ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ : কিছু সংশয় পর্যালোচনা

আহমাদুল্লাহ 1556 বার পঠিত

ভূমিকা : ছালাতের যে ক’টি বিষয়ে আমাদের মাঝে অস্পষ্টতা রয়েছে তন্মধ্যে ইমামের পিছে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠের বিষয়টি অন্যতম। যারা ইমামের পিছে সূরা ফাতিহা পাঠ অসিদ্ধ বলে মনে করেন বা বিরোধিতা করেন, তারা কোন দলীলের ভিত্তিতে এমনটি করেন-সে বিষয়টির পর্যালোচনা হওয়া যরূরী। কেননা এগুলি অনেকের মনে সংশয়ের বীজ বপন করছে। নিমেণ এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হল-

দলীল-১ :

ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন,حدثني المثنى قال: حدثنا أبو صالح قال: حدثنا معاوية، عن علي، عن ابن عباس، قوله : (وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له)، يعني : في الصلاة المفروضة যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর এবং  চুপ থাক। যেন তোমাদের প্রতি রহম করা হয় অর্থাৎ ফরয ছলাতের মধ্যে।[1]

পর্যালোচনা : সনদ যঈফ। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেছেন, على هو ابن أبى طلحة، لم يسمع من ابن عباس আলী বিন আবী ত্বালহা ইবনে আববাস হ’তে শ্রবণ করেন নি।[2] হাফেয ইবনে হাজার (রহঃ) বলেছেন, علي ابن أبي طلحة سالم مولى بني العباس سكن حمص أرسل عن ابن عباس ولم يره من السادسة صدوق قد يخطىء مات سنة ثلاث وأربعين আলী বিন আবী ত্বালহা...ইবনে আববাস হ’তে মুরসাল বর্ণনা রেওয়ায়েত করেছেন। তিনি তাকে দেখেননি। তিনি ষষ্ঠ ত্বাবাকার রাবী। তিনি সত্যবাদী, মাঝে মাঝে ভুল করতেন। তিনি ৪৩ হিজরীতে মারা গিয়েছেন’।[3]

দলীল-২ :

حدثنا أبو كريب قال: حدثنا المحاربي، عن داود بن أبي هند، عن بشير بن جابر قال: صلى ابن مسعود، فسمع ناسًا يقرأون مع الإمام، فلما انصرف قال: أما آن لكم أن تفقهوا! أما آن لكم أن تعقلوا؟ (وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا) ، كما أمركم الله-

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) ছালাত পড়ছিলেন। তখন কতিপয়  লোককে ইমামের সাথে ক্বিরাআত পড়তে শুনলেন। ছালাত শেষে তিনি বললেন, তোমাদের কি অনুধাবন করার সময় আসেনি, তোমাদের কি বুঝার সময় হয়নি? যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে’।[4]

পর্যালোচনা : সনদ যঈফ। প্রথমত : বাশীর বিন জাবের ও মুহারিবী উভয়েই মাজহূল। ‘মুহারিবী’ বলতে কোন্ মুহারিবী তা আমরা জানতে সক্ষম হইনি। এ সম্পর্কে শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ (রহঃ) বলেছেন, ‘বাশীর বিন জাবেরের জীবনী কোন গ্রন্থেই পাওয়া যায়নি। এমন রাবী যার জীবনী পাওয়া যায় না তিনি মাজহূল বা মাসতূর হয়ে থাকেন। সরফরায খান ছফদর দেওবন্দী স্বীয় আল্লামা যুবায়দী হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম ছাহেবের (আবূ হানীফা) নিকটে মাজহূলের বর্ণনা প্রত্যাখ্যাত হয়’।[5]

বাশীর বিন জাবের ছাহেবকে ‘হাদীছ আওর আহলেহাদীছ’ বইটির গ্রন্থকার ‘ইয়াসির বিন জাবের’ লিখেছেন। এর সনদের একজন রাবী ‘আল-মুহারিবী’র নির্দিষ্ট পরিচয় রিজালের গ্রন্থসমূহ থেকে অনুসন্ধান করতে হবে। দ্বিতীয় এই যে, এই রেওয়ায়েতে ‘ইমামের সাথে ক্বিরাআত করতে শুনেছেন’ দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রকাশ হয় যে, তারা ইমামের পিছে উচ্চস্বরে ক্বিরাআত করেছিলেন। আর এটি সাধারণ জনগণেরও জানা আছে যে, আহলেহাদীছদের নিকটে ওযর ব্যতীত (যেমন ক্বিরাআতের ভুল ধরা) ইমামের পিছে জেহরী ক্বিরাআত নিষিদ্ধ।[6]

