ইসলামে জিহাদ সমতুল্য আমলসমূহ

আব্দুল্লাহ মুজাহিদ 1907 বার পঠিত

আল্লাহর অশেষ দয়া যে, তিনি আমাদেরকে ছোট ছোট আমলের মাধ্যমে জিহাদের অমীয় সুধা আস্বাদনের সুযোগ করে দিয়েছেন। ইসলামে এমন কিছু আমল রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহর পথে সশস্ত্র জিহাদরত মুজাহিদের সমান নেকী লাভে ধন্য হওয়া সম্ভব। ইবনু হাজার  (রহঃ) বলেন, ‘একজন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ না করেও মুজাহিদের মর্যাদা লাভ করতে পারে। আর সেটি হতে পারে খালেছ (জিহাদের) নিয়তের মাধ্যমে অথবা জিহাদের সাথে তুলনীয় সৎআমলের মাধ্যমে। কেননা নবী করীম (ছাঃ) বলেন, তিনি সকলকে পারতপক্ষে সকল দো‘আয় জান্নাতুল ফেরদাউস চাইতে আদেশ করেছেন, যা সর্বোচ্চ এবং সর্বাধিক প্রশস্ত জান্নাত। আর তা প্রস্ত্তত করা হয়েছে মুজাহিদদের জন্য’।[1]  

উল্লেখিত আমলসমূহ হ’ল :

(১) মিসকিন ও বিধবা নারীদের সেবায় নিয়োজিত থাকা :

আবু হুরাইরা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,السَّاعِى عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ، أَوِ الْقَائِمِ اللَّيْلَ الصَّائِمِ النَّهَارَ-‘বিধবা ও মিসকীন-এর জন্য খাদ্য জোগাড় করতে চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী মুজাহিদ অথবা রাতে ছালাতে দন্ডায়মান ও দিনে ছিয়ামকারীর মত’।[2]

সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের আকাঙ্খা করে। জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা লাভের জন্য স্বীয় সম্পদ এবং নিজেকে জিহাদী রাস্তায় বিলিয়ে দেওয়ার তামান্নাও রাখে। অথচ জিহাদের চেয়ে সহজ কোন আমল যা জিহাদ করার সমতুল্য ছওয়াব অর্জনের সুযোগ করে দেয়, তা থেকে সে গাফেল থাকে। এই ধরনের মানসিকতা জিহাদের ব্যাপারে তার অজ্ঞতা এবং জিহাদের মাধ্যমে অঢেল ছওয়াব অর্জনের বাস্তবতা অস্বীকারেরই নামান্তর বৈ কিছুই নয়।

বিধাব ও মিসকীনের সেবা করা একটি মহৎ ছওয়াবের কাজ। যার সুবর্ণ সুযোগ আমাদের অনেকেরই হয় কিন্তু আমরা সে কাজ থেকে বিরত থাকি। যদি সত্যিকারার্থে আমরা মুজাহিদের ছওয়াব বা জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা অনুসন্ধান করতাম তাহলে আমাদের দ্বারা এই মহান কাজটি অবহেলিত থাকত না। আমাদের মধ্যে হয়ত এমন একজনকেও পাওয়া যাবে না যার নিকটাত্মীয়াদের মধ্যে বিধবা নারী নেই। সেই বিধবা বৃদ্ধা মহিলাটি কারো না কারো খালা, চাচী বা দাদী। তারা আমাদের সেবার মুখাপেক্ষী। আমাদের স্বজনদের অনেকেই এমন সেবা কামনা করে, যেমন তাকে গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া অথবা তার ছোটখাটো কোন প্রয়োজন পূরণ করা ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের অনেকে বিষয়টি এমনভাবে এড়িয়ে যায় যেন তার কথা শুনতেই পায়নি। অধিক ব্যস্ততা বা অন্য কোন কারণে এমন কাজকে তারা বিরক্তিকর বা অতিরিক্ত বোঝা মনে করে থাকেন। আবার কেউবা বিধবার খেদমতে সামান্য সময়ও দিতে নারাজ। অথচ গতকালই সে এই আকাঙ্খাই পোষণ করত যে, তার পুরো জীবনটাই সে আল্লাহর রাস্তায় দান করবে যাতে আল্লাহর কাছে তাকে মুজাহিদ হিসাবে লিখে নেওয়া হয়। নিঃসন্দেহে এটি অল্প চেষ্টায় বিরাট ছওয়াব অর্জন থেকে বঞ্চিত হওয়া। আর সামান্য সেবার মাধ্যমে মুজাহিদের সেই জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা লাভকে তুচ্ছজ্ঞান করা কোন বুদ্ধিমান প্রকৃত মুজাহিদের জন্য কাম্য নয়।

