আলিয়া উম্মে রাইয়ানের ইসলাম গ্রহণ

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 417 বার পঠিত

[লন্ডনের বাসিন্দা আলিয়া উম্মে রাইয়ান ১৯৯৯ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ২০১০ সালে ‘সোলেস ইউকে’ নামে একটি নিবদ্ধিত দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংস্থা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত অসহায়া নারীদের সাহায্য করে থাকে। ২০২২ সালে তিনি পেঙ্গুইন নামক একটি প্রকাশনার অনুরোধে ‘রামাযানের অনুচিন্তন (Ramadan Reflections)’ শিরোনামে একটি বই লেখেন। তিনি ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে যুক্তরাজ্যে দাওয়াতী কাজ করছেন। ইসলাম গ্রহণের কারণে তার মা তাকে ত্যাগ করে। তার জীবনে নেমে আসে একাকীত্বের কালো মেঘ। তিনি জীবন যুদ্ধে হেরে যান কিন্তু টিকিয়ে রাখেন ঈমান। নিম্নে তার ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হ’ল।]

আমার জন্ম এবং বেড়ে উঠা পূর্ব লন্ডনে। পূর্ব লন্ডনের এই অংশে বাংলাদেশী মুসলমানদের বসবাস। সে কারণে মুসলিমদের অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আমি মূলত মিশ্র বর্ণের। আমার মা ইতালিয়ান এবং বাবা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার অধিবাসী ছিলেন।

আমি খ্রিষ্টান পরিবারে বেড়ে উঠেছি। আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতাম। আমার মা আমাকে জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের ব্যাপারে সব সময় উৎসাহিত করতেন। আমি অল্প বয়স থেকেই আমার ধর্মের মূল ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন করতাম। আমার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার প্রতি আবেগ ও ঝোঁক কাজ করত। সে কারণে এই ধর্ম আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হ’ত না। এখানেই একটা ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এক সময় আমি এ বিশ্বাস ত্যাগ করেছিলাম।

আমার বাবা জন্মগত মুসলিম ছিলেন। আমার দাদাও মুসলিম ছিলেন। আমার জন্মের বহু পূর্বে আমার দাদা মারা যান। তার মৃত্যুর পর আমার বাবা ইসলাম ত্যাগ করেছিলেন। তিনি যখন লন্ডনে আমার মায়ের সাক্ষাৎ পান তখন অমুসলিম ছিলেন। সে কারণে আমার জীবনে ইসলামের কোন চিহ্নই ছিল না। আমার মা আমাকে চার্চে নিয়ে যেতেন। আমি পূর্ণ আবেগ ও আধ্যাত্মিক অনুভূতি নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতাম। কিন্তু ইবাদতের পদ্ধতি কিছুতেই বুঝতে পারতাম না। আমার মনে প্রশ্ন জাগত যে, আমি সৃষ্টিকর্তার সন্তানের ইবাদত কিভাবে করতে পারি? একই সময় তিনি একবার সৃষ্টিকর্তার সন্তান, আবার তিনি নিজেই সৃষ্টিকর্তা অথচ তিনি আমারই মত একজন মানুষ! আমি কিছুতেই বুঝতে পারতাম না কিভাবে মানুষ মানুষের ইবাদত করতে পারে। খুব অল্প বয়স থেকেই এটা আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হ’ত না। আমার মনে আছে একদিন আমি চার্চে গিয়ে বিষয়টি পাদ্রিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি শুধু বিশ্বাস রাখ। তখন আমি বুঝে গিয়েছিলাম এ বিশ্বাস আমার জন্য নয়।

