কোন কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়তর (৩য় কিস্তি)

মিনারুল ইসলাম 957 বার পঠিত

(৫) আনুগত্যকারী :

আনুগত্য মুমিন ব্যক্তির একটি বিশেষ গুণ। আনুগত্য কারীগণকে আল্লাহ ভালবাসেন। মহান আল্লাহ বলেন, قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ‘তুমি বল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহ’লে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন ও তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন । বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান (আলে ইমরান ৩/৩১)।

রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে আল্লাহর ভালবাসা। সুতরাং সুখে-শান্তিতে, দুঃখে- কষ্টে, সচ্ছলতায় বা অসচ্ছলতায় সর্বাবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর আদেশ-নিষেধ তাঁর উম্মত হিসাবে মেনে চলা আমাদের একান্তই কর্তব্য। যেমন আল্লাহ বলেন وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا ‘আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা হ’তে বিরত থাক (হাশর ৫৯/৭)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا ‘হে বিশ^াসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য করা রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের। অতঃপর যদি কোন বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ কর, তাহ’লে বিষয়টি আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ^াসী হয়ে থাক। এটাই কল্যাণকর ও পরিণতির দিক দিয়ে সর্বোত্তম (নিসা ৪/৫৯)

এ বিষয়ে হাদীছে এসেছে, عَنْ عَلِىٍّ رضى الله عنه قَالَ بَعَثَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يُطِيعُوهُ، فَغَضِبَ عَلَيْهِمْ وَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ أَمَرَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ تُطِيعُونِى قَالُوا بَلَى . قَالَ عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ لَمَا جَمَعْتُمْ حَطَبًا وَأَوْقَدْتُمْ نَارًا، ثُمَّ دَخَلْتُمْ فِيهَا، فَجَمَعُوا حَطَبًا فَأَوْقَدُوا، فَلَمَّا هَمُّوا بِالدُّخُولِ فَقَامَ يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ ، قَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّمَا تَبِعْنَا النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فِرَارًا مِنَ النَّارِ، أَفَنَدْخُلُهَا ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ خَمَدَتِ النَّارُ، وَسَكَنَ غَضَبُهُ، فَذُكِرَ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَوْ دَخَلُوهَا مَا خَرَجُوا مِنْهَا أَبَدًا، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِى الْمَعْرُوفِ. আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদল পাঠালেন এবং একজন আনছারীকে তাঁদের আমীর নিযুক্ত করে সেনাবাহিনীকে তার আনুগত্য করার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি (আমীর) তাদের উপর রাগান্বিত হলেন এবং বললেন, নবী করীম (ছাঃ) কি তোমাদেরকে আমার আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের দৃঢ়ভাবে বলছি যে, তোমরা কাঠ জড় কর এবং তাতে আগুন জ্বালাও। এরপর তোমরা তাতে প্রবেশ করবে। তারা কাঠ জড় করল এবং তাতে আগুন জ্বালাল। এরপর যখন তারা প্রবেশ করতে ইচ্ছা করল, তখন একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগল। তাঁদের কেউ কেউ বলল, আগুন থেকে পরিত্রাণের জন্যই তো আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর অনুসরণ করেছি। তাহ’লে কি আমরা (সবশেষে) আগুনেই প্রবেশ করব? তাঁদের এসব কথোপকথনের মাঝে হঠাৎ আগুন নিভে যায়। আর তাঁর (আমীরের) ক্রোধও দমিত হয়ে যায়। এ ঘটনা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করা হ’লে তিনি বললেন, যদি তারা তাতে প্রবেশ করত, তাহ’লে কোনদিন আর এ থেকে বের হত না। জেনে রেখো! আনুগত্য কেবল বৈধ কাজেই হয়ে থাকে’।[1]

