সঠিক আক্বীদা পোষণ না করার পরিণাম

মুযাফফর বিন মুহসিন 1137 বার পঠিত

মুসলিম জীবন আক্বীদার উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। আক্বীদা বা বিশ্বাস যার বিশুদ্ধ নয় তার জীবন সম্পূর্ণটাই বৃথা। কারণ বিশুদ্ধ আক্বীদা মুসলিম জীবনের মূল চাবিকাঠি। বিশ্বাসের আলোকেই মানুষ তার সকল কর্ম সম্পাদন করে থাকে। ‘আল-আক্বীদাহ’ শব্দটি উক্বদাতুন শব্দ থেকে উদ্গত। অর্থ- গিরা বা বাঁধন। যেমন পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘উক্বদাতুন নিকাহ’ বা বিবাহের বাঁধন (বাক্বারাহ ২৩৫ ও ২৩৭)। বাঁধনের মাঝে কী আছে তা না দেখেই শুধু শুনে চূড়ান্ত বিশ্বাস করার নাম আক্বীদা। কর্ম ছাড়া কোন বিষয়ে সন্দেহাতীত চূড়ান্ত বিশ্বাসই আক্বীদাহ। তাই আল্লাহকে না দেখে, ফেরেশতা, জান্নাত, জাহান্নাম, হাশর, ক্বিয়ামত, কবরের আযাব ইত্যাদি অদৃশ্য বিষয় না দেখে শুধু পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বর্ণনায় দৃঢ় বিশ্বাস করার নাম আক্বীদা। আর এই আক্বীদার উপরই যাবতীয় আমল নির্ভরশীল। রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ ‘সমস্ত আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল’ (ছহীহ বুখারী হা/১; ছহীহ মুসলিম হা/৫০৩৬; মিশকাত হা/১)

উক্ত ‘নিয়ত’ শব্দটি ‘নাওয়া’ (نواة, نوى) শব্দ থেকে উদ্ভূত। অর্থ- বিচি বা অাঁঠি। অর্থাৎ মনের গহীনে যে অাঁঠি লাগানো হবে, ঠিক তারই গাছ হবে এবং ফলও সেই গাছেরই হবে। আক্বীদা বা নিয়ত যার যেমন হবে আমল তেমনই হবে। তার বিপরীত হবে না। কারণ কাঁঠালের বিচি লাগালে আম হয় না। অনুরূপ আমের অাঁঠি লাগালে কাঁঠাল হয় না। সুতরাং কলবের কল্পনার ভিত্তি আক্বীদাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সবই বরবাদ হয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) এক হাদীছে বলেন, أَلاَ وَإِنَّ فِى الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلاَ وَهِىَ الْقَلْبُ. ‘সাবধান! নিশ্চয়ই শরীরের মাঝে একটি টুকরা আছে। যদি সেই টুকরাটি সুস্থ থাকে, তাহলে পুরো শরীরটাই সুস্থ থাকে। আর যদি ঐ টুকরাটি অসুস্থ থাকে, তাহলে পুরো শরীরটাই অসুস্থ থাকে। সাবধান! আর সেটাই হল কলব (ছহীহ বুখারী হা/৫২; ছহীহ মুসলিম হা/৪১৭৮, ‘মুসাক্বাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ২০; মিশকাত হা/২৭৬২)। সুতরাং এই কলব সঠিকভাবে পরিচালিত হলে শরীরের হাত-পা, চোখ-কান, কথা-বার্তা, চিন্তা-চেতনা, চলা-ফেরা সবই সঠিক পথে পরিচালিত হবে। অন্যথা কোনটিই সোজা পথে পরিচালিত হবে না। অন্য হাদীছে রয়েছে,عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوُلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوْبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ. আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও সম্পদের দিকে দেখবেন না; বরং তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও আমল সমূহের দিকে (ছহীহ মুসলিম হা/৬৭০৮; মিশকাত হা/৫৩১৪)