আমার বয়স যখন ৮ বছর তখন থেকেই আমি ইসলামের দিকে আকৃষ্ট ছিলাম। আমার ঘরের জানালা দিয়ে বিপরীত দিকের ভবনের নিচ তলার অস্থায়ী মসজিদে ছালাত আদায়ের দৃশ্য দেখা যেত। ছালাতীদেরকে রুকূ, সিজদাহ করতে দেখে আমার খুবই ভাল লাগত। সে দৃশ্য দেখার জন্য আমি বারবার সেখানে ছুটে যেতাম। দুর্ভাগ্যবশত সে সময় আমার বাড়ীর পরিবেশ খুব খারাপ ছিল। আমার বাবা-মা সব সময় ঝগড়া করতেন। তারা থামত না, অনবরত লেগেই থাকত। একদিন আমার বাবা-মায়ের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হচ্ছিল। আমি দৌড়ে আমার ঘরে চলে গেলাম। সেখানে একটা শাল ছিল যেটা আমার মায়ের কোন এক পাকিস্তানী সহকর্মী তাকে উপহার দিয়েছিলেন। সেটা আমি মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তার উপরে সিজদায় পড়ে গেলাম। আমি সৃষ্টিকর্তাকে বারবার বলতে থাকলাম, দয়া করে তাদের ঝগড়া থামিয়ে দিন। সে সময় আমার কোন ধারণা ছিল না আমি কি করছি। আমি মসজিদে যা দেখেছিলাম শুধু তারই অনুকরণ করেছিলাম। আমার তখন মনে হয়েছিল সৃষ্টিকর্তা আমার কথা শুনছেন। কেননা এটি এমন একটি অবস্থান যার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নিকটবর্তী হওয়া যায়। সেটাই ছিল আমার জীবনে ইসলামের প্রথম অভিজ্ঞতা।

এরপর একদিন আমি স্কুল থেকে বাড়ী এসে শুনলাম আমার এক ক্লাসমেট রাস্তা পারাপারের সময় রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। তখন আমার বয়স ১০ বছর। তার জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ডাকা হয়েছিল। আমাদের ক্লাসে বেশ কয়েকজন নন-মুসলিম ছিল। আমি আমার মাকে অনুরোধ করলাম আমাকে যেতে দেওয়া জন্য। আমার মা রাযী হয়ে গিয়েছিলেন। আমি আমার সোমালিয়ান বেস্ট ফ্রেন্ড লায়লাকে বলেছিলাম, আমাকে একটা স্কার্ফ ধার দেবে? সে আমাকে একটা স্কার্ফ ধার দিল আর সেটা পরে আমি তার সাথে মসজিদে চলে গেলাম। সেখানে আমিই একমাত্র অমুসলিম ছিলাম। আমরা প্রথমে যোহরের ছালাত আদায় করলাম তারপর জানাযার ছালাত। সেদিন যোহরের ছালাতে যখন আমি সিজদাহ করছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আমি আমার রবের নৈকট্যে পৌঁছে গেছি। সেই একই অনুভূতি যা আমি দুই বছর আগে পেয়েছিলাম। আর এটা ছিল আমার জীবনের দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা।