অত্র হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যক্তি যদি দুনিয়াবী কোন স্বার্থ হাছিলের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির আনুগত্যের মাধ্যমে তাগুতের পথে মৃত্যুবরণ করে তাহ’লে তার স্থান হবে জাহান্নাম। আনুগত্যের মূল উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, ওহুদ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী বিজয়ী হওয়ার পরে কেন তারা পরাজয় বরণ করে। শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও দূরদর্শী সেনানায়ক রাসূল (ছাঃ) বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই গিরিপথ দিয়েই শত্রুসেনারা প্রবেশ করতে পারে। এজন্য তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের আনসারীর (রাঃ)-এর নেতৃত্বে ৫০ জন দক্ষ একটি তীরন্দায দলকে নিযুক্ত করেন। শত্রুপক্ষ যেন এই গিরিপথ দিয়ে আক্রমণ করতে না পারে। সে জন্য তিনি তীরন্দাযদেরকে লক্ষ্য করে কঠোর হুঁশিয়ারী বাণী প্রদান করে বলেন, জয় বা পরাজয় যাই-ই হৌক তোমরা পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ঐ স্থান ত্যাগ করবে না এবং শত্রুসেনারা যেন এ পথ দিয়ে কোন ভাবে প্রবেশ করতে না পারে। إِنْ رَأَيْتُمُونَا تَخْطَفُنَا الطَّيْرُ، فَلاَ تَبْرَحُوا مَكَانَكُمْ هَذَا حَتَّى أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ، وَإِنْ رَأَيْتُمُونَا هَزَمْنَا الْقَوْمَ وَأَوْطَأْنَاهُمْ فَلاَ تَبْرَحُوا حَتَّى أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ ‘এমনকি তোমরা যদি আমাদের মৃত লাশে পক্ষীকুলকে ছোঁ মারতে দেখ, তবুও আমি তোমাদের কাছে কাউকে না পাঠানো পর্যন্ত তোমরা ঐ স্থান পরিত্যাগ করবে না। যদি তোমরা দেখ যে, আমরা তাদেরকে পরাজিত করেছি এবং তাদের পদদলিত করছি, তথাপি তোমরা উক্ত স্থান ছেড়ে আসবে না। যতক্ষণ না আমি তোমাদের কাছে কাউকে পাঠাই’। 

যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুসলিম সেনাদের অদম্য বীরত্বের সম্মুখে কাফির বাহিনী কচুকাটা হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আর রেখে যায় তাদের মালামাল। মুসলিম বাহিনী তাদের পরিত্যাক্ত মাল জমা করতে শুরু করে। তাদের মাল জমা করা দেখে তারা ‘গণীমত’ ‘গণীমত’ বলতে বলতে ময়দানের দিকে ছুটে চলল। দলপতি আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের আনছারী (রাঃ) তাদেরকে বলেন, أَنَسِيتُمْ مَا قَالَ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا وَاللَّهِ لَنَأْتِيَنَّ النَّاسَ فَلَنُصِيبَنَّ مِنَ الْغَنِيمَةِ ‘তোমরা কি ভুলে গেলে রাসূল (ছাঃ) তোমাদেরকে কি বলেছিলেন? জবাবে তারা বলল, আল্লাহর কসম! আমরা অবশ্যই লোকদের সঙ্গে গণীমত কুড়াব’।[2]

মুসলিম বাহিনী যখন গণীমতের মাল কুড়ানোর জন্য ব্যস্ত। ঠিক এই মূহুর্তে শত্রুপক্ষের অশ^রোহী বাহিনীর অতীব চতুর সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ সুযোগ বুঝে নক্ষত্র বেগে ঘোড়া ছুটিয়ে এসে ঐ ক্ষুদ্র্ বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের ও তার সাথীগণ সকলে প্রাণপণ লড়াই করে শহীদ হয়ে গেলেন। অতঃপর খালিদ বিন ওয়ালিদ ও তার পশ্চাদবর্তী কুরায়েশ সেনাদল অতর্কিতভাবে এসে অপ্রস্ত্তত মুসলিম বাহিনীর উপরে হামলা করল। ঐ সময় আমরাহ নাম্মী জনৈকা মহিলা এসে তাদের ভূলুণ্ঠিত পতাকা তুলে ধরলে চারদিক থেকে মাক্কী বাহিনী পুনরায় ময়দানে ছুটে আসে এবং অগ্র-পশ্চাৎ সবদিক থেকে মুসলিম বাহিনীকে ঘিরে ফেলে। শুরু হয় মহা পরীক্ষা। নেমে আসে মহা বিপর্যয়।

আনুগত্যহীনতার এই ছোট্ট ভুলের জন্য মুসলিম বাহিনীর উপর নেমে আসে মহা বিপর্যয়, যার কারণে মুসলিম বাহিনীর মধ্য থেকে ৭০ জন শহীদ ও ৪০ জন আহত হন। আর সে যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর বিজয় নিশ্চিতই ছিল, অথচ সামান্য ভুলের জন্য পরাজয় বরণ করেন। তাই নেতা যে পর্যায়েরই হোক না কেন সে যদি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা পরিচালনা করে তাহ’লে তার আনুগত্য করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ أَسْوَدُ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا- ‘যদি তোমাদের উপর নাক, কান কাটা কালো গোলামকেও আমীর নিযুক্ত করা হয় আর সে যদি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা পরিচালনা করে, তাহ’লে তার কথা শুনো ও তার আনুগত্য কর’।[3]

