কুরআন আপনার পক্ষের অথবা বিপক্ষের দলীল

মফীযুল ইসলাম 4305 বার পঠিত

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি কলম দ্বারা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। যা সে জানত না। তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা, তিনি মানুষকে সৃষ্টি করে ভাষাজ্ঞান দান করেছেন। দরূদ ও শান্তি বর্ষিত হৌক সে নবীর প্রতি, যিনি নিজ প্রবৃত্তি হ’তে কোন কথা বলেন না, তাঁর উক্তি কেবল অহি যা তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়।

عَنْ أَبِى مَالِكٍ الأَشْعَرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ-

আবু মালেক আল-আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কুরআন হ’ল আপনার পক্ষের অথবা বিপক্ষের দলীল’।[1]

আপনি যদি কুরআন বুঝেন, তাহ’লে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, أَفَمَنْ يَعْلَمُ أَنَّمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ الْحَقُّ كَمَنْ هُوَ أَعْمَى إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُو الْأَلْبَابِ ‘যে ব্যক্তি জানে যে, তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে অন্ধ? বুদ্ধিমান লোকেরাই উপদেশ গ্রহণ করে থাকে’ (রাদ ১৩/১৯)। আর যদি আপনি কুরআন না বুঝেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, أَمِ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ آلِهَةً قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ هَذَا ذِكْرُ مَنْ مَعِيَ وَذِكْرُ مَنْ قَبْلِي بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ الْحَقَّ فَهُمْ مُعْرِضُونَ ‘নাকী তারা তাঁকে বাদ দিয়ে অনেক ইলাহ গ্রহণ করছে? বল, ‘তোমরা তোমাদের প্রমাণ এনে উপস্থিত কর। (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) এটাই আমার সাথে যারা আছে তাদের কথা আর আমার পূর্বে যারা ছিল তাদেরও কথা, কিন্তু তাদের (অর্থাৎ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের) অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না, যার জন্য তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়’ (আম্বিয়া ২১/২৪)। আপনি যদি কুরআন মুখস্থ করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَمَا يَجْحَدُ بِآيَاتِنَا إِلَّا الظَّالِمُونَ ‘বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের অন্তরে তা (কুরআন) এক সুস্পষ্ট নিদর্শন। অন্যায়কারীরা ছাড়া আমার নিদর্শনাবলীকে কেউ অস্বীকার করে না’ (আনকাবুত ২৯/৪৯)

عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ نَضَّرَ اللهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ-

যায়েদ ইবনু ছাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার নিকট হতে হাদীছ শুনে তা মুখস্থ রাখলো এবং অন্যের নিকটও তা পৌঁছে দিলো, আল্লাহ তাকে চিরউজ্জ্বল করে রাখবেন। জ্ঞানের অনেক বাহক তার চেয়ে অধিক সমঝদার লোকের নিকট তা বহন করে নিয়ে যায়; যদিও জ্ঞানের বহু বাহক নিজেরা জ্ঞানী নয়’।[2]  আর আপনি যদি কুরআন মুখস্থ করার পরিবর্তে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  وَقَدْ آتَيْنَاكَ مِنْ لَدُنَّا ذِكْرًا- مَنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وِزْرًا ‘আর আমি আমার নিকট থেকে তোমাকে দান করেছি উপদেশ (অর্থাৎ কুরআন)। যে তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, ক্বিয়ামতের দিন সে (পাপের) বোঝা বহন করবে’ 'ত্বো-হা ২০/৯৯-১০০)। আর আপনি যদি কুরআন তিলাওয়াত করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ- لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ-

‘যারা আল্লাহর কিতাব (কুরআন) তিলাওয়াত করে, ছালাত প্রতিষ্ঠা করে আর আল্লাহ তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছেন তাত্থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন এক ব্যবসায়ের আশা করে যাতে কক্ষনো লোকসান হবে না। কারণ, তিনি তাদেরকে তাদের প্রতিফল পূর্ণমাত্রায় দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো বেশী দিবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল (ভাল কাজের) বড়ই মর্যাদাদানকারী’ (ফাত্বির ৩৫/২৯-৩০)

وَعَنْ أبي أُمَامَةَ الْبَاهِلِىُّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لأَصْحَابِهِ-