(২) যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের নেক আমল :

ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الأَيَّامِ. يَعْنِى أَيَّامَ الْعَشْرِ. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ وَلاَ الْجِهَادُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَىْءٍ- ‘এমন কোনো দিবস নেই যার আমল জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হবে। ছাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হ্যঁা, জিহাদ করা থেকেও অধিক প্রিয়, তবে যদি এমন হয় যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এল না (অর্থাৎ শহীদ হয়ে গেল)’।[3]

(৩) ছালাতকে নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলম্ব না করা :

আবু আমর শায়বানী (রহ.) হতে বর্ণিত তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন,

حَدَّثَنَا صَاحِبُ هَذِهِ الدَّارِ وَأَشَارَ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا. قَالَ ثُمَّ أَىُّ قَالَ ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ. قَالَ ثُمَّ أَىُّ قَالَ الْجِهَادُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ. قَالَ حَدَّثَنِى بِهِنَّ وَلَوِ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِى- এ বাড়ির মালিক আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে ছালাত আদায় করা। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, অতঃপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) আবার জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বললেন, অতঃপর আল্লাহর পথে জিহাদ। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, যদি আমি আরও অধিক জানতে চাইতাম, তাহলে তিনি আরও বলতেন’।[4]

(৪) পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার :

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَأْذِنُهُ فِى الْجِهَادِ فَقَالَ أَحَىٌّ وَالِدَاكَ. قَالَ نَعَمْ.قَالَ فَفِيهِمَا فَجَاهِدْ. এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে জিহাদে যাবার অনুমতি প্রার্থনা করল। তখন তিনি বললেন, তোমার পিতামাতা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তবে তাঁদের খিদমতের চেষ্টা কর’।[5] পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের অন্যতম মাধ্যম যা কাবীরা গুনাহ পর্যন্ত মিটিয়ে দিতে পারে।

ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত এক ব্যক্তি তার নিকট উপস্থিত হয়ে বললো,إِنِّي خَطَبْتُ امْرَأَةً، فَأَبَتْ أَنْ تَنْكِحَنِي، وَخَطَبَهَا غَيْرِي، فَأَحَبَّتْ أَنْ تَنْكِحَهُ، فَغِرْتُ عَلَيْهَا فَقَتَلْتُهَا، فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ؟ قَالَ: أُمُّكَ حَيَّةٌ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: تُبْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَتَقَرَّبْ إِلَيْهِ مَا اسْتَطَعْتَ. فَذَهَبْتُ فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ: لِمَ سَأَلْتَهُ عَنْ حَيَاةِ أُمِّهِ؟ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَعْلَمُ عَمَلًا أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ بِرِّ الْوَالِدَةِ- আমি এক মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলাম। সে আমাকে বিবাহ করতে অস্বীকার করলো। অপর এক ব্যক্তি তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে সে তাকে বিবাহ করতে পসন্দ করল। এতে আমার আত্মমর্যাদাবোধে আঘাত লাগলে আমি তাকে হত্যা করি। আমার কি তওবার কোন সুযোগ আছে? তিনি বলেন, তোমার মা কি জীবিত আছেন? সে বলল, না। তিনি বলেন, তুমি মহামহিম আল্লাহর নিকট তওবা করো এবং যথাসাধ্য তার নৈকট্য লাভে যত্নবান হও। (আতা‘ (রহঃ) বলেন) আমি ইবনে আববাস (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তার মা জীবিত আছে কিনা তা আপনি কেন জিজ্ঞেস করলেন? তিনি বলেন, আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মায়ের সাথে সদাচারণের চেয়ে উত্তম কোন কাজ আমার জানা নাই’।[6]