(৬) মুমিনদের প্রতি বিনয়ী এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর :

মুমিনদের প্রতি বিনয়ী হওয়া ও তাদেরকে ভালবাসা এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হওয়া ঈমানের পূর্ণতার একটি অংশ। হাদীছে এসেছে, عَنْ أَبِى أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَحَبَّ لِلَّهِ وَأَبْغَضَ لِلَّهِ وَأَعْطَى لِلَّهِ وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ الإِيمَانَ- আবু উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালবাসে, আর আল্লাহর ওয়াস্তে কারও সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে এবং আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত করে, আবার আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত থেকে বিরত থাকে। সে ঈমান পূর্ণ করেছে’।[4] মহান আল্লাহ বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيم ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বীয় দ্বীন হ’তে ফিরে যায়, (তাদের বদলে) অচিরেই আল্লাহ এমন একটি সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসবেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে। যারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়ী হবে এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দাবাদকে পরোয়া করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যা তিনি যাকে ইচ্ছা প্রদান করেন। বস্ত্তত আল্লহ প্রশস্ত দাতা ও সর্বজ্ঞ’ (মায়েদাহ ৫/৫৪)। মহান আল্লাহ বলেন, يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْ ‘হে নবী! তুমি কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের প্রতি কঠোর হও। আর তাদের ঠিকানা জাহান্নাম আর তা কতই না নিকৃষ্ট’ (তাওবাহ ৯/৭৩)।

অত্র আয়াত ও হাদীছ দ্বারা বুঝা যায় যে, মুমিনদের প্রতি বিনয়ী হলে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, তেমনিভাবে কাফেরদের প্রতি কঠোর হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এবং তাদের প্রতি কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর তাঁর অনুসারী মুমিনদের সাথে নম্র ব্যবহার করার আদেশ করছেন। আল্লাহ মুশরিকের ব্যাপারে বলেন, فَإِذَا انْسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ ‘অতঃপর নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হ’লে মুশরিকদেরকে হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক’ (তাওবাহ ৯/৫)।

আল্লাহ আহলে কিতাবদের ব্যাপারে বলেন,قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ ‘তোমরা জিহাদ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা তারা হারাম মনে করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্মকে, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে (তাওবাহ ৯/২৯)

আল্লাহ মুনাফিকদের ব্যাপারে বলেন, جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ ‘কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর’ (তাওবাহ ৯/৭৩)।

বিদ্রোহীদের (বিরুদ্ধে ব্যবহার করার) জন্য মহান আল্লাহ বলেন, فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ ‘তোমরা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে’ (হুজুরাত /৪৯)।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুসলমান অপর মুসলমানের জন্য একটি দেহের ন্যয়’।[5] একটি দেহের কোন এক অংশ যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাহলে সারা শরীর ব্যথায় ব্যথিত হয়, তেমনি হ’ল সারা বিশে^র মুসলিম উম্মাহ। রাসূলঃ (ছাঃ) আরো বলেন, إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا ‘এক মুমিন উপর এক মুমিন একটি বিল্ডিং-এর ন্যায়, সে একে উপরকে শক্তভাবে ধরে রাখে’।[6] সুতরাং মুমিনদেরকে ভালোবাসা, দয়া করা ও বিনয়ী হওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন যায়।

(৭) তওবাকারী :

তওবা অর্থ ফিরে আসা, বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা ইত্যাদি। মানুষ যেমন ভুলের উর্ধ্বে না, তেমন পাপেরও উর্ধ্বে না। প্রত্যেক ব্যক্তি ছোট-বড় কোন না কোন পাপের জড়িত। হক্ব হ’ল দুই প্রকার ১. আল্লাহর হক্ব ২. বান্দার হক্ব। মানুষ এই দুই হক্ব নষ্ট করার কারণেই পাপী হয়ে থাকে। যেমন যেনা-ব্যভিচার, সুদ-ঘুষ, মদ-জুয়া, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানি, খুনাখুনি, মিথ্যা বলা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, চোগলখোরী করা, গালিগালাজ, আত্মসাৎ করা ইত্যাদি অপকর্মের সাথে জড়িত থাকা এবং ফরয ইবাদত থেকে বিমুখতার কারণে মানুষ পাপী হয়ে থাকে। মানুষ পাপের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে, তারপরও আল্লাহর নিকটে তাওবা ও ক্ষমা চাইতে অভ্যস্ত না। অথচ তাওবাকারী ও ক্ষমাপ্রার্থনাকারী আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, كُلُّ بَنِى آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ ‘প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপী আর সর্বোত্তম পাপী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে, আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে’।[7]