আবু উমামা বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করবে। কেননা ক্বিয়ামতের দিন তা তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী রূপে উপস্থিত হবে’।[3]

عَنْ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ-

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের কোন একটি অক্ষর পাঠ করবে, তার বিনিময়ে সে একটি নেকী পাবে, আর একটি নেকী দশ নেকীর সমান হবে। আমি বলি না যে, الم একটি হরফ, বরং أَلِفٌ ‘আলিফ’ একটি হরফ, لَامٌ ‘লাম’ একটি হরফ এবং مِيمٌ‘মীম’ একটি হরফ’।[4]

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِى الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا-

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, (ক্বিয়ামতের দিন) কুরআন অধ্যায়নকারীকে বলা হবে, কুরআন পাঠ করতে করতে উপরে উঠতে থাকো। তুমি দুনিয়াতে যেভাবে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে সেভাবে পাঠ কর। কেননা তোমার তিলাওয়াতের শেষ আয়াতেই (জান্নাত) তোমার বাসস্থান হবে’।[5]

 আর আপনি যদি কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمٰى ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ আর তাকে ক্বিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়’ (ত্বা-হা ২০/১২৪)

আপনি যদি কুরআন তিলাওয়াত করেন ও তা বুঝেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ أُولَئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ- ‘আমি যাদেরকে কিতাব (কুরআন) দিয়েছি, তারা যথাযথভাবে কিতাব (কুরআন) তিলাওয়াত করে, তারাই এতে বিশ্বাস  পোষণ করে আর যারা এর প্রতি অবিশ্বাস করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’ (বাক্বারাহ ২/১২১)। তিনি আরো বলেন,وَالَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوا  عَلَيْهَا صُمًّا وَعُمْيَانًا  ‘আর তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে যারা তার প্রতি বধির ও অন্ধের ন্যায় আচরণ করে না (শুনেও শুনে না, দেখেও দেখে না-এমন করে না)’ (ফুরক্বান ২৫/৭৩)

আর আপনি যদি কুরআন তিলাওয়াত করেন ও কিন্তু তা বুঝেন না, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لَا يَعْلَمُونَ الْكِتَابَ إِلَّا أَمَانِيَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ ‘তাদের মাঝে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে, যাদের মিথ্যা আকাক্ষা ছাড়া কিতাবের (কুরআনের) কোন জ্ঞান নেই, তারা কেবল অলীক ধারণা পোষণ করে’ (বাক্বারাহ ২/৭৮)

وَعَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ حَتَّى لَوْ دَخَلُوا فِى جُحْرِ ضَبٍّ لاَتَّبَعْتُمُوهُمْ. قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ آلْيَهُودَ وَالنَّصَارَى قَالَ فَمَنْ-

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের পূর্বের লোকদের নীতি-আদর্শ পুরোপুরিভাবে অনুকরণ করবে, এক বিঘত এক বিঘতের সঙ্গে ও হাত হাতের সঙ্গে, এমনকি তারা যদি গুঁই সাপের গর্তে ঢুকে থাকে তবুও তোমরা তাদের অনুকরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তারা কি ইহুদী ও নাছারা? তিনি বলেন, তবে আর কারা?। [6]

আপনি যদি কুরআন পড়েন ও তা চিন্তা-ভাবনা করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ ‘এটি একটি কল্যাণময় কিতাব তোমার কাছে অবতীর্ণ করেছি যাতে তারা এর আয়াতগুলোর প্রতি চিন্তা-ভাবনা করে, আর জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে থাকে’ (ছোয়াদ ৩৮/২৯)। নবী করীম (ছাঃ)-এর বাণী, لَتَتْبَعُنَّ سَنَنَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ ‘অবশ্য অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্বের লোকদের নীতি-পদ্ধতির অনুকরণ করতে থাকবে’ ।

আর আপনি যদি শুধু কুরআন পড়েন, কিন্তু তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আললাহ তা‘আলা বলেন,

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا-

‘তারা কি কুরআনের মর্ম বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না? যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে আসত, তবে তাতে তারা অবশ্যই বহু অসঙ্গতি পেত’ (নিসা ৪/৮২)। তিনি অন্যত্র বলেন, أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلٰى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا ‘তারা কি কুরআন সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে না, না তাদের অন্তরে তালা দেয়া হয়েছে’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)

