মুসলিম যুবকের পরিচয়

ড. নূরুল ইসলাম 9108 বার পঠিত

আমাদের মধ্যে এমন অনেক যুবক রয়েছে যারা মুসলিম হওয়ার জন্য ইসলামী পরিবারে প্রতিপালিত হওয়া, মুহাম্মাদ বা মোস্তফা নাম রাখা এবং আদমশুমারীর সময় মুসলিম তালিকাভুক্ত হওয়াকেই যথেষ্ট মনে করে। অতঃপর তার এবং ইসলামের সাথে সম্পর্কহীন একজন যুবকের মাঝে নির্গলিতার্থে আর কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণেই আমি ‘ মুসলিম যুবকের পরিচয়’ বিষয়টিকে আলোচনার জন্য বেছে নিয়েছি।

মুসলিম উম্মাহের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দৃষ্টি এমন এক সভ্যতা বিনির্মাণে নিবদ্ধ যার প্রাণ হল ঈমান, শরীর ইসলামী বিধি-বিধান এবং পোষাক হল রাসূল (ছাঃ)-এর চরিত্র। যা অতীতেও পরিচ্ছন্ন ও আলোকজ্জ্বল ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব সেই যুবকের পরিচয় জানা অবশ্য কর্তব্য, যে এই সুউচ্চ সভ্যতা বিনির্মাণের জন্য স্বীয় হাত প্রসারিত করতে সক্ষম।

  • এ কাজের জন্য উপযুক্ত সেই মুসলিম যুবক, যে নিজেকে প্রকৃত মুসলিম হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে সুদৃঢ় মানসিকতার অধিকারী। যে গভীর মনোযোগ সহকারে কুরআন মাজীদ পাঠ করে এবং উহার আলোকজ্জ্বল আয়াতসমূহে চিন্তা-ভাবনা নিবদ্ধ করে। অবশেষে তার অন্তর কুরআনের সুমহান হিকমত ও অনুপম উপদেশাবলী দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার উপর এমন কিতাব অবতীর্ণ করেছি যা তাদের নিকট আবৃত্তি করা হয়ে থাকে’ (আনকাবূত ৫১)
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক সে-ই যে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না। সে হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশ থেকে বিশ্বাস করে যে, একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টিজগত পরিচালনা করেন। কাজেই অকল্যাণ দূরকারী এবং ক্ষতি সাধনকারী তিনি ব্যতীত কেউ নেই। এই সঠিক আক্বীদার মাধ্যমে সে নিজেকে মাযারকেন্দ্রিক ধ্যান-ধারণা থেকে রক্ষা করে এবং লোকদের প্রতাপশালী কে তুচ্ছ জ্ঞান করে। তখন দুঃখ-কষ্ট, বালা-মুছীবত সহ্য করা এবং হকের পথে দাওয়াত ও সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে সংগ্রাম করার জন্য বাধার বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করা তার পক্ষে সহজ হয়ে যায়।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনী অধ্যয়ন করে। এর মাধ্যমে সে দিব্যদৃষ্টিতে অনুভব করে যে, প্রজ্ঞা, জাগ্রত জ্ঞান এবং বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ) যে সুমহান মর্যাদাপূর্ণ স্থানে উপনীত হয়েছিলেন, রাসূল নন এমন কোন মানুষের পক্ষে সেখানে উপনীত হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। যদিও সে এজন্য শত শত বছর ধরে চেষ্টা চালায়।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক শরীয়ত অনুমোদিত ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয় এবং একে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম মনে করে। যেমন নিবিষ্টচিত্তে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করা, যদিও তা এমন লোকদের সামনে হয় যারা ঈমানের স্বাদ আস্বাদন না করার কারণে ছালাত আদায়কারীর প্রতি কটাক্ষ করে। আমাদের দুর্বল ঈমানের যুবকেরা নাস্তিকদের ও তাদের সাথে সাদৃশ্যমান বিলাসী ব্যক্তিদের মজলিসে ছালাত আদায় করে না এই ভয়ে যে, তারা তাদেরকে ঠাট্টা করবে এবং তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকাবে।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক আল্লাহর দ্বীনের মাধ্যমে নিজেকে সম্মানিত বোধ করে, যুক্তিগ্রাহ্য পন্থায় তার প্রতিরক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করে এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ দলীল দ্বারা তার প্রতি আক্রমণকারী এবং সন্দেহের তীর নিক্ষেপকারীর মুখে চপেটাঘাত করে। যদিও চপেটাঘাতকৃত ব্যক্তি ক্ষমতাধর ও প্রতাপশালী হোন না কেন। আমাদের দুর্বল ঈমানের অধিকারী যুবকেরা ঐ সকল সীমালংঘনকারীদের সামনে নিজেদেরকে ক্ষুদ্র মনে করে এবং পিন পতন নীরবতার মাধ্যমে দ্বীনের প্রতি আক্রমণ প্রতিহত করে। কখনো কখনো তাদের আক্বীদা এমন দুর্বলতম পর্যায়ে পৌঁছে যে, তারা যা বলে তার সাই দেয়। যারা স্রষ্টার ক্রোধের দ্বারা সৃষ্টির সন্তুষ্টি ক্রয় করে তারা জানে যে, কোন পরিস্থিতিতে কোন দিকে মোড় নিতে হয়।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক সর্বদা স্মরণ করে যে, তার আয়ুষ্কাল সংক্ষিপ্ত। প্রত্যেক দিন সে তার ইহলীলা সাঙ্গ হওয়ার আশংকা করে। ফলে তাকে এমন অবস্থায় পাওয়া যায় যে, সে তার জীবনের কোন মুহূর্তই উপকারী ইলম বা সৎকর্ম করা ছাড়া অতিবাহিত হতে দেয় না। কবি বলেন,

