ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সমূহ

এ. এইচ. এম. রায়হানুল ইসলাম 1777 বার পঠিত

প্রত্যেক ব্যক্তি বা বস্ত্তরই দু’টি দিক রয়েছে, এক : ভাল দিক, দুই : খারাপ দিক।

ফেসবুক নামক সামাজিক মাধ্যমটি বর্তমানে আমাদের জীবনের প্রথম পর্যায়ের যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে পরিচিত। আমরা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৪ ঘন্টাই ফেসবুকে বসে থাকতে পসন্দ করি। ‘অনলাইন সার্ভিস’ মানব সভ্যতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেক বেশী সহজ করে ফেললেও এর ক্ষতিকর দিকও কম নয়। অধিকাংশ মানুষই প্রত্যেকটি জিনিসের ভাল দিকের চাইতে খারাপ দিকটাই বেশী গ্রহণ করে থাকে। এ  ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম নয়।

আমরা সাধারণত বেপরোয়া জীবন যাপন বলতে মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন, বেশ্যাবৃত্তি, অনৈতিক কার্যক্রম ইত্যাদিকেই বুঝে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি? এর মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ এবং অনলাইন ব্যবস্থাও আসক্তির স্থান দখল করেছে? মাদক ব্যাধির মত এটিও একটি ঘাতক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মানোন্নয়নের ফলে দেশের যুবসমাজ থেকে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ধীরে ধীরে একটি আসক্তি হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা দিনের অধিকাংশ সময় ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ নিয়ে মেতে উঠেছে। ফলে বাস্তবিক সামাজিক বন্ধন যেমন : বাবা, মা, ভাই-বোন,আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধু-বানধবদের মাঝে প্রকৃত অর্থে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ফেসবুকের মত মাধ্যম গুলোর নেশা গোটা বিশ্বের উদীয়মান প্রজন্মকে তার স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ত্বের বিকাশকে অংকুরেই বিনষ্ট করে দিচ্ছে। যে সময় হাতে বই খাতা থাকার কথা সে সময় তারা মোবাইল-ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।

বিশেষত মুসলিম যুবক-যুবতীদের কুরআন, হাদীছ নিয়ে গবেষণা করার ও ইবাদতের সময়টা ছিনিয়ে নিচ্ছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক ব্যবহারে যে সমস্ত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে তা নিমণরূপ।

১. গোপনীয়তা প্রকাশ :

যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা মাঝে মাঝেই নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। মন খারাপের মুহূর্ত, ভাল লাগার মুহূর্ত ইত্যাদি সম্পর্কে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এতে আপনি কখন কি করছেন সব বিষয়ে আপনার ফেসবুক বন্ধুরা জেনে যাচ্ছে। ফলে আপনার জীবনের কোন গোপনীয়তা থাকে না। এমন কি অনেকে চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ঘটনাগুলোও জনসম্মুখে প্রকাশ করছে। ফলে সহজেই সকলে আপনার গোপনীয় বিষয়গুলো জেনে যাচ্ছে।

২. ব্যক্তিত্ব :

ফেসবুক ব্যবহারে একজন মানুষের ব্যক্তিত্বে রহস্য বলে কিছু থাকে না। আপনার দেওয়া স্ট্যাটাস ও পোস্ট দেখে খুব সহজেই আপনার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে যে, আপনি কেমন, আপনার পসন্দ কি, অপসন্দ কি? আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?

৩. প্রেম :

বিবাহ বহির্ভূত নারী-পুরুষের প্রেম, ভালোবাসা সবই ইসলামে নিষিদ্ধ। অথচ ফেসবুকে নারী-পুরুষেরা অবাধে বন্ধুত্ব করছে। তারপর দিন-রাত চ্যাট করছে। এভাবে তাদের মাঝে অবৈধ সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে। ধীরে ধীরে এ সম্পর্ক ঘনিষ্ট হচ্ছে। এরপর দেখা করছে, ডেটিং করছে। অর্থ্যাৎ উম্মুক্ত ব্যাভিচারে জড়িয়ে পড়ছে। অথচ মহান আল্লাহ এ ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। আল্লাহর বাণী, وَلاَ تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ- ‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন কোন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আনআম ৬/১৫১)। তিনি আরোও বলেন, وَلاَ تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلاً- ‘তোমরা যেনার নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয়ই এটি অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ’ (বনী ইস্রাঈল ১৭/৩২)। এই ফেসবুকের ফলে বিশ্বের তরুণ সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে।

৪. অপরাধ প্রবণতা :