আপনার নিকট যদি কুরআন পড়া হলে, আর আপনি তা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে।  আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ- ‘যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা তা মনোযোগের সঙ্গে শ্রবণ কর আর নীরবতা বজায় রাখ যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়’ (রাফ ৭/২০৪)

আপনার নিকট যদি কুরআন পড়া হলে, আর আপনি তা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ না করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে।  আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا وَلَّى مُسْتَكْبِرًا كَأَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا كَأَنَّ فِي أُذُنَيْهِ وَقْرًا فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ‘যখন তার কাছে আমার আয়াত আবৃতি করা হয়, তখন সে অহংকারবশতঃ অবান্তর কথাবার্তা (অর্থাৎ গান-বাজনা) ক্রয় করে আর আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অবমাননাকর শাস্তি (লুক্বমান ৩১/৭)। তিনি অন্যত্র বলেন, يَسْمَعُ آيَاتِ اللَّهِ تُتْلَى عَلَيْهِ ثُمَّ يُصِرُّ مُسْتَكْبِرًا كَأَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ- ‘যে আল্লাহর আয়াত শোনে যা তার সামনে পাঠ করা হয়, অতঃপর অহমিকার সাথে (কুফরীর উপর) থাকে যেন সে তা শোনেইনি; কাজেই তাকে ভয়াবহ শাস্তির সংবাদ দাও’ (জাছিয়াহ ৪৫/৮)। আপনি যদি কুরআনের উপর আমল করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে।  আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلْ آمِنُوا بِهِ أَوْ لَا تُؤْمِنُوا إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهِ إِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ يَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ سُجَّدًا- وَيَقُولُونَ سُبْحَانَ رَبِّنَا إِنْ كَانَ وَعْدُ رَبِّنَا لَمَفْعُولًا- وَيَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ يَبْكُونَ وَيَزِيدُهُمْ خُشُوعًا-

‘বল, ‘তোমরা কুরআনে বিশ্বাস কর কিংবা বিশ্বাস না কর, ইতোপূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদেরকে যখন কুরআন পাঠ করে শুনানো হয়, তখন তারা অধোমুখে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে।’ আর তারা বলে, ‘আমাদের রবব মহান, পবিত্র; আমাদের রবেবর ওয়াদা অবশ্যই পূর্ণ হবে। তারা কাঁদতে কাঁদতে অধোমুখে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে আর তা তাদের বিনয়ানম্রতা বাড়িয়ে দেয়’ (ইসরা ১৭/১০৭-১০৯)

তিনি অন্যত্র বলেন, وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ عَسَى أَنْ  يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا-‘আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন’ (ইসরা ১৭/৭৯)

وَعَنِ النَّوَّاسَ بْنَ سَمْعَانَ الْكِلاَبِىَّ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يُؤْتَى بِالْقُرْآنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَهْلِهِ الَّذِينَ كَانُوا يَعْمَلُونَ بِهِ تَقْدُمُهُ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَآلُ عِمْرَانَ. تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا-

নাও্ওয়াস ইবনু সাম‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও কুরআন অনুযায়ী যারা আমল করত তাদেরকে আনা হবে। সূরা বাক্বারাহ ও সূরা আলে ইমরান অগ্রভাগে থাকবে, তারা উভয়ে কুরআন পাঠকারীদের পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিতে থাকবে’।[7]

আর আপনি যদি কুরআনের উপর আমল করা পরিত্যাগ করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তাদেরকে ঐ লোকের সংবাদ পড়ে শোনাও যাকে আমি আমার নিদর্শনসমূহ প্রদান করেছিলাম। কিন্তু সে সেগুলোকে এড়িয়ে যায়। অতঃপর শয়তান তাকে অনুসরণ করে, ফলে সে পথভ্রষ্টদের দলে শামিল হয়ে যায়। আমি ইচ্ছা করলে আমার নিদর্শনের মাধ্যমে তাকে অবশ্যই উচ্চতর মর্যাদা দিতাম। কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতিই ঝুঁকে পড়ল আর তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করল। তাই তার দৃষ্টান্ত হল কুকুরের দৃষ্টান্তের মত। যদি তুমি তার উপর বোঝা চাপাও তাহলে জিহবা বের করে হাঁপাতে থাকে এবং তাকে ছেড়ে দিলেও জিহবা বের করে হাঁপাতে থাকে। এটাই হল ঐ সম্প্রদায়ের উদাহরণ যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যে মনে করে অমান্য করে। তুমি এ কাহিনী শুনিয়ে দাও যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে’ (রাফ ৭/১৭৫-১৭৬)