إِذَا مَا مَضَى يَوْمٌ وَلَمْ أَصْطَنِعْ يَدًا + وَلَمْ أَكْتَسِبْ عِلْمًا فَمَا ذَاكَ مِنْ عُمْرِيْ

‘সৎকর্ম ও জ্ঞানার্জন ব্যতীত যে একটি দিন অতিবাহিত হয়, তা যেন আমার জীবনের কোন সময়ই নয়’।

  • প্রকৃত মুসলিম যুবককে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে সে আমানতের সাথে তা পালন করে। কারণ সে বিশ্বাস করে, কাজের নিপুণতার মাধ্যমেই একজন মানুষ অন্য আরেকজন মানুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সে অনুভব করে, প্রদত্ত আমানতের ব্যাপারে ঐ সত্তার সম্মুখে জিজ্ঞাসিত হতে হবে যার কাছে আকাশ ও পৃথিবীর কোন কিছুই গোপন থাকে না।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক আল্লাহর নূরে দেখে। ফলে সে বিধর্মীদের আচার-অভ্যাস ও তাদের সভ্যতার অন্ধ অনুকরণ করে না। দুর্বল ঈমানের অধিকারীরা সব বিষয়ে তাদের অনুকরণ করতে অতি উৎসাহী হয়। এমনকি তা ইসলামী শিষ্টাচারের বিপরীত হলেও। যেমন খাওয়ার সময় ডান হাতে চাকু ও বাম হাতে কাটা চামচ ধরে খাবার খাওয়া।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক ইসলামী অর্থব্যবস্থাকে সবচেয়ে উন্নত অর্থব্যবস্থা হিসাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে। যা মানবজাতিকে সমৃদ্ধ করতে পারে এবং এর মাধ্যমে মানুষ নিশ্চিন্ত ও শান্তিময় জীবন যাপন করতে পারে। যে সূদকে সম্পদ বৃদ্ধি ও দরিদ্র থেকে ধনী হওয়ার মাধ্যম মনে করে, সে এ মতের মাধ্যমে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং শরীআতের নছ (Text) পরিবর্তনের মাধ্যমে কেবল তার ভ্রষ্টতাই বৃদ্ধি পায়।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক শরীআতের বিধি-বিধানকে তার প্রবৃত্তির অনুগামী করে শরীআতের দলীলের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা ও তার নিয়ম-নীতি নিয়ে খেলা করে ধারণা করে না যে, এটি তার প্রবৃত্তির অনুগামী। যেমন কেউ মহিলাদের বেপর্দা চলাফেলা করা ও পুরুষদের সাথে অবাধে মেশাকে শরীআতের দৃষ্টিতে নিষেধ মনে করে না এজন্য যে, সে মুসলিম নারী ও স্ত্রীদের দিকে চোখ ভরে দেখবে এবং অবাধে তাদের সাথে যোগাযোগ করবে।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নাস্তিকদের মজলিসে বসে না। কেননা সতেজ ঈমানের লক্ষণ হল দ্বীনের প্রতি কটুক্তি তাকে পীড়িত করবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, যিন্দীকরা দ্বীনের প্রতি অপবাদ দেয়া এবং মুমিনদের প্রতি স্পষ্টভাবে কটাক্ষ না করলেও ইশারা-ইঙ্গিতে তা করতে ছাড়েনি। হে মুসলিম যুবক! তুমি নাস্তিকদের চরিত্রে অঙ্গীকার পূরণ ও তাদের বন্ধত্বে নিষ্কলুষতা ততক্ষণ পাবে না, যতক্ষণ না তাদের অনুসরণ করবে এবং তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক ইসলামের উদারতার মূর্তপ্রতীক হয় এবং আত্মশুদ্ধির জন্য ইসলামের উন্নততর শিষ্টাচারকে গ্রহণ করে। যখন তার ও ইসলাম বিরোধীদের মাঝে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন কাজ এসে উপস্থিত হয়, তখন সে নম্রতা ও ইনছাফের সাথে তাদের সঙ্গ দেয়। আর যখন তার ও তাদের মাঝে ইলম বা দ্বীনের ব্যাপারে সংলাপ হয়, তখন প্রকৃত সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বলিষ্ঠ প্রমাণ পেশ করা যথেষ্ট মনে করে এবং তার জিহবা বা কলমকে রুক্ষ কথা থেকে মুক্ত রাখে। তার মনের মধ্যে কখনো ক্রোধের উদ্রেক হলে তা গোপন রাখে। ধীরস্থিরতা, উত্তম চরিত্র ও নরম কথা অনেক সময় সত্য থেকে দূরে অবস্থানকারী একগুঁয়ে ব্যক্তির অন্তরকে আকর্ষণ করে এবং এর মাধ্যমে সে উপস্থাপিত দলীল নিয়ে চিন্তা করার প্রথম ধাপ অতিক্রম করে।