আজকাল ফেসবুকের মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা আরো এক ধাপ বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক ধর্মীয় জটিলতা নিয়ে ফেসবুকে বেশ কড়া আলোচনা-সমালোচনা চলে। ফলে দেশের তরুণরা বা এর মাধ্যমে নোংরা রাজনীতিতে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে তাদের জীবনের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। নাস্তিক তার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়। কেউ আবার সরকার, প্রশাসন, বিরোধীদল ইত্যাদি সম্পর্কে শাস্তিযোগ্য কটূক্তি করে। একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও মিথ্যা অপাবাদ দিয়ে থাকে। ফলে তাদের মাঝে গীবত করার প্রবনতা হু হু করে বেড়ে যায়। অথচ আল্লাহ  তায়ালা এ ব্যাপারে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,

وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ-

‘আর তোমরা একে অপরের গীবত কর না। তোমরা কি কেউ আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পসন্দ কর? অবশ্যই তা ঘৃণা করবে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী ও দয়ালু (হুজুরাত ৪৯/১২)। গীবতের পরিণতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ আরো বলেন, وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ  ‘দুর্ভোগ সম্মুখে ও পশ্চাতেলোকের নিন্দাকারীদের’ (হুমাযাহ ১০৪/১)।

৫. নৈতিক অবক্ষয় :

ফেসবুক একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই। কিন্তু আমাদের একটাই সমস্যা আমরা ভাল বিষয়কে ভালভাবে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নয়। প্রত্যেক বিষয়ের মন্দ দিকটাই আমরা চট করে গ্রহণ করি। ফেসবুক ও এর ব্যাতিক্রম নয়। এই জনপ্রিয় মাধ্যমটিকে ও আমরা অধিকাংশই সঠিকভাবে ব্যবহার করছি না। বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষেরা নিজেদের বা অন্যের নামে ছদ্দ নামে ‘ফেইক আইডি’ খুলে বিভিন্ন নারী পুরুষের সাথে অবৈধ ও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আবার এখানে অশ্লীল ছবি পোষ্ট করছে। দেখা গেছে, এদের অনেকেই বিবাহিত। এভাবে অনেক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটছে। অনেকেই আবার গোপন সম্পর্ক গড়ে তুলে ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে কথিত প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিজের শরীরের সব কিছু খুলে দেখাচ্ছে। আঊযুবিল্লাহ কতটা বিকৃত রুচিবোধ হলে এমনটা হতে পারে। এভাবে এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষের মনুষ্যত্ব, চরিত্র, ঈমান ও নীতি-নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

৬. হীনমন্যতা :

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুবক কিংবা যুবতী সবক্ষেত্রেই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত হীনমান্যতায় ভোগে। এই গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুক কিভাবে দ্রুত মানুষের আচরণ পরিবর্তন করছে। দুই সপ্তাহব্যাপী চলমান এই গবেষণায় দেখানো হয় ফেসবুক ব্যবহার কিভাবে একজন মানুষের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই বিলিয়নের বেশী। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী ব্যবহারকারী প্রতিদিন ফেসবুকে লগইন করে। প্রতিমুহূর্তে শত শত বন্ধুর সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য যে যখন পারছে চট করে ফেসবুকে ঢুঁ মারছে। অনেকেরই অভ্যাস ফেসবুকে রাত কাটিয়ে দেওয়া। এ সকল কারণেই অনেকের মাঝে তৈরী হয় বিষন্নতা সাথে নিজের উপর হীনমন্যতা।

ইন্টারনেট সাইক্লোজিস্ট গ্রাহাম বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহারের পর স্বাভাবিকভাবে সময় কাটানোটা অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়না, ফলে তারা যখনই ফেসবুকের বাইরে থাকেন তখন অনেকটা নিঃসঙ্গ সময় কাটান অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় ফেসবুক ব্যবহার এবং ভার্চুয়াল বন্ধুরাই তাদের জীবনের বেশীর ভাগ অংশ জুড়ে অবস্থান করেন। ফলে ফেসবুকের বাইরে বাস্তব জীবনের বিষয়ে তারা অনেকটা উদাসীন থাকে। এতে করে তারা বাস্তব জীবনে অনেকটা নিঃসঙ্গ সময় কাটায়। গবেষকরা উদ্বেগের সাথে বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যত বেশী এই সাইট ব্যবহার করেন। তাদের নিজেদের জীবনের বিষয়ে আত্মনির্ভশীলতা তত বেশী কমে যায়। তারা নিজেদের ক্ষেত্রে বাস্তব জীবনে অনেকটাই হীনমন্যতায় ভোগে।

৭. সময়ের অপচয় :

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সাধারণত দিনের অধিকাংশ মূল্যবান সময়টা ফেসবুকে কাটায়। অনেকেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘন্টাই ফেসবুকে কাটায়। এতে করে সময়ের মূল্যবোধটা তাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে, ‘Time and tied wait  for none‘ ‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না’। একথাটি আজকের তরুণ প্রজন্ম যেন ভুলেই গেছে। ফলে সময়ের মূল্য না দেওয়ার কারণে তারা জীবন সংগ্রাম থেকে ছিটকে পড়ে বহুদূর চলে যাচ্ছে।