তিনি অন্যত্র বলেন,

مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا بِئْسَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللهِ وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ-

‘যাদের উপর তাওরাতের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তা তারা বহন করেনি (অর্থাৎ তারা তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেনি) তাদের দৃষ্টান্ত হল গাধার মত, যে বহু কিতাবের বোঝা বহন করে (কিন্তু তা বুঝে না)। যে সম্প্রদায় আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে, তাদের দৃষ্টান্ত কতইনা নিকৃষ্ট! যালিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সঠিক পথে পরিচালিত করেন না’ (জুমআ ৬২/৫)। আপনি যদি কুরআন শিক্ষা করেন এবং অপরকে শিক্ষা দেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে।  আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلَكِنْ كُونُوا رَبَّانِيِّينَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُونَ الْكِتَابَ وَبِمَا كُنْتُمْ تَدْرُسُونَ ‘বরং (সে বলবে), ‘তোমরা আল্লাহ্ওয়ালা হও; যেহেতু তোমরা কুরআন শিক্ষা দান কর এবং নিজেরাও পাঠ কর’ (ইমরান ৩/৭৯)। তিনি অন্যত্র বলেন, وَقُرْآنًا فَرَقْنَاهُ لِتَقْرَأَهُ عَلَى النَّاسِ عَلَى مُكْثٍ وَنَزَّلْنَاهُ تَنْزِيلًا‘আমি এ কুরআনকে ভাগে ভাগে বিভক্ত করেছি যাতে তুমি থেমে থেমে মানুষকে তা পাঠ করে শুনাতে পার, কাজেই আমি তা ক্রমশঃ অবতীর্ণ করেছি’ (ইসরা ১৭/১০৬)

لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ-

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অত্যন্ত অনুকম্পা প্রদর্শন করেছেন, যখন তাদের নিকট তাদের নিজস্ব একজনকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন, সে তাদেরকে আল্লাহর আয়াত পড়ে শুনাচ্ছে, তাদেরকে পরিশোধন করছে, তাদেরকে কিতাব ও হিকমত (সুন্নাহ) শিক্ষা দিচ্ছে, যদিও তারা পূর্বে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল’ (ইমরান /১৬৪)। তিনি অন্যত্র আরো বলেন,

وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ- وَأَنْ أَتْلُوَ الْقُرْآنَ فَمَنِ اهْتَدَى فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ وَمَنْ ضَلَّ فَقُلْ إِنَّمَا أَنَا مِنَ الْمُنْذِرِينَ-

‘আর আমি আদিষ্ট হয়েছি আমি যেন (আল্লাহর নিকট) আত্মসমর্পণ কারীদের অন্তভুক্ত হই। আর আমি যেন কুরআন তিলাওয়াত করি। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে। সে নিজের কল্যাণেই সঠিক পথে চলবে। আর কেউ গোমরাহ হলে তুমি বল, আমি তো সতর্ককারীদের একজন’ (নামল ২৭/৯১-৯২)

তিনি অন্যত্র বলেন, وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ ‘আর এখন তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করছি মানুষকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে আর যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে’ (নাহল ১৬/৪৪)। ওছমান (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ ‘তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়’।[8]  আর আপনি যদি অন্যকে শিক্ষা না দেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ أُولَئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُونَ- إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَبَيَّنُوا فَأُولَئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ-

‘নিশ্চয়ই যারা আমার অবতীর্ণ কোন প্রমাণ এবং  হেদায়াতকে লোকদের জন্য আমি কিতাবের মধ্যে বর্ণনা করার পরেও গোপন করে, আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ করেন আর অভিশাপকারীরাও তাদের প্রতি অভিশাপ করে থাকে। কিন্তু যারা তওবা করে এবং সংশোধন করে নেয় এবং (সত্যকে) সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে, তাদের তওবা আমি কবুল করি, বস্ত্ততঃ আমি অত্যাধিক তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু’ (বাক্বারাহ ২/১৫৯-১৬০)