আমার বাড়ীর পরিবেশ দিন দিন অনেক খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। সাংসারিক ঝামেলা পিছু ছাড়ছিল না। আমি মানসিকভাবে খুবই প্রভাবিত হচ্ছিলাম। ঠিক এই সময় আল্লাহ তা‘আলা আমার হেদায়েতের জন্য একজনকে পাঠালেন। সে ছিল আমার সেকেন্ডারি স্কুলের বান্ধবী। সে ক্লাসের অন্যান্য মুসলিমদের চেয়ে একটু আলাদা ছিল। সে অন্যান্যদের চেয়ে ইসলামী জীবনযাপনে বেশী অভ্যস্ত ছিল। তার পারিবারিক সমস্যা আমার পরিবারের চেয়েও খারাপ ছিল। তার মাকে প্রায় প্রতিদিনই মারধর করা হ’ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার বান্ধবী একটুও বিচলিত ছিল না। সে অদ্ভূত শান্ত ছিল। আমি ভাবতাম, তার বাড়ীর পরিস্থিতি আমার পরিস্থিতির থেকেও অনেক খারাপ। আমি ভেঙ্গে পড়েছি কিন্তু সে কি করে নিজেকে ধরে রেখেছে? আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, কিভাবে তুমি সফল? সে উত্তর দিয়েছিল, এত কিছুর পরেও আমার ঈমানই আমাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করে। এ উত্তর শোনার পর তার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা আরও বেড়ে গেল। তার সাথে আমার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হ’তে লাগল। আমি ইসলাম নিয়ে পড়া শুরু করলাম। কিছু প্রবন্ধ পড়লাম, ক্যাসেটে বক্তব্য শুনলাম এবং কুরআন পড়া শুরু করলাম। মূলত একটি বিশেষ অহংকার নিয়েই কুরআন পড়া শুরু করেছিলাম। আমি আমার বান্ধবীকে রক্ষা করার জন্য কুরআনে অসঙ্গতি খুঁজে বের করতে চেয়েছিলাম। কারণ আমার মনে হয়েছিল হিজাব পরা ঠিক নয়। হিজাব তাকে একটি সফল ক্যারিয়ার তথা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অর্জন করতে বাধা দিচ্ছে। একদিকে দেখতাম তার বিশ্বাস (ইসলাম) তাকে সুন্দর ও শান্তির অনুভুতি দিচ্ছে আর অন্যদিকে এই বিশ্বাসই তাকে সীমাবদ্ধ করছে। তাকে যেন পেছনে বেঁধে রেখেছে। আমরা প্রতিদিন এটা নিয়ে বির্তক করতে শুরু করলাম। যত সময় এগোতে লাগল আমি ততই বিষয়গুলো মেনে নিয়ে হেরে যাচ্ছিলাম। আমার হৃদয় পাল্টে যাচ্ছিল। আমি এর মধ্যে কোন ভুল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি যা কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম তাহ’ল এক মহৎ জীবন ব্যবস্থা। যা গ্রহণ করা ছাড়া কোন পথ নেই। এটাই আমাকে ভীত করে তুলেছিল। ভয় আমাকে আষ্টেপিষ্ঠে ঘিরে ধরল। এক পর্যায়ে আমার সেই বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেললাম। প্রবন্ধ ও পত্রিকাগুলো ছিঁড়ে ফেললাম। ক্যাসেটগুলো ফেলে দিলাম। কুরআন সরিয়ে রাখলাম। এটা আমার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছিল। আমি জানতাম যা বিশ্বাস করছি সেটা মানতে গেলে আমার জীবনকে পাল্টাতে হবে। আমি বলতে পারি না যে আমার জীবনটা খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু স্বাধীন ছিলাম। আর নিজের স্বাধীনতা ত্যাগ করা খুব সহজ নয়। তাই সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে ক্লাস বিরতিতে আমার আসন্ন পরীক্ষার প্রস্ত্ততি নিচ্ছিলাম। কিন্তু কোন এক অজানা ভয়ে আমি মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। আসলে আমি তখন শুধু ইসলাম নিয়েই ভাবছিলাম। আমি ভাবছিলাম ঐ সমস্ত বিষয়ে যা আমি অনুসন্ধান করে পেয়েছি। স্রষ্টার অস্তিত্ব, কুরআনের বৈজ্ঞানিক সত্যতা, মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সত্যবাণী নিয়ে শুধুই ভাবছিলাম। এই ভাবনাগুলো যেন আমার উপর বোমাবাজি করছিল। একদিন আমি যেখানে থাকতাম সেখানে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়ে পড়লাম। এক রাস্তায় পৌঁছালাম যেটা আমি সব সময় পার হই। আমি গ্রীন সিগন্যালের জন্য তাকিয়ে রইলাম। দেখলাম সবাই রাস্তা পার হচ্ছে কিন্তু আমি পার হ’তে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আমার পা দুইটা মাটিতে গেঁথে গেছে। আমি চিন্তা করছিলাম, যদি এ রাস্তা কিংবা অন্য রাস্তা পার হ’তে গিয়ে কোন গাড়ি এসে আমাকে ধাক্কা দেয় আর আমি যে সত্য জেনেছি সেটা জেনেই মারা যাই তাহ’লে আমার কী হবে? এই চিন্তা আমাকে জাগ্রত করল। আমি রুমে ফিরে এসে আমার বান্ধবীকে কল দিয়ে কালেমা শাহাদাত পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ!