বিশুদ্ধ আক্বীদা ব্যতীত কোন আমল গ্রহণযোগ্য নয় :

মুসলিম ব্যক্তির প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হল নিজের আক্বীদাকে পরিশুদ্ধ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَنْ يَّكْفُرْ بِالْإِيْمَان فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِى الْآخرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সাথে কুফরী করবে, তার আমল নষ্ট হয়ে যাবে। সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (মায়েদাহ ৫)। উক্ত আয়াতকে সামনে রেখে মুহাদ্দিছ ওলামায়ে কেরাম বলেন, مَعْلُوْمٌ بِالْأَدِلَّةِ الشَّرْعِيَّةِ مِنَ الْكِتَابِ وَالسُّنّةِ أَنَّ الْأَعْمَالَ وَالْأقْوَالَ إِنَّمَا تَصِحُّ وَتَقْبَلُ إِذَا صَدَرَتْ عَنْ عَقِيْدَةٍ صَحِيْحَةٍ فَإنْ كَانَتِ الْعَقِيْدَةُ غََيْرَ صَحٍِيْحَةٍ بَطَلَ مَا يَتَفَرَّعُ عَنْهَا. ‘শারঈ বিধি-বিধান তথা কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, যাবতীয় আমল ও কথা কেবল তখনই বিশুদ্ধ হবে এবং গৃহীত হবে, যখন তা বিশুদ্ধ আক্বীদার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে। আর যদি আক্বীদা বিশুদ্ধ না হয় তবে তার থেকে যা কিছু বের হবে সবই বাতিল বলে গণ্য হবে’। এজন্য বলা হয়,  اَلْعَقِيْدَةُ الصَّحِيْحَةُ هِىَ أَصْلُ دِيْنِ الْإِسْلاَمِ وَأَسَاسُ الْمِلَّةِ ‘বিশুদ্ধ আক্বীদা দ্বীন ইসলামের মূল এবং মুসলিম মিল্লাতের সুদৃঢ় ভিত্তি’ (শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায, আল-আক্বীদাতুছ ছহীহাহ ওয়ামা ইউযাদ্দুহা (রিয়ায : দারুল ক্বাসেম, ১৪১৫ হিঃ), পৃঃ ৩ ভূমিকা দ্রঃ)

সমাজে আমলের গুরুত্বই বেশী। কিন্তু বিশুদ্ধ আক্বীদার কোন গুরুত্ব নেই। অথচ আমল যতই সুন্দর হোক আক্বীদা ছহীহ না হলে তা আল্লাহর নিকট কবুল হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلاَّ مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا وَابْتُغِىَ بِهِ وَجْهُهُ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা কোন আমল কবুল করবেন না, যদি তাঁর জন্য তা খালেছ হৃদয়ে ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য না হয় (নাসাঈ হা/৩১৪০, সনদ ছহীহ)। অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) আক্বীদাভ্রষ্ট আমলকারীদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। যেমন- عَنْ أَبِى سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ يَخْرُجُ فِيْكُمْ قَوْمٌ تَحْقِرُوْنَ صَلاَتَكُمْ مَعَ صَلاَتِهِمْ وَصِيَامَكُمْ مَعَ صِيَامِهِمْ وَعَمَلَكُمْ مَعَ عَمَلِهِمْ وَيَقْرَءُوْنَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُوْنَ مِنَ الدِّيْنَ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ يَنْظُرُ فِى النَّصْلِ فَلاَ يَرَى شَيْئًا وَيَنْظُرُ فِى الْقِدْحِ فَلاَ يَرَى شَيْئًا وَيَنْظُرُ فِى الرِّيْشِ فَلاَ يَرَى شَيْئًا وَيَتَمَارَى فِى الْفُوْقِ.  আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের মধ্য হতে একটি সম্প্রদায় বের হবে যাদের ছালাতের তুলনায় তোমাদের ছালাতকে, ছিয়ামের তুলনায় তোমাদের ছিয়ামকে এবং আমলের তুলনায় তোমাদের আমলকে তোমরা হালকা মনে করবে। তারা কুরআন তেলাওয়াত করবে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন ইসলাম থেকে অনুরূপভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে শিকার ভেদ করে তীর বেরিয়ে যায়। শিকারী তীরের ফলার দিকে তাকায় কিন্তু তাতে শিকারের কোন অংশ দেখতে পায় না, সে তীরের পার্শ্ব ও পাতার দিকে তাকায় কিন্তু সেখানেও কিছু দেখতে পায় না। অবশেষে সে তীরের ফলার মাথায় কিছু আছে মনে করে সন্দেহ পোষণ করে (ছহীহ বুখারী হা/৫০৫৮; মিশকাত হা/৫৮৯৪)। অন্যত্র রয়েছে, শেষ যামানায় তারা পূর্ব দিক থেকে বের হবে। তাদের ঈমান তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি তাদেরকে পেলে আদ জাতির ন্যায় হত্যা করব (ছহীহ বুখারী হা/৬৯৩০ ও ৭৫৬২)