অন্যত্র তিনি বলেন, ‘কিতাব হতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, যারা এটা গোপন করে এবং এর বিনিময়ে স্বল্প মূল্য গ্রহণ করে, এরা নিজেদের পেটে একমাত্র আগুন ভক্ষণ করে, ওদের সাথে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না এবং ওদের পবিত্রও করবেন না; এবং ওদের জন্য আছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। এরা এমন লোক, যারা হেদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহী এবং ক্ষমার বিনিময়ে শাস্তি ক্রয় করেছে, তারা আগুন সহ্য করতে কতই না ধৈর্যশীল’ (বাক্বারাহ ২/১৭৪-১৭৫)

আপনি যদি পূর্ণ কুরআনের উপর ঈমান আনেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَتُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ كُلِّهِ ‘আর তোমরা সকল কিতাবের প্রতিও বিশ্বাস রাখ’ (ইমরান ৩/১১৯)। আর আপনি যদি কুরআনের কিছু অংশের উপর ঈমান আনেন কিছু অংশের উপর ঈমান আনা পরিত্যাগ করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

 أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ- أُولَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ-

‘তাহলে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশকে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? অতএব তোমাদের যারা এমন করে তাদের পার্থিব জগতে লাঞ্ছনা ও অবমাননা ছাড়া আর কী প্রতিদান হতে পারে? এবং ক্বিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে, আর তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ গাফেল নন। তারাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করে। কাজেই তাদের শাস্তি কম করা হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে না’ (বাক্বারাহ ২/৮৫-৮৬)

আপনি যদি কুরআনের মুতাশাবিহাহ আয়াতের উপর ঈমান এনে তার মুহকাম আয়াতের উপর আমল করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

 هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللهُ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنَا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ- 

‘তিনিই তোমার উপর এমন কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক, এগুলো হলো কিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়; কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ সৃষ্টির উদ্দেশে এবং ভূল ব্যাখ্যার উদ্দেশে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলতঃ এর মর্ম আল্লাহ ছাড়া কেউই জানে না। যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে যে, আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, এ সবকিছুই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে, মূলতঃ জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই নছীহত গ্রহণ করে না’ (ইমরান ৩/৭)

আর আপনি যদি কুরআনের মুতাশাবিহাহ আয়াতের অনুসরণ করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللهُ-

‘কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ সৃষ্টির উদ্দেশে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলতঃ এর মর্ম আলস্নাহ ছাড়া কেউই জানে না’ (ইমরান ৩/৭)

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ تَلَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ الْآيَةَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا رَأَيْتِ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكِ الَّذِينَ سَمَّى اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ-

নবী করীম (ছাঃ) পাঠ করলেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘোষণা করেছেন যে, ‘যারা মুতাশাবিহা আয়াতের পিছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে’।

আপনি যদি এরূপ হন যে, আপনাকে কুরআন দ্বারা উপদেশ দিলে আপনি উপদেশ গ্রহণ করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَذَكِّرْ بِالْقُرْاٰنِ مَنْ يَخَافُ وَعِيدِ ‘কাজেই যে আমার শাস্তির ভয়প্রদর্শনকে ভয় করে, তাকে তুমি কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও’ (ক্বাফ ৫০/৪৫)। তিনি অন্যত্র বলেন, وَإِنَّهُ لَتَذْكِرَةٌ لِلْمُتَّقِينَ- وَإِنَّهُ لَحَسْرَةٌ عَلَى الْكَافِرِينَ-  ‘মুত্তাক্বীদের জন্য এ কুরআন অবশ্যই এক উপদেশ। আর এ কুরআন কাফেরদের জন্য অবশ্যই দুঃখ ও হতাশার কারণ হবে’ (হাক্কাহ ৬৯/৪৮-৫০)। তিনি অন্যত্র বলেন, كَلَّا إِنَّهُ تَذْكِرَةٌ- ‘না, তা হতে পারে না, এটা উপদেশবাণী’ (মুদ্দাছির ৭৪/৫৪)