একদিন আমি বাসায় পৌঁছালাম, দরজায় নক করলাম আর মা দরজা খুলে দিলেন। আমি হিজাব পরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার মা আমার দিকে বিভ্রান্তের মত তাকালেন। বললাম, আমি মুসলিম হয়ে গেছি। তিনি ভাবলেন হয়ত এটা একটা পর্যায়। আলহামদুলিল্লাহ ২৪ বছর ধরে আমি এই পর্যায়ে টিকে রয়েছি। ইসলাম গ্রহণের প্রথম কয়েক বছর জীবনটা খুব কঠিন ছিল। আমি আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের হারালাম। আমার মায়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল। সে সময় আমার মায়ের সাথে আমার অনেক ঘটনা ঘটেছিল। আমার মা তখন নতুন একটা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সে ব্যক্তি ইসলামকে অনেক ঘৃণা করত। সে আমার মাকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সের তরুণীর জন্য এ সময়টা ছিল অনেক যন্ত্রণাদায়ক। যে সময়ে আপনজনের সহযোগিতা সব থেকে বেশী প্রয়োজন, সে সময় একদিন মা আমাকে বললেন, আমি তোমার দায়িত্ব পালন করেছি, আমার আর তোমাকে প্রয়োজন নেই। তোমার মা হয়ে থাকার কোন ইচ্ছা আমার নেই। তুমি তোমার রাস্তা দেখে নাও। একজন সন্তানের জন্য স্বীয় জন্মদাতা মায়ের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়া খুবই পীড়াদায়ক। খুবই কঠিন মুহূর্ত ছিল এটা।

আমার মাথার উপরে ছাদ ছিল না, নিজের চারপাশে প্রতিরোধ ছিল না, অর্থ উপার্জনের কোন রাস্তা ছিল না। আমি সম্পূর্ণ একাকী ছিলাম। মুসলিম কমিউনিটির এক দল থেকে অন্য দলের কাছে হন্যে হয়ে ঘুরছিলাম। আমি আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে ভুগছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি এক গর্ত থেকে উঠে অন্য গর্তে পড়েছি। এক পর্যায়ে অবস্থা এত খারাপ হয়ে দাঁড়াল যে, আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হ’তে হয়েছিল। আমি আমার মাকে কল দিয়ে বলেছিলাম, আমাকে এখান থেকে বাড়ী নিয়ে নিয়ে যাও। আমি ইসলাম প্র্যাক্টিস করা বন্ধ করে দিলাম। হিজাব খুলে ফেললাম। ছালাত পড়া বন্ধ করে দিলাম এবং মুসলিম কমিউনিটি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলাম। যদিও তখনও আমি আমার বিশ্বাসটাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলাম। আমি মুসলিম হয়েছিলাম যুক্তিসঙ্গত জায়গা থেকে। তবুও আমাকে ছাড়তে হয়েছিল কারণ আমি যে সমস্ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম সেগুলো ছিল আমার জন্য খুবই কঠিন। আমি পরীক্ষায় টিকতে পারি নি।

আমি একটা চাকুরী পেলাম। তখন আবার বাড়ী থেকে চলে গেলাম। আবারও স্বাধীন হয়ে গেলাম। কিন্তু সব সময় অনুভব করতাম আমি যা করছি তা ঠিক নয়। এভাবে আমার কয়েক বছর কেটে গেল। এক পর্যায়ে হৃদয়ের সেই শূন্যতা আবারো অসহনীয় হয়ে উঠল। কারণ আমি জানতাম, যেভাবে আমি জীবন যাপন করছি তা আমার বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। আর তাই ধীরে ধীরে আবার ইসলামের দিকে ফিরতে শুরু করলাম। কুরআন পড়ছিলাম, ছালাত পড়া আরম্ভ করলাম, হিজাব পরলাম। আলহামদুলিল্লাহ আমি উন্নতি করছিলাম। এটা আমার আর আমার রবের মধ্যকার সুন্দর সম্পর্কের মুহূর্ত ছিল।

এক সময় আমার মায়ের বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। তিনি ধীরে ধীরে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেন। তিনি ভাল পাঠক ছিলেন। ইসলাম সম্পর্কে পড়া শুরু করলেন এবং আমাকে নানান বিষয়ে প্রশ্ন করতেন। আমি ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাবস্থায় আমার মা আমাকে কল দিয়ে বললেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চাই। অবশেষে তিনিও শাহাদাত পাঠের মাধ্যমে ইসলামে প্রবেশ করলেন। আলহামদুলিল্লাহ!

[সূত্র : ইন্টারনেট]



আরও