ইসলামের প্রাথমিক যুগে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শে বিমোহিত হয়ে মক্কার পাপী মুশরিক লোকেরা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আগমন করত এবং তারা তাদের ব্যাভিচার ও হত্যাকান্ডে জড়িত হওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে নিত। তারা বলত, আপনি যা কিছু বলেন এবং যে দিকে আহবান করেন তা বাস্তবিকই খুবই উত্তম। তারা রাসূল (ছাঃ)-কে বলল, এখন বলুন, আমরা যেসব পাপকার্য করেছি তার কাফফারা কিভাবে হ’তে পারে? তখন নিমেণর আয়াতটি নাযিল হয়। قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ‘বল, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (যুমার /৫৩)

নিজের কৃত পাপসমূহ আল্লাহর নিকটে উপস্থাপন করে নত শিরে ভবিষ্যতে পাপ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ইখলাছের সাথে আল্লাহর নিকটে তাওবা করলে তিনি তাওবা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ! মহান আল্লাহ বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর, বিশুদ্ধ তওবা। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যার তলদেশ দিয়ে নদী সমূহ প্রবাহিত হয়’ (তাহরীম ৬৬/৮)। অত্র আয়াতে বিশুদ্ধ তওবার কথা বলা হয়েছে। আমাদের উচিত হবে, কৃত পাপের জন্য লজ্জিত হওয়া, অনুতপ্ত হওয়া, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করা, পরবর্তীতে উক্ত পাপে জড়িত না হওয়া এবং পাপের কথা স্মরণ হওয়া মাত্র আল্লাহর নিকটে তওবা করা। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّى أَتُوبُ فِى الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ ‘হে মানবমন্ডলী! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর, নিশ্চয়ই আমি তার নিকট দিন একশত বার করে তওবা করি’।[8]

অত্র হাদীছ শিক্ষা দেয় যে, যার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত গোনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়েছে তিনিও দৈনিক একশতবার করে তওবা করেছেন। আর আমাদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পাপে ভরপুর, এমনকি আমরা পাপের সাগরে হবুডুবু খাচ্ছি। তারপরও আমাদের হুঁশ ফিরেনা। তওবা করতে শিখিনি, ক্ষমা চাইতে জানিনা। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুন।

(৮) পবিত্রতা অর্জনকারীগণ :

ত্বাহারাত হ’ল অর্থ পবিত্রতা। শরীরের বিশেষ অঙ্গসমূহকে কুরআন ও হাদীছের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ধৌত করার মাধ্যমে শরীর থেকে নাপাকী দূর করাই হ’ল ত্বাহারাত বা পবিত্রতা।

পবিত্রতা মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অঙ্গ। পবিত্র ও পরিপাটি না হলে মানুষ এবং পশুর মাঝে খুব বেশী একটা ফারাক থাকে না। মিসওয়াক করা, ওযূ, গোসল, তায়াম্মুম পবিত্রতা অর্জনের একেকটি পথ ও পন্থা, যা ইসলাম মানবতাকে চৌদ্দশত বছর পূর্বেই শিক্ষা দিয়েছে। আজকে মহামারী করোনার মধ্য দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারা ২/২২২)। পবিত্রতা অর্জন করা ঈমানের একটি অঙ্গ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ‘পবিত্রতা হ’ল ঈমানের একটি অঙ্গ’।[9]

বিশেষ করে মুমিন-মুসলমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ’ল ছালাত, যা জান্নাতে যাওয়ার চাবি সমতুল্য। যথাযথভাবে পবিত্রতা অর্জন করে বান্দা মহান রবের সামনে দাঁড়াবে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। এজন্য মহান আল্লাহ বলেন, يَابَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ ‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক ছালাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর। তোমরা খাও ও পান কর। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না’ (আ‘রাফ ৭/৩১)