আল্লামা মানাবী (রহঃ) বলেন, শরী‘আতে পিতা-মাতার সম্মান এবং তাদের সাথে সদাচারণের আবশ্যকীয়তার সাথে সাথে তাদের হক্ব প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সন্তুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সাব্যস্ত রয়েছে যাকে ধারাবাহিকভাবে গণ্য করা হয়।

আল্লামা মাহাবিসী (রহঃ)কে পিতা-মাতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কি ওয়াজিব? তিনি বলেন, পিতা-মাতার আদেশ পালন করার উদ্দেশ্যই হ’ল আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। তার মধ্যে কিছু নির্দেশ রয়েছে যেগুলির কিছু ওয়াজিব এবং কিছু মুস্তাহাব। সুতরাং যখন পিতা-মাতার এবং আল্লাহর নির্দেশ মুখোমুখি হবে। তখন মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনটাই আবশ্যক হবে।

ইমাম রাযী (রহঃ) বলেন, অধিকাংশ আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, পিতামাতাকে সম্মান এবং উত্তম আচরণের সাথে সাথে তাদের প্রতি নিঃশর্ত অনুগ্রহ, ভালবাসা প্রত্যেক মুমিনের জন্য আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর’ (বনু ঈস্রাইল ১৭/২৩)

আমাদের অনেকেই পিতামাতার সাথে সদাচারণের মূল্য জানে না। কিন্তু সে যখন পিতা হয় তখন দেখা যাবে যে, সে তার সন্তানের কাছ থেকে এই কামনা করে যে তার সন্তানরা যেন তার আনুগত্য করে এবং তার সাথে সদাচারণ করে। অথচ তার ক্ষেত্রে সে তার পিতা-মাতার সাথে কেমন আচরণ করত সেটা ভুলে যায়।

এক ব্যক্তি একজন আলেমকে জিজ্ঞাসা করল, কখন আমি আমার পিতা-মাতার সাথে সাক্ষাৎ করব? তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি নিজেকে তাদের উভয়ের স্থানে রাখ। তারপর ভাব যে, তুমি কতবার তোমার সন্তানদের সাথে দেখা করতে আকাঙ্খা কর?

(৫) দান-ছাদাক্বা সম্পর্কিত আমল :

অন্যান্য আমলের মধ্যে এটি একটি আমল যার ছওয়াব একজন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্যই। আর সেটা হ’ল ধনীদের থেকে যাকাত জমা করে অভাবীদের কাছে বন্টন করে দেওয়া। রাফে‘ ইবনে খাদীজ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, الْعَامِلُ عَلَى الصَّدَقَةِ بِالْحَقِّ كَالْغَازِى فِى سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى بَيْتِهِ. ‘ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে যাকাত আদায়কারী কর্মী বাড়ীতে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী গাযীর ন্যায়’।[7]

অতএব একনিষ্ঠ নিয়তের মাধ্যমে এই ছওয়াবপূর্ণ আমলে সহযোগিতা করুন। বিশেষভাবে মানবিক সহায়তাকারী সংগঠন এবং তাদের সহযোগীদের সাহায্য করুন।

(৬) অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা ও পরিবারের জন্য রোযগার করা :

পিতা-মাতা ও পরিবারের জীবিকার ব্যবস্থা করাও জান্নাতী পথকে সুগম করে। কা‘ব বিন ঊজরা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ، فَرَأَى أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جَلَدِهِ ونَشَاطِهِ مَا أَعْجَبَهُمْ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ كَانَ هَذَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:إِنْ كَانَ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى وَلَدِهِ صِغَارًا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَإِنْ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى أَبَوَيْنِ شَيْخَيْنِ كَبِيرَيْنِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَإِنْ كَانَ يَسْعَى عَلَى نَفْسِهِ يَعِفُّها فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَإِنْ كَانَ خَرَجَ رِيَاءً وتَفَاخُرًا فَهُوَ فِي سَبِيلِ الشَّيْطَانِ- একজন ব্যক্তি নবী (ছাঃ)-এর পাশ দিয়ে অতিত্রুম করল। ছাহাবীরা শক্তিশালী ও তেজী যুবকটির পরিশ্রম দেখে আশ্চর্য হল। তারা বলল, হে রাসূল (ছাঃ) যদি লোকটি আল্লাহর রাস্তায় এমন করত। রাসূল (ছাঃ) বললেন, যদি কোন ব্যক্তি তার ছোট বাচ্চার জন্য শ্রম দেয়, তবুও সে আল্লাহর রাস্তায় আছে। যদি কোন ব্যক্তি তার বৃদ্ধ পিতা-মাতার জন্য  শ্রম দেয়, তবুও সে আল্লাহর রাস্তায় আছে। যদি কোন ব্যক্তি তার নিজের স্বচ্ছলতার জন্য চেষ্টা করে, তবুও সে আল্লাহর পথেই রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি লৌকিকতা ও অহংকারের পথে থাকে, তাহলে সে শয়তানের পথে রয়েছে’।[8]