দলীল-৩ :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا : اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ -

আবূ হুরায়রা হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই ইমামকে নিয়োগ করা হয়েছে তাকে অনুসরণ করার জন্য। যখন সে তাকবীর দিবে তখন তোমরাও তাকবীর দিবে। আর যখন সে ক্বিরাআত করে তখন তোমরা চুপ থাকবে। আর যখন সে বলবে, সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ, তখন তোমরা বলবে আল্লাহুম্মা রববানা লাকাল হামদ’।[7]

পর্যালোচনা : এই হাদীছটি সম্পর্কে শায়েখ যুবায়ের আলী যাঈ বলেন, ‘এই রেওয়ায়াতটি মানসূখ বা রহিত। এই হাদীছের রাবী আবূ হুরায়রা (রাঃ) জেহরী ছালাতসমূহেও ইমামের পিছনে ফাতিহা পাঠের হুকুম দিতেন’।[8]

রাবী যদি নিজের বর্ণনার বিরোধী ফৎওয়া দেন তবে ঐ রেওয়ায়াতটি হানাফীদের উছূল অনুযায়ীও মানসূখ হয়ে যায়’।[9]

দলীল-৪ :

أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : انْصَرَفَ مِنْ صَلاةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ، فَقَالَ : هَلْ قَرَأَ مَعِيَ مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ : أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ : فَقَالَ : إِنِّي أَقُولُ مَا لِي أُنازَعَ الْقُرْآنَ ؟ فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا جَهَرَ بِهِ مِنَ الصَّلاةِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ  -

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) ছালাত শেষ করলেন, যে ছালাতে তিনি উচ্চস্বরে ক্বিরাআত পড়ছিলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কেউ কি একটু পূর্বে আমার সাথে কুরআন পড়েছে? তখন একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! হ্যাঁ, আমি পড়েছি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তাই তো বলেছি আমার সাথে কুরআন নিয়ে টানাটানি হচ্ছে কেন? লোকেরা যেদিন রাসূল (ছাঃ) হ’তে একথা শুনলেন তখন থেকে সেসব ছালাতে কুরআন পড়া ছেড়ে দিলেন, যেসব ছালাতে রাসূল (ছাঃ) উচ্চস্বরে কুরআন পড়তেন’।[10]

পর্যালোচনা : এটাও মানসূখ। উপরের হাদীছের তাহক্বীক্বে মানসূখের কারণ বলা হয়েছে।

দলীল-৫ :

حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ حَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَلُّ مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ-

জাবের হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির ইমাম আছে, তার ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত বলে গণ্য হবে’।[11]

পর্যালোচনা : যঈফ হাদীছ। এর একাধিক সনদ রয়েছে। আবুয যুবায়ের সম্পর্কে ইমামগণের মন্তব্য নিম্নরূপ-

(১) ইবনে হাজার (রহঃ) বলেছেন, محمد بن مسلم بن تدرس المكي أبو الزبير من التابعين مشهور بالتدليس ‘আবুয যুবায়ের তাবেঈদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাদলীসের কারণে প্রসিদ্ধ’।[12] তিনি আরো বলেছেন, أبو الزبير المكي صدوق إلا أنه يدلس من الرابعة আবুয যুবায়ের আল-মাক্কী সত্যবাদী। কিন্তু তিনি তাদলীস করতেন। তিনি চতুর্থ স্তরভুক্ত’।[13]

(২) ইমাম নাসাঈ (রহঃ) বলেছেন, وَكَانَ يُدَلِّسُ ‘তিনি তাদলীস করতেন’।[14]

(৩) সুয়ূত্বী (রহঃ)[15] বুরহানুদ্দীন হালাবী (রহঃ)[16] ইবনুল ইরাক্বী (রহঃ)[17] তাকে প্রসিদ্ধ মুদাল্লিস হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

(৪) শায়খ আলবানী[18] শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ[19] এবং শায়খ ইরশাদুল হক আছারী[20] তাকে মুদাল্লিস বলেছেন।

দ্বিতীয় সমালোচিত রাবী : অপর রাবী জাবের আল-জু‘ফী চরম সমালোচিত রাবী। নিমেণ তাঁর সম্পর্কে ইমামদের মতামত উল্লেখ করা হল-