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক তার প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের কাছে তার সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ার পরোয়া করে না। যদি তার সামনে দু’টি বিষয় আসে যার একটি স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করে আর অন্যটি ক্ষমতাশীলদের নিকট মর্যাদা লাভের নিকটবর্তী করে, তাহলে সে প্রথমটিকে বেছে নেয়। যদি সে আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর রাষ্ট্রনায়কের সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেয়, তাহলে সে যেন তার ঈমান পরীক্ষা করে নেয়। এ ধরনের মনোবৃত্তি তাকে এমন মনের অসুখে ভোগাবে যার জন্য সে কার্যকর ওষুধ অনুসন্ধান করবে। অথচ প্রকৃত ওষুধ হচ্ছে এ কথা জানা যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমতাসীনদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন কিন্তু ক্ষমতাসীনরা আল্লাহর পাকড়াও থেকে তাকে বাঁচাতে পারবে না।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক কখনো কখনো বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ে প্রকৃত সত্যের সবটুকু ব্যক্ত করতে না পেরে চুপ থাকতে বাধ্য হয়। কিন্তু সে কথা বললে সত্য ছাড়া আর কিছুই বলে না।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক সাধারণ মানুষের ন্যায় ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদার বিচারে মানুষের মর্যাদা নির্ণয় করে না। বরং কুরআন মাজীদ এবং সঠিক বিচার-বুদ্ধি যে মানদন্ডে তাদের মর্যাদা নির্ণয় করেছে তার আলোকে সে তাদেরকে বিবেচনা করে। অর্থাৎ উপকারী জ্ঞান ও পূত-পবিত্র চরিত্র। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ঐ ব্যক্তি যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহভীরু’ (হুজুরাত ১৩)
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক জীবনের প্রয়োজন মেটাবার জন্য সম্পদ অর্জন করে, পবিত্রতা ও মর্যাদার ঢাল দ্বারা নিজেকে সুরক্ষিত করে এবং এজন্য সে তোষামোদের পথকে কঠিনভাবে ঘৃণা করে। কেননা তোষামুদে ব্যক্তি অপমানিত হতে পরোয়া করে না। মুসলিম যুবক আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং সম্মানের পোষাক পরিধান করে পরকালমুখী হয়। যে পোষাক আল্লাহ তাকে পরিয়েছেন।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক ভাল মানুষের সামনে অহংকারে মাথা উঁচু করে না। যদিও সে তাদের চেয়ে জ্ঞানী, উচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী, বিত্তবান ও সুখ্যাতির অধিকারী হয়। অহংকার ও বড়ত্ব মনের এমন কদর্য স্বভাব যার মাধ্যমে অহংকারী ব্যক্তি তার অজানা দোষ-গুণ থেকে নিজেকে আড়াল করতে চায়।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক ঐ ব্যক্তির সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় যে তার নম্রতাকে হীনতা ও নির্বুদ্ধিতা মনে করে। যাতে সে তাদেরকে দেখাতে পারে যে, অপদস্থতা ও প্রকৃত ঈমান এক মনে মিলিত হতে পারে না।
  • প্রকৃত মুসলিম যুবক কোন খারাপ কাজ হতে দেখলে নিষেধ করে এবং কোন ভাল কাজ পরিত্যক্ত হতে দেখলে তা করার আদেশ দেয়। সমাজ সংস্কারের প্রতি অনাগ্রহী যুবকদের ন্যায় সে বলে না, ওটা মাওলানা ছাহেবদের কাজ। ইসলাম সৎকাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করাকে শুধু মাওলানা ছাহেবদের জন্য নির্দিষ্ট করেনি; বরং যে ভাল কাজকে ভাল হিসাবে জানে সে বিষয়ে আদেশ করা এবং যে খারাপ কাজকে খারাপ হিসাবে জানে সে বিষয়ে নিষেধ করাকে তার জন্য আবশ্যক করেছে। এ ব্যাপারে যুবক, বৃদ্ধ, পাগড়ি পরিহিত ও খালি মাথাওয়ালাদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়নি।

