রামাযান পরবর্তী করণীয় সমূহ

আব্দুল আলীম 934 বার পঠিত

রামাযান মাস প্রতিবছর এলাহী প্রশিক্ষণের মাস হিসাবে আমাদের মাঝে আগমন করে মানুষকে তাক্বওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে এবং যাবতীয় পাপ-পঙ্কিলতা থেকে ধুয়ে-মুছে খাঁটি মুমিন বানাতে। মানুষকে সংযম শিখাতে, নিয়মিত ছালাত-ছিয়ামের প্রশিক্ষণ দিতে, দুনিয়াবিমুখ হয়ে আখেরাতমুখী করার প্রশিক্ষণে রামাযানের ভূমিকা অতুলনীয়। মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা মুত্তাক্বী হতে পার’ (বাকবারাহ ১৮৩)। মাহে রামাযানের এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে একজন মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হতে পারে। সেজন্য রামাযান আসার সাথে সাথে মানুষকে অনেক বেশী সংযমী হতে দেখা যায়। আগের তুলনায় এ মাসে তাদেরকে ছালাত, ছিয়াম ইত্যাদিতে অধিক মশগূল থাকতে দেখা যায়। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ মাসে মসজিদগুলো মুছল্লীতে পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রামাযান চলে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের অনেকে ধীরে ধীরে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে থাকে! মাহে রামাযানে আমরা আল্লাহর নিকট অনেক ভাল ভাল কাজ করার অঙ্গীকার করে থাকি, কিন্তু রামাযান বিদায় নিলে তার সাথে আমাদের অঙ্গীকারও বিদায় নেয়। অথচ আল্লাহ বলেন, وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا ‘তোমরা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পাকাপাকি কসম করার পর তা ভঙ্গ করো না’ (নাহ্ল ৯১)। বিশ্‌র আল-হাফীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কিছু মানুষ রামাযানে ইবাদত-বন্দেগী করতে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে, কিন্তু রামাযান চলে গেলে তারা আবার সব আমল ছেড়ে দেয়-আপনি এদের সম্পর্কে কি বলবেন? জবাবে তিনি বলেছিলেন, بِئْسَ الْقَوْمُ لَا يَعْرِفُوْنَ اللهَ إِلَّا فِيْ رَمَضَانَ ‘ঐ সম্প্রদায় নিকৃষ্ট সম্প্রদায়, যারা রামাযান মাস ছাড়া অন্য সময়ে আল্লাহকে চিনে না’। ইমাম আহমাদ (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বিশ্রাম কখন? তিনি বলেছিলেন, عِنْدَ وَضْعِ أَوَّلِ قَدَمٍ فِيْ الْجَنَّةِ ‘জান্নাতে প্রথম পা রাখার সময়’। সেজন্য একজন মুমিনকে মৃত্যু অবধি নিয়মিত আমল করে যেতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, فَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ ‘অতএব, তুমি সরল পথে অবিচল থাকো, যেমনিভাবে তুমি আদিষ্ট হয়েছ’ (হূদ ১১২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, وَأَنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّ ‘আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় আমল হচ্ছে, নিয়মিত আমল- যদিও তা পরিমাণে কম হয়' (বুখারী, হা/৫৮৬১)

অতএব, রামাযানের মত অন্য মাসেও আমাদেরকে নিয়মিত আমল করে যেতে হবে। এক্ষণে আমরা কতিপয় আমলের কথা বলবো, যেগুলির প্রতি যত্নশীল হলে আমরা ইনশাআল্লাহ নিয়মিত আমলকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারব।

১. আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা : নিয়মিত আমলের উপর অবিচল থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। সেজন্য আপনি নিম্নোক্ত দো‘আটি বেশী বেশী পড়ুন- رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ 'হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরসমূহকে বিপথগামী করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন। নিশ্চয়ই আপনিই সবকিছুর দাতা’ (আলে ইমরান ৮)

২. ছালাত আদায়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া : আমরা রামাযানে যেমন ছালাত আদায় করতাম, রামাযানের পরেও তেমন তা আদায় করব। কেননা ছালাত হচ্ছে বান্দা এবং তার প্রভুর মধ্যে বন্ধনস্বরূপ। আপনি কি আপনার প্রভুর সাথে বন্ধন ছিন্ন করতে চান? এই ছালাত হচ্ছে একজন মুমিন এবং একজন কাফেরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী বিষয়। সেজন্য ওলামায়ে কেরাম ছালাত পরিত্যাগকারীকে কাফের হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। নবী (ছাঃ) ছালাত পরিত্যাগকারীর সাথে সংগ্রাম করার কথা বলেছেন।

