মানুষের সম্পদকে হ্রাস করে না। আর তা বান্দাকে ক্ষমা করে, তার মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করে। যে আল্লাহর ওয়াস্তে বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৮৯)

26- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার সকল আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল ব্যতীত- ছাদাক্বায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং সৎকর্মশীল সন্তান যে তার জন্য দো‘আ করে’ (মুসলিম হা/১৬৩১; আবুদাঊদ হা/২৮৮০)

27- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘গোপনে কৃত দান আল্লাহর ক্রোধকে নির্বাপিত করে দেয়’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৬০, ছহীহাহ হা/১৯০৮)

28- عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ َبَسُّمُكَ فِي وَجْهِ أَخِيكَ لَكَ صَدَقَةٌ وَأَمْرُكَ بِالْمَعْرُوفِ وَنَهْيُكَ عَنْ الْمُنْكَرِ صَدَقَةٌ وَإِرْشَادُكَ الرَّجُلَ فِي أَرْضِ الضَّلَالِ لَكَ صَدَقَةٌ وَبَصَرُكَ لِلرَّجُلِ الرَّدِيءِ الْبَصَرِ لَكَ صَدَقَةٌ وَإِمَاطَتُكَ الْحَجَرَ وَالشَّوْكَةَ وَالْعَظْمَ عَنْ الطَّرِيقِ لَكَ صَدَقَةٌ وَإِفْرَاغُكَ مِنْ دَلْوِكَ فِي دَلْوِ أَخِيكَ لَكَ صَدَقَةٌ -

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমার ভাইয়ের মুখের দিকে তোমার মুচকি হাসি, তোমার সৎকাজের নির্দেশ, অসৎকাজ থেকে নিষেধ, পথিককে পথ দেখানো, অন্ধব্যক্তিকে পথ দেখানো, রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা, হাড় প্রভৃতি অপসারণ, তোমার বালতি থেকে তোমার ভাইয়ের বালতিতে কিছু পানি ঢেলে দেয়া এসবই এক একটি ছাদাকাহস্বরূপ’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৯১১, হাদীছ ছহীহ)

29- عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الصَّدَقَةَ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ وَعَلَى ذِي الرَّحِمِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মিসকীনকে ছাদাকা প্রদান কেবল ছাদাকা হিসাবেই গণ্য হবে, আর আত্মীয়-স্বজনকে দান করার মধ্যে ছাদাকা ও আত্মীয়তা উভয়ই নিহিত’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৯৩৯)।  

30- عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : دَاوُوا مَرْضَاكُمْ بِالصَّدَقَةِ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের অসুস্থদের আরোগ্যের জন্য দান কর’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩৫৮, সনদ হাসান)

সারবস্ত্ত

  1. দান হল ঈমানের পূর্ণতা এবং যথার্থ ইসলামের পরিচায়ক।
  2. দানের মাঝে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও নির্ভরতার প্রমাণ নিহিত।
  3. দানের মাধ্যমে আল্লাহর ভালবাসা এবং মানুষের ভালবাসা অর্জন করা যায়।
  4. দান সামাজিক সংহতি ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন রচনাকারী।
  5. দানের মাধ্যমে কৃপণতার অপবিত্রতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  6. দান করলে সম্পদে বরকত বৃদ্ধি পায়।
  7. দানের মাধ্যমে পাপমোচন হয়।
  8. লোক দেখানো দান আল্লাহর কাছে কবুল হয় না।
  9. সর্বোত্তম দান হল ছাদাকায়ে জারিয়া।
  10. কেবল অর্থ-সম্পদ নয়, সামান্য একটি সদাচরণও ছাদাকার সমতুল্য।
  11. তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোন জিনিসকে একক হিসাবে নির্ধারণ করা।


বিষয়সমূহ: যাকাত
আরও