(১) হাফেয হায়ছামী (রহঃ) বলেছেন, وَفِيهِ جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعَفِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَقَدْ وَثَّقَهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ  ‘এতে জাবের বিন ইয়াযীদ আল-জু‘ফী আছেন। তিনি যঈফ। যদিও শু‘বা ও সুফিয়ান তাকে ছিক্বাহ বলেছেন’।[21]

(২) শায়েখ আলবানী (রহঃ) বলেছেন, وجابر هو ابن يزيد الجعفى وهو متروك ‘জাবের বিন ইয়াযীদ আল-জু‘ফী পরিত্যক্ত রাবী’।[22]

(৩) ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেছেন, ضَعَّفُوهُ মুহাদ্দিছগণ তাকে দুর্বল বলেছেন’।[23]

(৪) ইমাম বুখারী[24], ইমাম মুসলিম[25], ইমাম নাসাঈ[26], ইবনে আবী হাতেম[27], ইবনে হিববান[28] এবং ইবনে আদী[29] সহ আরো অনেক বিদ্বান তার সমালোচনা করেছেন। উপরের আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হ’ল যে, জাবের জু‘ফী প্রত্যাখ্যাত রাবী। কেউ কেউ তাকে কাযযাবও বলেছেন।

উল্লেখ্য যে, এর অন্য একটি সনদে জাবের জু‘ফীর পরিবর্তে ‘লায়ছ বিন আবী সুলাইম’ রয়েছেন। তিনিও যঈফ রাবী। তিনি সত্যবাদী। কিন্তু শেষ বয়সে ইখতিলাত্বের শিকার হন। আর তাঁর হাদীছসমূহের মাঝে পার্থক্য করতে পারতেন না (কোন হাদীছটি ইখতিলাত্বের আগে আর কোনটি পরের তা বুঝতে পারতেন না)। ইবনুল জাওযী[30], আবুল হাসান ইবনুল ক্বাত্ত্বান[31] ইবনে আব্দুল হাদী[32] হাফেয যায়লাঈ[33] হাফেয হায়ছামী[34] হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী[35] তাকে যঈফ ও মুদাল্লিস বলেছেন।

তাছাড়াও এখানে আমভাবে ক্বিরাআতের কথা এসেছে। ইমামের পিছে আমভাবে যে কোন সূরা পাঠ করা নিষেধ। কিন্তু সূরা ফাতেহা ব্যতীত। ফাতেহাও ক্বিরাআতের অন্তুর্ভুক্ত। তবে ক্বিরাআত দ্বারা আমভাবে ফাতেহা সহ সকল সূরাকে বুঝানো হয়। আমভাবে ক্বিরাআত পাঠ করা নিষেধ। তবে খাছভাবে সূরা ফাতেহা পাঠ করা ওয়াজিব।

দলীল-৬ :

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْحَكَمِ، حَدَّثَهُمْ، أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي الْعَتَّابِ، وَابْنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا جِئْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ وَنَحْنُ سُجُودٌ فَاسْجُدُوا، وَلَا تَعُدُّوهَا شَيْئًا، وَمَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ، فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ -

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমরা সেজদায় থাকাবস্থায় যদি তোমরা ছালাতে শরীক হও তবে তোমরাও সেজদা করবে। সেটাকে কিছু গণ্য করবে না। আর যে ব্যক্তি রুকূ পেল সে যেন পুরো ছালাত পেল তথা ঐ রাক‘আতটি পেল’।[36]

পর্যালোচনা : সনদ যঈফ। এখানে ইয়াহইয়া নামে একজন সমালোচিত রাবী আছেন। তার সম্পর্কে ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) বলেছেন, تَفَرَّدَ بِهِ يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ هَذَا، وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ ইয়াহইয়া বিন আবী সুলায়মান শক্তিশালী নন’।[37] ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেন, رَوَاهُ أَبُو دَاوُد بِإِسْنَاد فِيهِ يَحْيَى بن أبي سُلَيْمَان الْمَدِينِيّ، وَهُوَ ضَعِيف ‘এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। এতে ইয়াহইয়া বিন আবী সুলায়মান আল-মাদীনী আছেন। তিনি যঈফ রাবী’।[38] 

দলীল-৭ :

عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ أَنَّ هُبَيْرَةَ بْنَ يَرِيمَ أَخْبَرَهُ، عَنْ عَلِيٍّ، وَابْنِ مَسْعُودٍ قَالَا: مَنْ لَمْ يُدْرِكِ الرَّكْعَةَ الْأُولَى فَلَا يَعْتَدَّ بِالسَّجْدَةِ -

আলী ও ইবনে মাসঊদ বলেছেন, যে ব্যক্তি রুকূ পেল না সে যেন সিজদা করেই সেটাকে রাক‘আত গণ্য না করে’।[39]

পর্যালোচনা : এর সনদ যঈফ। কারণ এখানে ‘আবূ ইসহাক্ব আস-সাবীঈ’ তাদলীস করেছেন। ‘আসমাউল মুদাল্লিসীন’ গ্রন্থে আছে যে, كثير التدليس ويعرف بالإمام তিনি অত্যধিক তাদলীসকারী এবং ইমাম হিসাবে পরিচিত।[40] ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) তাঁকে মুদাল্লিস বলেছেন।[41] শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) তাঁকে মুদাল্লিস রাবী বলেছেন।[42]

দলীল-৮ : 

حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، وَأَنَسِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: تَكْفِيكَ قِرَاءَةُ الْإِمَامِ ­-

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেছেন, ইমামের ক্বিরাআতই তোমার জন্য যথেষ্ট।[43]

তাহক্বীক্ব : হাদীছটি যঈফ। শায়খ আলী যাঈ (রহঃ) বলেছেন, আনাস বিন সীরীন ৩৩ বা ৩৪ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেছেন।[44] ওমর (রাঃ) ২৩ হিজরীতে শহীদ হয়েছিলেন।[45] নাফে‘ ওমর (রাঃ)-কে পান নি।[46] সুতরাং এই বর্ণনাটি মুনক্বাত্বি বা বিচ্ছিন্ন। 

দলীল-৯ :

‘রাসূল (ছাঃ), আবূ বকর, ওমর এবং ওছমান (রাঃ) ইমামের পিছে ক্বিরাআত পাঠ হ’তে নিষেধ করতেন’[47]

তাহক্বীক্ব : প্রখ্যাত দেওবন্দী আলেম মাওলানা আব্দুল মতীন ছাহেব বলেছেন, ‘এর সনদে আব্দুর রহমান ইবনে যায়েদ আছেন, তিনি যঈফ’।[48]

দলীল-১০ :

عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: عَهِدَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: أَنْ لَا تَقْرَؤُوا مَعَ الْإِمَامِ­-

ওমর (রাঃ) দৃঢ়ভাবে বলেছেন, তোমরা ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ কর না’।[49]

পর্যালোচনা : এখানে সুফিয়ান বিন উয়ায়নাহ (রহঃ) তাদলীস করেছেন। ইমাম নাসাঈ[50], বুরহানুদ্দীন হালাবী[51] সহ অন্যরা তাকে মুদাল্লিস রাবী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

দলীল-১১ :

 عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: مَنْ قَرَأَ مَعَ الْإِمَامِ فَلَيْسَ عَلَى الْفِطْرَةِ قَالَ: وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: مُلِئَ فُوهُ تُرَابًا قَالَ: وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: وَدِدْتُ أَنَّ الَّذِي يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي فِيهِ حَجَرٌ ইবনু মাসঊদ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়ে তার মুখ যদি মাটিতে ভরে যেত’।[52]

পর্যালোচনা : মুহাম্মাদ বিন আজলান (রহঃ) ইবনে মাসঊদ (রাঃ)-কে পাননি। এটা মুহতারাম আব্দুল মতীন ছাহেবও স্বীকার করেছেন।[53]

দলীল-১২ :

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا حَدِيجُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: لَيْتَ الَّذِي يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ مُلِئَ فُوهُ تُرَابًا-

ইবনু মাসঊদ বলেছেন, ‘যে ইমামের পিছে কিরাআত পাঠ করে তার মুখ যদি আগুনে ভরে যেত![54]

পর্যালোচনা : এটা অবিচ্ছিন্ন সূত্রে বর্ণিত নয়। কারণ এখানে আবূ ইসহাক্ব সাবীঈ রয়েছেন যিনি মুদাল্লিস রাবী। আর মুদাল্লিস রাবীর ‘আন’ যোগে বর্ণনা করা প্রসঙ্গে আব্দুল মতীন ছাহেব লিখেছেন, ‘আর স্বীকৃত কথা যে, মুদাল্লিস রাবী যদি আন (হতে বা থেকে) শব্দ যোগে বর্ণনা করেন, তবে সেটি অবিচ্ছিন্ন সূত্র বলে বিবেচিত হয় না’।[55]