৩. ফজরের ছালাত আদায়ের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া : নবী (ছাঃ) বলেছেন,  لَيْسَ صَلاَةٌ أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ مِنَ الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ‘মুনাফিক্বদের জন্য ফজর এবং এশার ছালাতের চেয়ে ভারী আর কোন ছালাত নেই। তারা যদি জানত যে, এই দুই ছালাতে কত ফযীলত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই ছালাতদ্বয়ে উপস্থিত হত’ (বুখারী, হা/৬৫৭)। ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‘ফজরের দু‘রাক'আত সুন্নাত দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে, তার চেয়ে উত্তম’ (মুসলিম, হা/১৭২১)

৪. ক্বিয়ামুল লায়ল আদায় করা : রামাযানের রাত্রিগুলিতে আমরা  যেমন তারাবীহর ছালাত আদায় করেছি, অন্যান্য মাসগুলিতে তেমনি আমরা ক্বিয়ামুল লায়ল বা তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করব। কারণ এই ছালাত মানুষের গাফলতি দূর করে দেয়। তাহাজ্জুদের ফযীলত বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) বলেন, وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ ‘ফরয ছালাতের পর সর্বোত্তম ছালাত হচ্ছে তাহাজ্জুদের ছালাত’ (মুসলিম, হা/২৮১২)

৫. মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া : রাসূল (ছাঃ) জামা‘আতে ছালাতের অপরিসীম গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। এক হাদীছে তিনি জামা‘আতে অনুপস্থিতদের বাড়ী পুড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। জামা‘আতে ছালাতের উপকারিতা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِى جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ 'যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে টানা ৪০ দিন জামা‘আতে শরীক হবে এবং তাকবীরে তাহরীমা পাবে, তার দু’টি বিষয় থেকে নিষ্কৃতি লাভ অবধারিত হয়ে যাবে- জাহান্নামের আগুন থেকে এবং মুনাফেক্বী থেকে’ (তিরমিযী, হা/২৪১, আলবানী (রহঃ) হাদীছটিকে 'হাসান' বলেছেন)

৬. নিয়মিত প্রত্যেক দিন কুরআন তেলাওয়াত করা : রামাযানে বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াতের সুন্দর অভ্যাসটি সারা বছর ধরে রাখতে হবে। কুরআন তেলাওয়াত পরিত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে রাসূল (ছাঃ) ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট অভিযোগ করবেন। এরশাদ হচ্ছে, وَقَالَ الرَّسُولُ يَا رَبِّ إِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوا هَٰذَا الْقُرْآنَ مَهْجُورًا 'রাসূল বললেন, হে আমার পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আমার সম্প্রদায় এই কুরআনকে পরিত্যাগ করেছে' (ফুরক্বান ৩২)। কুরআন মানুষের হৃদয়ে জ্যোতি সৃষ্টি করে এবং তাকে অনেক পাপ থেকে রক্ষা করে। কুরআন তেলাওয়াত করলে তা ক্বিয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হিসাবে কথা বলবে (আহমাদ, হা/৬৬২৬)

৭. ছিয়াম পালনে যত্নশীল হওয়া : রামাযানের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ছিয়ামও বিদায় গ্রহণ করে না; বরং রামাযানের বাইরে অন্য মাসেও ছিয়াম পালনের বিধান রয়েছে। যেমন : শাওয়ালের ৬টি ছিয়াম, প্রত্যেক সোম এবং বৃহস্পতিবারে ছিয়াম পালন, প্রত্যেক আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ছিয়াম পালন ইত্যাদি। এসব নফল ছিয়ামের অসংখ্য ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ 'যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন করল এবং সাথে সাথে শাওয়ালের ৬টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম, হা/২৮১৫)। তিনি আরো এরশাদ করেন, تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالخَمِيسِ، فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ ‘সোম এবং বৃহস্পতিবারে (মানুষের) আমল (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হয়। অতএব, আমি ভালবাসি যে, ছিয়াম পালন অবস্থায় আমার আমল পেশ করা হবে’ (তিরমিযী, হা/৭৪৭, সনদ ছহীহ)। আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের ছিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, صَوْمُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنَ الشَّهْرِ صَوْمُ الشَّهْرِ كُلِّهِ ‘প্রত্যেক মাসে তিন দিন ছিয়াম পালন সারা মাস ছিয়াম পালনের সমান’ (মুসলিম, হা/২৭৯৩)