৮. পড়াশোনার ক্ষতি :

প্রবাদ আছে, ‘Education is the backbone of a nation‘ ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’। অথচ অধিকাংশ ছাত্র সমাজ এই কথা ভুলে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ম্যাসেন্জার ইত্যাদি নিয়ে মেতে আছে। পড়াশোনার সময়টা তারা নষ্ট করছে এসবের পিছনে। এমনকি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার পূর্ব রাতে ফেসবুকে ডুবে থাকে। সেখানে আবার বেহায়ার মত পোষ্ট করে যে, সকাল বেলা আমার পরীক্ষা সকলে দো‘য়া করবেন। যে মূল্যবান সময়টা তাদের বই, খাতা, কলমের সাথে কাটানো যরূরী সেই সময়টা তারা ফেসবুকের পিছনে অপচয় করছে।

তাহ’লে চিন্তা করুন এই সব ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা দেশ-জাতি কি উপকার লাভ করবে। গোল্ডেন + ধারীরা বলতে পারে না S.S.C/H.S.C এর পূর্ণ রূপ কি? ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস? আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে? আর ইসলামী জ্ঞান? সেকথা নাইবা বললাম। এভাবে এই যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতগুলোকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করছে।

৯. কাজের ক্ষতি :

উন্নয়নশীল দেশগুলো যখন উন্নতির শিখরে পৌঁছার জন্য প্রতিটি মূহুর্ত গবেষণা ও কাজের পিছনে ব্যয় করছে। তখন আমাদের তরুণ ও যুব সমাজ পড়া-লেখা গবেষণা ও কাজ ফেলে ফেসবুক নিয়ে পড়ে আছে। এভাবে তারা মানব সম্পদ না হয়ে দেশের জন্য বোঝায় পরিণত হচ্ছে। আর উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে।

১০. অর্থের অপচয় :

আমাদের যুবসমাজ টাকা উপার্জন না করে, টাকা অপচয়ের খেলায় মেতেছে। বাপ মা কষ্টের পর কষ্ট করে সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য অর্থ উপার্জন করছে, আর ওদিকে সন্তানেরা তার মূল্য না দিয়ে গার্লফ্রেন্ড, বয় ফ্রেন্ড, ফেসবুক, ইন্টারনেটের পিছনে দু’হাতে টাকা নষ্ট করছে। এভাবে বসে বাবা মার কষ্টার্জিত টাকা একদিকে পানিতে ফেলছে, অপর দিকে সে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎটা সাথে সাথে পরকালটাকেও ঘোর অমনিশায় বিসর্জন দিচ্ছে।

১১.স্বাস্থ্যহানি :

দীর্ঘক্ষণ স্ক্রীনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও মাথাব্যাথা, মাথাঘোরা, অবসন্নতা, মনমরা, হওয়া সহ আরো অনেক স্বাস্থগত ক্ষতি সাধন করছে এই ফেসবুক ও ইন্টানেট ব্যবস্থা। এছাড়াও অনেকে অশ্লীল ও নোংরা ছবি ভিডিও ইত্যাদি দেখে খারাপ কাজে (যেনায়) লিপ্ত হচ্ছে। পরিণতিতে ইহকালে যেমন সে গনোরিয়া, সিফিলিস, ও এইডস সহ নানা দূরারোগ্য ব্যাধি ডেকে আনছে। তেমনি পরকালে ডেকে আনছে ভয়াবহ শাস্তির জাহান্নাম।

মুহাম্মাদ জা‘ফর ইকবাল তাঁর ডিজিটাল বন্ধু কবিতায় বলেন,

বন্ধু আমার পাকা সাতাশ হাযার!

ফেসবুকে তাদের সাথেই থাকি

বন্ধু ছাড়া এই জীবনের অর্থ আছে নাকী?

আমি যখন স্ট্যাটাস দিতে চাই,

দেবার আগেই শত শত লাইক পেয়ে যাই।

শুনে বন্ধু হি হি করে হাসে।

হেসে হেসে বলে,

ধরতে পারি ছুঁতে পারি একটা বন্ধু চাই

ডিজিটাল হাযার বন্ধুর কোনো দরকার নাই।

তাই আসুন! আমরা আমরা এই নোংরামী কাজ বন্ধ করে সুস্থ, সুন্দর ও পাপ-পংকিলতা মুক্ত জীবন গঠনে ব্রতী হই। সেই সাথে ইন্টারনেট, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস এ্যাপ, ইমো ইত্যাদি হ’তে উপকারিতা লাভ করি। এগুলোকে ইসলামী দাওয়াত প্রচারের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!

[লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ দিনাজপুর পূর্ব সাংগঠনিক যেলা]



বিষয়সমূহ: পাপ
আরও