অপর রাবী হুদাইজ সম্পর্কে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেছেন, ‘এর সনদটি যঈফ। এতে হুদাইজ বিন মুআবিয়া রয়েছেন। তিনি যঈফ। যেমনটি ইমাম নাসাঈ ও অন্যরা বলেছেন’।[56] হাফেয হায়ছামী (রহঃ) বলেছেন, وَفِيهِ حُدَيْجُ بْنُ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: مَحَلُّهُ الصِّدْقُ يُكْتَبُ حَدِيثُهُ এতে হুদাইজ বিন মুআবিয়া রয়েছেন। তিনি যঈফ। আবূ হাতেম বলেছেন, তিনি সত্যবাদী স্তরের। তার হাদীছ লেখা যাবে।[57] মুসনাদে আহমাদের টীকাকারগণ হুদাইজকে যঈফ বলেছেন।[58] ইমাম ইবনে মাঈন (রহঃ) বলেছেন, ‘হুদাইজ (হাদীছ বর্ণনায়) কিছুই নন’।[59] ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, ‘মুহাদ্দিছগণ তার কতিপয় হাদীছে সমালোচনা করেছেন’।[60] ইমাম নাসাঈ (রহঃ) বলেছেন, حديج بن مُعَاوِيَة بَصرِي لَيْسَ بِالْقَوِيّ হুদাইজ বিন মুআবিয়া হ’লেন বছরার অধিবাসী। তিনি শক্তিশালী নন’।[61]

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হ’ল যে, হুদাইজ হ’লেন যঈফ রাবী। যাকে জমহুর ইমামগণ সমালোচনা করেছেন।

দলীল-১৩ :

حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ : أَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ؟ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ : إِنَّ فِي الصَّلَاةِ شُغْلًا، وَسَيَكْفِيكَ ذَاكَ الْإِمَامُ-

আবূ ওয়াইল হ’তে বর্ণিত যে, একজন ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদের নিকটে আসলেন। তিনি বললেন, আমি কি ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করবো? আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ তাকে বললেন, নিশ্চয় ছালাতে গভীর ধ্যান এবং মনোযোগ দিতে হয়। আর এর জন্য ইমামই তোমার জন্য যথেষ্ট।[62]

পর্যালোচনা : এখানে আমভাবে ক্বিরাআতের কথা আছে। খাছভাবে ফাতিহা পড়ার নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ থাকতে হবে। তা না হলে আম দলীল দ্বারা খাছ দলীলকে বাতিল করা হবে যা গ্রহণীয় নয়।

দলীল-১৪ :

حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي نِجَادٍ، عَنْ سَعْدٍ قَالَ: وَدِدْتُ أَنَّ الَّذِي يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي فِيهِ جَمْرَةٌ -

যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করবে তার মুখে (যদি) জ্বলন্ত অঙ্গার হত![63]

পর্যালোচনা : সনদ যঈফ। এখানে কাতাদা নামক একজন প্রসিদ্ধ রাবী রয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে হাফেয যাহাবী (রহঃ) বলেছেন, ‘তিনি মুদাল্লিস।[64] হাফেয আলাঈ (রহঃ) বলেছেন, قتادة بن دعامة السدوسي أحد المشهورين بالتدليس وهو أيضا يكثر من الإرسال عن مثل النعمان بن مقرن وسفينة ونحوهما ক্বাতাদা বিন দিআমাহ অন্যতম প্রসিদ্ধ মুদাল্লিস রাবী। তিনি প্রচুর পরিমাণে মুরসাল বর্ণনা রেওয়ায়াত করতেন।[65]

ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেছেন, قتادة بن دعامة السدوسي البصري صاحب أنس بن مالك رضي الله تعالى عنه كان حافظ عصره وهو مشهور بالتدليس وصفه به النسائي وغيره ‘ক্বাতাদা বিন দিআমাহ আস-সাদূসী আল-বছরী আনাস বিন মালেক (রাঃ) এর ছাত্র। তিনি তার যামানার যুগশ্রেষ্ঠ হাফেয ছিলেন। এবং তিনি তাদলীসের কারণে প্রসিদ্ধ। নাসাঈ ও অন্যরা তাকে মুদাল্লিস রাবী হিসাবে উল্লেখ করেছেন’।[66]