অন্য হাদীছে এসেছে, ইয়ামান থেকে গনীমতের মাল আসলে রাসূল (ছাঃ) তা বন্টন করতে থাকেন। এমতাবস্থায় বনী তামীম গোত্রে যুল খুওয়াইছিরা নামে এক ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলে, আপনি আল্লাহকে ভয় করুন, আপনি ইনছাফ করুন! রাসূল (ছাঃ) বলেন, ধিক তোমাকে! আমিই যদি ইনছাফ না করি তবে আর কে ইনছাফ করবে? অন্যত্র এসেছে,  فَمَنْ يُطِيْعِ اللَّهَ إِذَا عَصَيْتُهُ فَيَأْمَنِّى عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُوْنِىْ ‘আমি যদি আল্লাহর নাফরমানী করি তাহলে তাঁর আনুগত্য করবে কে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীবাসীর উপর আমানতদার করেছেন আর তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করবে না? (ছহীহ বুখারী হা/৭৪৩২)। অন্য বর্ণনায় আছে, أَلاَ تَأْمَنُوْنِىْ وَأَنَا أَمِيْنُ مَنْ فِى السَّمَاءِ يَأْتِيْنِىْ خَبَرُ السَّمَاءِ صَبَاحًا وَمَسَاءً. ‘তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করবে না? অথচ যিনি আসমানে আছেন আমি তাঁর পক্ষ থেকে আমানতদার। আমার কাছে সকাল-সন্ধ্যায় আসমানের খবর আসে (ছহীহ বুখারী হা/৪৩৫১)। এই আক্বীদার লোকই শেষ যামানায় আবির্ভাব হবে।

উক্ত আলোচনা প্রমাণ করে যে, রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে তাদের ভ্রান্ত ধারণা থাকার কারণেই তাদের ছালাত, ছিয়ামসহ যাবতীয় সুন্দর আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং এজন্য তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বহিষ্কৃত হবে যে, তাদের সাথে ইসলামের কোন অংশ থাকবে না।

সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত আক্বীদা সমূহ :

(১) আল্লাহ নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান। আল্লাহর আকার ও গুণাবলী সম্পর্কে কুরআন-হাদীছে যা বলা হয়েছে সেগুলোর অর্থ তাঁর কুদরত।

(২) ঈমান বাড়েও না কমেও না।

(৩) মুহাম্মাদ (ছাঃ) নূরের তৈরি। তিনি মারা যাননি, বরং ইন্তিকাল করেছেন মাত্র। তিনি কবরে জীবিত আছেন এবং মানুষের আবেদন শুনেন ও পূরণ করে থাকেন। অর্থাৎ হায়াতুন্নবীতে বিশ্বাস করা।