আর আপনি যদি কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ না করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَمَا لَهُمْ عَنِ التَّذْكِرَةِ مُعْرِضِين-َ كَأَنَّهُمْ حُمُرٌ مُسْتَنْفِرَةٌ- فَرَّتْ مِنْ قَسْوَرَةٍ- তাদের হয়েছে কী যে তারা উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে?’ (মুদ্দাছির ৭৪/৪৯-৫১)। তিনি অন্যত্র বলেন, وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِيَذَّكَّرُوا وَمَا يَزِيدُهُمْ إِلَّا نُفُورًا- ‘আমি এ কুরআনে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু তা তাদের (সত্য হতে) পলায়নের মনোবৃত্তিই বৃদ্ধি করেছে’ (ইসরা ১৭/৪১)

আপনি যদি কুরআনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ফায়ছালা করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللهُ إِلَيْكَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ- أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ -

‘আর তুমি তাদের মধ্যে বিচার ফায়ছালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবে না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক তারা যেন আল্লাহ তোমার প্রতি যা নাযিল করেছেন তারা কোন কিছু থেকে তোমাকে ফিৎনায় না ফেলতে পারে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ তাদের কোন কোন পাপের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান, মানুষদের অধিকাংশই প্রকৃতপক্ষে সত্যত্যাগী’ (মায়েদাহ ৫/৪৯-৫০)

আর আপনি যদি কুরআন ব্যতীত অন্য কোন বিধান দ্বারা মানুষের মাঝে ফায়ছালা করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَআল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়ছালা করে না তারাই কাফির’ (সূরা মায়েদাহ ৫/৪৪)

তিনি অন্যত্র বলেন, وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ-  আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়ছালা করে না তারাই যালিম’ (মায়েদাহ ৫/৪৫)

তিনি অন্যত্র বলেন, وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ-  আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়ছালা করে না তারাই ফাসিক’ (মায়েদাহ ৫/৪৭)

আপনি যদি কুরআনের ফায়সালা দাবি করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى اللهِ- তোমরা যেসব বিষয়ে মতভেদ কর তার মীমাংসা আল্লাহর উপর সোপর্দ’ (শূরা ৪২/১০)। তিনি অন্যত্র বলেন, فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا- যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সেই বিষয়কে আল্লাহ এবং রাসূলের (নির্দেশের) দিকে ফিরিয়ে দাও যদি তোমরা আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান এনে থাক; এটাই উত্তম এবং সুন্দরতম মর্মকথা’ (নিসা ৪/৫৯)। তিনি অন্যত্র বলেন, إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ-  মুমিনদেরকে যখন তাদের মাঝে ফায়ছালা করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন মুমিনদের জওয়াব তো এই হয় যে, তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর তারাই সফলকাম’ (নূর ২৪/৫১)।  আর আপনি যদি কুরআনের ফায়ছালা ব্যতীত অন্য কোন ফায়ছালা দাবি করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপÿÿ প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ- তারা কি জাহেলী যুগের আইন বিধান চায়? দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আইন-বিধান প্রদানে আল্লাহ হতে কে বেশি শ্রেষ্ঠ’ (মায়েদাহ ৫/৫০)

তিনি অন্যত্র বলেন,

 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيدًا-

তুমি কি সেই লোকদের প্রতি লক্ষ করনি, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের এবং তোমার পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের উপর ঈমান এনেছে বলে দাবী করে, কিন্তু তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, অথচ তাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায়’ (নিসা ৪/৬০)

তিনি অন্যত্র বলেন,

 وَإِذَا دُعُوا إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ إِذَا فَرِيقٌ مِنْهُمْ مُعْرِضُونَ- وَإِنْ يَكُنْ لَهُمُ الْحَقُّ يَأْتُوا إِلَيْهِ مُذْعِنِينَ- أَفِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ أَمِ ارْتَابُوا أَمْ يَخَافُونَ أَنْ يَحِيفَ اللهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُولُهُ بَلْ أُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ-

তাদেরকে যখন তাদের মাঝে ফায়সালা করার উদ্দেশে আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে আহবান করা হয়, তখন তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু ‘হক’ যদি তাদের পক্ষে থাকে তাহলে পূর্ণ বিনয়ের সঙ্গে তারা রাসূলের দিকে ছুটে আসে। তাদের অন্তরে কি রোগ আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে? না তারা এই ভয়ের মধ্যে আছে যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদের প্রতি অন্যায় করবেন? তা নয়, আসলে তারা নিজেরাই অন্যায়কারী’ (নূর ২৪/৪৮-৫০)