অপর রাবী আবূ নিজাদ হলেন মাসতূর বা মাজহূলুল হাল।

দলীল-১৫ :

হাম্মাদ বলেছেন,  وَدِدْتُ أَنَّ الَّذِي يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ مُلِئَ فُوهُ سَكَرًا- ‘যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়ে তার মুখ যদি মাদকে পূর্ণ হত!’[67]

পর্যালোচনা : এর কোন সনদ ইমাম বুখারী (রহঃ) উল্লেখ করেননি। আমাদের জানামতে এর কোন সনদ নেই। না যঈফ আর না ছহীহ।

দলীল-১৬ :

আলী বলেছেন, مَنْ قَرَأَ مَعَ الْإِمَامِ فَلَيْسَ عَلَى الْفِطْرَةِ ‘যে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করে সে স্বাভাবিক নিয়মের উপর নেই’।[68]

পর্যালোচনা : মুহাম্মাদ বিন আজলান মুদাল্লিস রাবী। তার মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। তদুপরি তার সাথে আলীর সাক্ষাৎ হওয়া প্রমাণিত নয়। ইবনে হাজার (রহঃ) বলেছেন, محمد بن عجلان المدني تابعي صغير مشهور من شيوخ مالك وصفه بن حبان بالتدليس মুহাম্মাদ বিন আজলান আল-মাদানী স্বল্পবয়সী তাবেঈ এবং প্রসিদ্ধ। তিনি ইমাম মালেকের অন্যতম উস্তাদ। ইবনে হিববান তাকে মুদাল্লিস বলেছেন।[69] সুতরাং বর্ণনাটি যঈফ।

দলীল-১৬ :

আলী বলেছেন, مَنْ قَرَأَ خَلْفَ الْإِمَامِ فَقَدْ أَخْطَأَ الْفِطْرَةَ ‘যে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করলো সে স্বাভাবিক ধর্ম হতে বিচ্যুত হয়ে গেল’।[70]

পর্যালোচনা : যঈফ। মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান দুর্বল রাবী।[71] শায়খ আলবানী তাকে যঈফ বলেছেন।[72]

দলীল-১৭ :

حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: مَنْ قَرَأَ خَلْفَ الْإِمَامِ فَلَا صَلَاةَ لَهُ-

যায়েদ বিন ছাবেত বলেছেন, যে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করল তার কোন ছালাত নেই।[73]

পর্যালোচনা : এর সকল রাবীই ছিক্বাহ। তবে মূসা বিন সা‘দ বিন যায়েদের সাথে তার দাদা যায়েদ বিন ছাবেতের সাক্ষাৎ হওয়া প্রমাণিত নয়। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, وَلَا يُعْرَفُ لِهَذَا الْإِسْنَادِ سَمَاعٌ بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ وَلَا يَصِحُّ مِثْلُهُ এই সনদের রাবীদের একে অপর থেকে হাদীছ শ্রবণের বিষয়টি অজ্ঞাত। আর এমন (বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত) হাদীছ ছহীহও হয় না।[74] অত্র মওকূফ বর্ণনাটি যঈফ হলেও এর মরফূ সূত্রে বর্ণিত হাদীছটি জাল। এটাকেই আলবানী (রহঃ) ‘বাতিল’ বলেছেন।[75]

সারকথা : মারফূ হিসাবে এটা জাল। তবে মওকূফ হিসাবে যঈফ, সনদে বিচ্ছিন্নতা থাকার কারণে।

দলীল-১৮ :

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ , ثنا عَلِيُّ بْنُ زَكَرِيَّا التَّمَّارُ , ثنا أَبُو مُوسَى الْأَنْصَارِيُّ , ثنا عَاصِمُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ , عَنْ عَوْنٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَكْفِيكَ قِرَاءَةُ الْإِمَامِ خَافَتَ أَوْ جَهَرَ-

ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেছেন, ইমামের ক্বিরাআতই তোমার জন্য যথেষ্ট। আস্তে পাঠ করুক বা জোরে।[76]