(৪) ওলী-আওলিয়া, পীর-দরবেশ কখনো মরেন না। তারা দুনিয়া থেকে কবরে স্থানান্তরিত হন মাত্র। তারা কবর থেকেই মানুষের উপকার ও ক্ষতি করে থাকেন। এ জন্য তাদের কবরের নিকটে গিয়ে সাহায্য চাওয়া, মানত করা, সিজদা করা।

(৫) মৃত ব্যক্তির স্মরণে বিভিন্ন প্রতিকৃতি, খাম্বা, মূতি, ভাস্কর্য, শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বাণ ইত্যাদি নির্মাণ করা এবং মাগফিরাত কামনার্থে সেখানে ফুল দেওয়া, নীরবতা পালন করা, মাথা নত করা।

(৬) বৈষয়িক জীবনে ধর্মের কোন ভূমিকা নেই। ধর্মীয় জীবনের জবাবদিহিতা আছে তবে বৈষয়িক জীবনের কোন জবাবদিহিতা নেই। অতএব ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত ইত্যদি সম্পর্কে আল্লাহ হিসাব নিবেন। তবে বৈষয়িক জীবনে রাজনীতি, অর্থনীতির নামে সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী, হত্যা-গুম, চুরি-ব্যভিচার, লুণ্ঠন-আত্মসাৎ, অন্যায়-অত্যাচার ইত্যাদি করলেও আল্লাহ এগুলোর কোন হিসাব নিবেন না।

(৭) মাযহাব চারটি। হানাফী, মালেকী, শাফেঈ ও হাম্বালী। এগুলোর অনুসরণ করা ফরয। চার ইমাম যা বলে গেছেন সবই সঠিক। তারা কোন ভুল করে যাননি। এর বাইরে শরী‘আত তালাশ করা যাবে না।

(৮) পীর ধরা ফরয। পীরের মুরীদ না হলে জান্নাত পাওয়া যাবে না। যার পীর নেই শয়তান তার পীর।

(৯) ১৫ শা‘বান শবেবরাত বা সৌভাগ্যের রজনী। এই রাত্রে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। সে লক্ষ্যে উক্ত রাতে উন্নত খাবার খাওয়া, ইবাদত করা ও দিনে ছিয়াম পালন করা।

(১০) বিদেহী আত্মার মাগফিরাতের জন্য জন্ম দিবস ও মৃত্যু দিবস, উরস অনুষ্ঠান করা। রাসূল (ছাঃ)-এর নামে তাঁর জন্ম দিনে ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা, মীলাদ অনুষ্ঠানে রাসূলের আগমন উপলক্ষ্যে ক্বিয়াম করা ও সজ্জিত আসন রাখা।

(১১) হাদীছ যঈফ ও জাল হয় না। দুর্বল হাদীছ থাকলেও তার উপর আমল করা যাবে।

(১২ পরকাল বলতে কিছু নেই। দুনিয়াই মানুষের শেষ ঠিকানা।

(১৩) স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। প্রকৃতিই সবকিছুর স্রষ্টা

উক্ত আক্বীদাগুলো সবই ভ্রান্ত ও মিথ্যা। এর মধ্যে প্রায়ই শিরকী আক্বীদা। সমাজে এধরনে অসংখ্য ভ্রান্ত বিশ্বাস চালু আছে। হৃদয়ে এই আক্বীদা নিয়েই ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত, দান-খয়রাত ইত্যাদি করছে। আর মনে করা হচ্ছে তা আল্লাহর নিকট কবুল হচ্ছে। অথচ আক্বীদার মানদন্ডে তার কোন মূল্য নেই। এজন্য মুছল্লীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, হাজ্জী ও দানবীরের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আত্মসাৎ, মওজুদদারী, মোনাফাখরী, প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। অতএব বিশুদ্ধ আক্বীদা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই অত্যাবশ্যক। আল্লাহ আমাদেরকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ধারণ করার তাওফীক দান করুন-আমীন!!



বিষয়সমূহ: আক্বীদা
আরও