৮. যিক্র-আযকারের প্রতি যত্নশীল হওয়া : যিক্‌র-আযকার এবং ইস্তেগফার হালকা আমল হলেও এর উপকারিতা অনেক বেশী। যিক্‌র-আযকার মানুষের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং হৃদয়কে শক্তিশালী করে। সেজন্য আমাদেরকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত যিক্‌র-আযকার, দো‘আ এবং ইস্তেগফার বেশী বেশী পাঠ করতে হবে।

৯. ভাল মানুষের সাথে সঙ্গ দেওয়া : বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠীর সঙ্গ একজন মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ وَالسَّوْءِ كَحَامِلِ الْمِسْكِ وَنَافِخِ الْكِيرِ فَحَامِلُ الْمِسْكِ إِمَّا أَنْ يُحْذِيَكَ وَإِمَّا أَنْ تَبْتَاعَ مِنْهُ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحًا طَيِّبَةً وَنَافِخُ الْكِيرِ إِمَّا أَنْ يُحْرِقَ ثِيَابَكَ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحًا خَبِيثَةً ‘সৎ সঙ্গী এবং অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে আতর বিক্রেতা এবং কামারের মত। আতর বিক্রেতা হয় তোমাকে আতর প্রদান করবে, না হয় তুমি তার কাছ থেকে আতর কিনে নিবে, আর না হয় তুমি অন্ততঃ তার কাছ থেকে সুঘ্রাণ পাবে। পক্ষান্তরে কামার হয় তোমার কাপড় পুড়িয়ে দিবে, আর না হয় তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে’ (বুখারী, হা/৫৫৩৪)। কথায় বলে, ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’। ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ’। একজন সৎসঙ্গীর কারণে একজন মানুষ রামাযানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সোনার মানুষে পরিণত হতে পারে। পক্ষান্তরে কোন অসৎসঙ্গীর খপ্পরে পড়লে বিপরীতটাও ঘটতে পারে। অতএব, সর্বদা সৎ মানুষের সাথে সঙ্গ দিতে হবে এবং অসৎ সঙ্গ এড়িয়ে চলতে হবে।

এছাড়া গান-বাজনা ও যাবতীয় অশ্লীলতা সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। কারণ এগুলি একজন মানু্ষকে খুব সহজে বিভ্রান্ত করে ফেলে। ছাহাবায়ে কেরামসহ অন্যান্য সৎ মানুষদের জীবনী সম্পর্কে পড়াশুনা করতে হবে। কেননা তাঁদের জীবনীতে সারা জীবন কঠোর সাধনার বহু নমুনা আমরা পাব। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দেখতে যেতে হবে, তাদের সাথে সদাচরণ করতে হবে। দান-ছাদাক্বা করতে হবে। যে কোন ভাল কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। মিথ্যা, পরনিন্দা, তোহমত ইত্যাদির চর্চা থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

পরিশেষে বলব, যিনি মাহে রামাযানের প্রভু, তিনি গোটা বছরের প্রভু। সুতরাং রামাযানের ইবাদতের ধারা সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্যায়ন করতে হবে। ইবনে ওমর (রাঃ) বলতেন, إِذَا أَمْسَيْتَ فَلَا تَنْتَظِرِ الصَّبَاحَ وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلَا تَنْتَظِرِ الْمَسَاءَ ‘সন্ধ্যা হলে সকালের অপেক্ষা করো না, আর সকাল হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না’ (বুখারী, হা/৬৪১৬)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘সময়ের অপচয় মৃত্যু অপেক্ষা ভয়ানক। কেননা মৃত্যু তোমাকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। কিন্তু সময়ের অপচয় তোমাকে আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে’। ইবনে হিববান (রহঃ) বলেন, أفْضَلُ ذَوِي الْعُقُولِ مَنْزِلَةً أَدْوَمُهم لنَفْسِهِ مُحاسَبَةً 'ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে মর্যাদাবান, যে সবসময় নিজের হিসাব-নিক্বাশ করে চলে’। মহান আল্লাহ আমাদেরকে নিয়মিত আমল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

আব্দুল আলীম 

লেখক : মাস্টার্স অধ্যয়নরত, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদীআরব



বিষয়সমূহ: ছিয়াম-রামাযান
আরও