পর্যালোচনা : সনদ যঈফ। ইমাম দারাকুতনী নিজেই বলেছেন, عَاصِمٌ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ , وَرَفْعُهُ وَهْمٌ ‘আছেম শক্তিশালী নন। একে মরফূ হিসাবে বর্ণনা করায় তার ভ্রম হয়েছে’।[77] এছাড়াও এখানে ক্বিরাআতের কথা আছে। খাছভাবে সূরা ফাতিহার কথা নেই। ইমাম বাযযার (রহঃ)

বলেছেন, وَعَاصِمٌ فَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ ‘আছেম শক্তিশালী নন’।[78] ইমাম মুগলত্বাঈ হানাফী (রহঃ) বলেছেন, ‘বায়হাক্বী এটা আছেম বিন আবদুল আযীয হতে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি যঈফ রাবী’।[79] হাফেয যাহাবী (রহঃ) বলেছেন, ‘আছেম বিন আব্দুল আযীয হলেন যঈফ’।[80] ইমাম আবূ যুরআহ (রহঃ) বলেছেন, ‘আমি বললাম, আছেম বিন আব্দুল আযীয কেমন? তিনি বললেন, আছেম শক্তিশালী রাবী নন’। বুখারী (রহঃ) বলেছেন, ‘আছেম বিন আব্দুল আযীয আল-আশজাঈর ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে’।[81]

উপসংহার :

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হয়েছে যে, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পক্ষে আলোচ্য দলীলগুলি গ্রহণযোগ্য নয়। আর কিরাআত পাঠের নিষিদ্ধতা সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছগুলো আম দলীল। এগুলোতে খাছভাবে সূরা ফাতিহার কথা না পড়ার কথা বলা নেই। সুতরাং এ সকল দলীলের ভিত্তিতে ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ থেকে বিরত থাকা যাবে না। আল্লাহ আমাদেরকে হক বুঝার ও মানার তাওফীক দান করুন-আমীন!



[1]. ইবনে জারীর হা/১৫৬০৪। 

[2]. আল-ইরওয়া হা/১৪১১। 

[3]. তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৪৭৫৪। 

[4]. ইবনে জারী, তাফসীরে ত্বাবারী হা/১৫৫৮৪। 

[5]. আহসানুল কালাম ২/৯৫। 

[6]. যুবায়ের আলী যাঈ, মাসআলা ফাতেহা খলফাল ইমাম, পৃঃ ১০৮।

[7]. নাসাঈ হা/৯২১; আবূ দাঊদ হা/৬০৩; তিরমিযী হা/৩৬১।

[8]. দ্র. আছারুস সুনান হা/৩৫৮; মুসনাদুল হুমায়দী, দেওবন্দী নুসখা হা/৯৭৪।

[9]. দ্র. ত্বাহাবী, শারহু মাআনিল আছার ১/২৩; আছারুস সুনান মাআত তালীক্ব পৃ. ২০; তাওযীহুস সুনান ১/১০৭; খাযায়েনুস সুনান ১/১৯১, ১৯২; উমদাতুল ক্বারী ৩/৪১; হুসাইন আহমাদ, তাক্বরীরে তিরমিযী পৃ. ২১০।

[10]. মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালেক হা/১১১।

[11]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৮০২।

[12]. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ১০১। 

[13]. আত-তাক্বরীব, রাবী নং ৬২৯১। 

[14]. আস-সুনানুল কুবরা হা/২১১২; যিকরুল মুদাল্লিসীন, রাবী ১৫।

[15]. আসমাউল মুদাল্লিসীন জীবনী নং ৫৪।

[16]. আত-তাবঈন লি আসমাইল মুদাল্লিসীন জীবনী নং ৭২।

[17]. আল-মুদাল্লিসূন জীবনী নং ৫৯।

[18]. আহকামুল জানায়েয পৃ. ১৬০।

[19]. আল-ফাতহুল মুবীন পৃ. ১২০।

[20]. মুসনাদুস সার্রাজ হা/৫৭২।

[21]. মাজমা হা/১৭৪২।

[22]. আল-ইরওয়া হা/১১৪৯।

[23]. তাফসীর ইবনু কাছীর ৩/৪৭।

[24]. আয-যুআফাউছ ছগীর, রাবী নং ৫০।

[25]. আল-কুনা ওয়াল আসমা, রাবী নং ২৯১৮।

[26]. আয-যুআফা ওয়াল-মাতরূকীন, রাবী নং ৯৮।

[27]. আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, রাবী নং ২০৪৩।

[28]. আল-মাজরূহীন, রাবী নং ১৭৩।

[29]. আল-কামিল, রাবী নং ৩২৬।

[30]. আত-তাহকীক ফী মাসাইলিল খিলাফ হা/১৩১৫।

[31]. বায়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ঈহাম ফী কুতুবিল আহকাম ৫/২৯৫।