ছালাতে একাগ্রতা সৃষ্টির জন্য প্রথমতঃ নিজেকে ছালাতের জন্য প্রস্ত্তত করবে। মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য মিসওয়াকের প্রতি যত্নশীল হওয়া আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَسَوَّكَ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَامَ الْمَلَكُ خَلْفَهُ، فَتَسَمَّعَ لِقِرَاءَتِهِ فَيَدْنُو مِنْهُ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا حَتَّى يَضَعَ فَاهُ عَلَى فِيهِ فَمَا يَخْرُجُ مِنْ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ، إِلَّا صَارَ فِي جَوْفِ الْمَلَكِ، فَطَهِّرُوا أَفْوَاهَكُمْ لِلْقُرْآنِ ‘যখন কোন মানুষ মিসওয়াক করে ছালাতে দাঁড়ায়। তখন একজন ফেরেশতাও তার পিছনে দাঁড়ায়। অতঃপর সে ব্যক্তিটির কুরআন তেলাওয়াত শুনার জন্য মুছল্লীর অনেক নিকটবর্তী হয়। এমনকি মুছল্লীর মুখ থেকে পঠিত কুরআন শুনার জন্য সে নিজের মুখ মুছল্লীর মুখের সাথে পেট অবধি লাগিয়ে দেয়। অতএব তোমরা (ছালাতে) কুরআন তেলাওয়াতের জন্য মুখকে পরিচ্ছন্ন কর’।[10]

অতঃপর বিসমিল্লাহ বলে সঠিকভাবে ওযূ করা, ওযূর পরে দো‘আ পড়া ইত্যাদি। ওযূ প্রসঙ্গে হাদীছে এসেছে, وَعَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلَاةٌ مَكْتُوبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا وَخُشُوعَهَا وَرُكُوعَهَا، إِلَّا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيرَةً، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ. ওছমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে মুসলিম ফরয ছালাতের সময় হ’লে উত্তমভাবে ওযূ করে, বিনয় ও ভয় সহকারে রুকু‘ করে ছালাত আদায় করে, তা তার উক্ত ছালাতের পূর্বেকার গুনাহের কাফ্‌ফারা হয়ে যায়, যতক্ষণ না সে কাবীরাহ কবীরা গুনাহ করে। আর এভাবে সর্বদাই চলতে থাকবে’।[11]

অপরপক্ষে পবিত্রতা অর্জনে অনীহা প্রদর্শন, বান্দাকে ভয়ানক শাস্তির মুখে ঠেলে দিতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ تَعَالَى، مَنْ أَحْسَنَ وُضُوءَهُنَّ، وَصَلَّاهُنَّ لِوَقْتِهِنَّ، وَأَتَمَّ رُكُوعَهُنَّ وَخُشُوعَهُنَّ، كَانَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ، وَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ، وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُগ্ধ ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, যা আল্লাহ তা‘আলা (বানদার জন্য) ফরয করেছেন, যে ব্যক্তি এ ছালাতের জন্য ভালোভাবে ওযূ করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং এর রুকু‘ ও খুশু-খুযূকে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিপালন করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে তা না করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন’।[12]

কবরের শাস্তি প্রসঙ্গে হাদীছে এসেছে, عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِى كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِى بِالنَّمِيمَةِ. ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً فَشَقَّهَا بِنِصْفَيْنِ، ثُمَّ غَرَزَ فِى كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً ‘ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) একদা দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তিনি বললেন, এদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আর কোন গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। বরং তাদের একজন পেশাব হ’তে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত। তারপর তিনি একখানি কাঁচা খেজুরের ডাল ভেঙ্গে দু’ভাগ করলেন এবং প্রত্যেক কবরের উপর একখানি গেড়ে দিলেন’।[13] (ক্রমশঃ)

মিনারুল ইসলাম

শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী



[1]. বুখারী হা/৭১৪৫; আহমাদ হা/১০১৮।

[2]. বুখারী/৩০৩৯।

[3]. মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৬২।

[4]. আবুদাউদ, মিশকাত হা/৩০।

[5]. মুসলিম/২৫৯৭।

[6]. বুখারী /৪৮১।

[7]. ইবনে মাজাহ/৪২৫১।

[8]. মুসলিম হা/৭০৩৪।

[9]. মুসলিম হা/৫৫৬।

[10]. বায়হাক্বী, বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১২১৩।

[11]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৬।

[12]. আবুদাউদ, মিশকাত হা/৫৭০।

[13]. মুসলিম হা/১৩৬।



বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
আরও