আপনি যদি শুধু কুরআনের অনুসরণ করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَهَذَا كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ فَاتَّبِعُوهُ وَاتَّقُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ- আর এ কিতাব যা আমি অবতীর্ণ করলাম তা বরকতময়, কাজেই তা মান্য কর, আর আল্লাহ্কে ভয় করে চল, যাতে তোমাদের উপর দয়া বর্ষিত হয়’ (আনআম ৬/১৫৫)

আর আপনি যদি কুরআনের সাথে অন্য কিছুর অনুসরণ করেন, তাহলে কুরআন আপনার বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, أَوَلَمْ يَكْفِهِمْ أَنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَرَحْمَةً وَذِكْرَى لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট (নিদর্শন) নয় যে, আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা তাদের সম্মুখে পাঠ করা হয়, বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই এতে অনুগ্রহ ও উপদেশ রয়েছে’ (আনকাবুত ২৯/৫১)

আপনি যদি ‘আল্লাহ, দ্বীন এবং নবী করীম (ছাঃ)-কে জানার ক্ষেত্রে কুরআনের অনুসরণ করেন, তাহলে কুরআন আপনার পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَى ‘তখন যে আমার পথ নির্দেশ অনুসরণ করবে সে পথভ্রষ্ট হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না’ (ত্বা-হা ২০/১২৩)। তিনি অন্যত্র বলেন, الر كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ আলিফ-লাম-রা, একটা কিতাব যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছছি যাতে তুমি মানুষকে তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে অন্ধকার থেকে নিয়ে আসতে পার আলোর দিকে- মহাপরাক্রমশালী প্রশংসিতের পথে’ (ইবরাহীম ১৪/১)

(ক্রমশঃ)

(মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আল-আম্মারী الْقُرْاٰنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ বই অবলম্বনে লিখিত)

 [লেখক : নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর]

[1]মুসলিম হা/৫৫৬ [২২৩]ওযূর ফযীলত অনুচ্ছেদমিশকাত হা/২৮১পবিত্রতা অধ্যায়পরিচ্ছেদ-১ছহীহুল জামে হা/৯২৫

[2]আবু দাউদ হা/৩৬৬২ [৩৬৬০]জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার ফযীলত অনুচ্ছেদ-১০সনদ ছহীহ।।

[3]মুসলিম হা/৮০৪ কুরআন তিলাওয়াত এবং সূরা বাক্বারাহ তিলাওয়াতের ফযীলত অনুচ্ছেদমিশকাত হা/২১২০কুরআনের ফযীলত অধ্যায়পরিচ্ছেদ-১

[4]তিরমিযী হা/২৯১০ কুরআনের একটি হরফও পাঠকারী ব্যক্তির ছওয়াব অনুচ্ছেদ-১৬ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৪১৬মিশকাত হা/২১৩৭কুরআনের ফযীলত অধ্যায়পরিচ্ছেদ-১

[5]আবু দাউদ হা/১৪৬৪তারতীলের সাথে কুরআন তিলাওয়াত পসন্দনীয় অনুচ্ছেদ-৩৫৫ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৪৬৬মিশকাত হা/২১৩৪আলবানী (রহঃ) হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন

[6]বুখারী হা/৭৩২০নবী করীম (ছাঃ)-এর বাণীلَتَتْبَعُنَّ سَنَنَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ অবশ্য অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্বের লোকদের নীতি-পদ্ধতির অনুকরণ করতে থাকবে অনুচ্ছেদ মুসলিম হা/৬৯৫২[২৬৬৯]ইহুদীদের আদর্শ অনুসরণ অনুচ্ছেদতাহক্বীক মশকাত হা/৫৩৬১

[7]মুসলিম হা/১৯১২[৮০৫] কুরআন তিলাওয়াত এবং সূরা বাক্বারাহ তিলাওয়াতের ফযীলত অনুচ্ছেদমিশকাত হা/২১২১কুরআনের ফযীলত অধ্যায়পরিচ্ছেদ-১

[8]বুখারী হা/৫০২৭তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয় অনুচ্ছেদমিশকাত হা/২১০৯কুরআনের ফযীলত অনুচ্ছেদ-১




বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
আরও