ভ্রাতৃবর্গ! মুসলিম যুবক কেমন চরিত্রের  হওয়া উচিত এতক্ষণ আমরা তা উল্লেখ করলাম। যদি তারা এটি সার্বিকভাবে অনুধাবন করে তাহলে আমরা নিশ্চিত যে, মুসলিম উম্মাহ যে কোন শক্তির সামনে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারবে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে।

ব্যক্তিত্ব গঠন

অমত্মরকে পূর্ণ কর দয়া দিয়ে

শরীরকে পূর্ণ কর উৎফুল্লতা দিয়ে

দৃষ্টিকে পূর্ণ কর কোমলতা দিয়ে

দিব্যদৃষ্টিকে পূর্ণ কর আশা দিয়ে

হাতকে পূর্ণ কর কর্ম দিয়ে

মনকে পূর্ণ কর বিস্ময় দিয়ে

কল্পনাকে পূর্ণ কর সম্ভাবনা দিয়ে

প্রতিটি মুহুর্তকে পূর্ণ কর দয়া-দাক্ষিণ্যে

দিনগুলো পূর্ণ কর স্ফূর্তি দিয়ে

জীবনকে পূর্ণ কর পবিত্রতা দিয়ে

আত্মাকে পূর্ণ কর সদগুণ দিয়ে

তৎপরতাকে ভরে দাও আনন্দ দিয়ে

ইবাদতকে ভরে দাও কৃতজ্ঞতা দিয়ে

পৃথিবীকে ভরে দাও শামিত্ম দিয়ে

বিশ্বজগতকে পূর্ণ করে দাও সম্প্রীতি-ভালবাসার সৌরভে \



আরও