[32]. তানকীহুত তাহকীক ৩/২৩৪।

[33]. নাছবুর রায়াহ ২/৪৭৫।

[34]. মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৬৩৬৪।

[35]. ইতহাফুল মাহারাহ হা/২৭৬০; তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৫৬৮৫; তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, নং ১৬/১৬৮।

[36]. আবূ দাঊদ হা/৮৯৩।

[37]. মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার হা/৩৪৬৫।

[38]. খুলাছাতুল আহকাম হা/২৩২৪।

[39]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/৩৩৭১।

[40]. রাবী নং ৪৫।

[41]. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯১।

[42]. ছহীহাহ হা/১৭০১।

[43]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৭৮৪।

[44]. তাহযীবুত তাহযীব ১/৩৭৪।

[45]. তাকরীবুত তাহযীব, জীবনী নং ৪৮৮৮।

[46]. ইতহাফুল মাহরাহ ১২/৩৮।

[47]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/২৮১০।

[48]. দলীলসহ নামাযের মাসায়েল পৃ. ১৫৬।

[49]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/২৮০৪।

[50]. যিকরুল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ১৮।

[51]. আত-তাবঈন লি-আসমাইল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ২৬।

[52]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/২৮০৬।

[53]. দলীলসহ নামাযের মাসায়েল পৃ. ১৫৭।

[54]. শারহু মাআনিল আছার হা/১৩১০।

[55]. দলীলসহ নামাযের মাসায়েল পৃ. ৮৭।

[56]. আল-ইরওয়া হা/৫০৩।

[57]. মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১১৪৫৯।

[58]. তাহকীক মুসনাদে আহমাদ ৭/৪০৯।

[59]. তারীখে ইবনে মাঈন, দূরীর বর্ণনা, ক্রমিক নং ১৩১৯।

[60]. আত-তারীখুল কাবীর, ক্রমিক ৩৮৮; আয-যুআফাউছ ছগীর, ক্রমিক ৯৯।

[61]. আয-যুআফাউল মাতরূকীন, জীবনী নং ১২১।

[62]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৭৮০।

[63]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৭৮২।

[64]. সিয়ারু আলামিন নুবালা, রাবী নং ১৩২; মীযানুল ইতিদাল, রাবী নং ৬৮৬৪।

[65]. জামেউত তাহছীল, রাবী নং ৬৩৩; এছাড়াও আল-মুদাল্লিসীন রাবী নং ৪৯; আত-তাবঈন লি-আসমাইল মুদাল্লিসীন রাবী নং ৫৭ ইত্যাদি।

[66]. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯২; আল-ফাতহুল মুবীন পৃ. ১১১, রাবী নং ৯২।

[67]. বুখারী, জুযউল ক্বিরাআত পৃ. ১৪।

[68]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব হা/২৮০৬।

[69]. তাবাকাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৯৮; আল-ফাৎহুল মুবীন পৃ. ১১৭; তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬১৩৬।

[70]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৭৮১।

[71]. ড. সাদ বিন নাছির বিন আব্দুল আযীয, তাহকীক মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ ৩/৩৩১।

[72]. ইরওয়া হা/৫০৩।

[73]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৭৮৮।

[74]. তাহকীক জুযউল ক্বিরাআত হা/৪৫।

[75]. যঈফা হা/৯৯৩।

[76]. দারাকুতনী হা/১২৫২।

[77]. ঐ।

[78]. মুসনাদুল বাযযার হা/৩৮২।

[79]. শরহে ইবনে মাজাহ হা/৯৪৩-এর আলোচনা দ্র.।

[80]. তানকীহুত তাহকীক মাসআলা নং ১২৬; আরো দেখুন : আল-কাশিফ, রাবী নং ২৫০৫; আল-মুগনী ফিয যুআফা, রাবী নং ২৯৮৬; আল-মুক্বতানা ফী সারদিল কুনা, রাবী নং ৩৯০৭।

[81]. আয-যুআফাউল কাবীর, ক্রমিক নং ১৩৬৪।



বিষয়সমূহ: ছালাত পর্যালোচনা
আরও