(৭) ইলম অর্জন ও মসজিদে নববীতে পাঠদান :

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি যে, مَنْ جَاءَ مَسْجِدِى هَذَا لَمْ يَأْتِهِ إِلاَّ لِخَيْرٍ يَتَعَلَّمُهُ أَوْ يُعَلِّمُهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمُجَاهِدِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ وَمَنْ جَاءَ لِغَيْرِ ذَلِكَ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يَنْظُرُ إِلَى مَتَاعِ غَيْرِهِ. ‘যে আমার এই মসজিদে আসে এবং কেবল ভাল কাজের জন্যই আসে যা সে শিক্ষা করে বা শিক্ষা দেয় সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর ন্যায়; আর যে এটা ছাড়া অন্য কাজে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে অন্যের জিনিসকে দেখে (অথচ ভোগ করতে পারে না) [9]

(৮)  হজ্জ ও ওমরাহ :

উম্মে মা‘কাল (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,إنّ الحَجَّ والعُمْرَةَ لَمِنْ سَبِيلِ اللَّهِ وإنّ عُمْرَةً في رَمَضانَ تَعْدِلُ حَجَّةً. ‘হজ্জ্ব ও উমরাহ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ সমতুল্য। রামাযান মাসের উমরাহ হজ্জের সমান’।[10]

উছমান বিন আবু সালমান (রাঃ) তাঁর দাদী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي أُرِيدُ الْجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللهِ، فَقَالَ: أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى جِهَادٍ لَا شَوْكَةَ فِيهِ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَ:حَجٌّ الْبَيْتِ. একজন ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন আমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে চাই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি কি তোমাকে অস্ত্র ছাড়াই জিহাদের কথা বলে দিবো না। আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, সেটি হচ্ছে বায়তুল্লায় হজ্জ্ব করা’।[11]

হাসান ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,  جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنِّي جَبَانٌ، وَإِنِّي ضَعِيفٌ. قَالَ: هَلُمَّ إِلَى جِهَادٍ لَا شَوْكَةَ فِيهِ، الْحَجُّ- একজন ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন আমি ভীরু ও দুর্বল । রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি জিহাদে চলে এস, যেখানে কোন অস্ত্র নাই। আর তা হলো হজ্জ্ব’।[12] সুতরাং মনের গহীনে হজ্জ ও ওমরাহর আশা জাগান আর শত-সহস্রগুণ নেকীর আশায় ছালাত আদায়ের জন্য ছুটে চলুন কাবার পথে।

(৯) এক ছালাতের পর পরবর্তী ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা :

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,  أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ. قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ. ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন? ছাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযূ করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক ছালাতের পর দ্বিতীয় ছালাতের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও ছওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত’।[13]

আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আল্লাহর রাসূল ছাঃ) বলেন, مُنْتَظِرُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ كَفَارِسٍ يَشْتَدُّ بِهِ فَرَسُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِمِلْءِ كَشْحِهِ، تُصَلِّي عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ مَا لَمْ يُحْدِثْ أَوْ يَقُمْ، وَهُوَ فِي الرِّبَاطِ الْأَكْبَرِ- ছালাতের পর আর এক ছালাতের জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তি সেই অশ্বারোহীর সমতুল্য, যে তার অশ্বসহ আল্লাহর পথে শত্রুর বিরুদ্ধে বিক্রমের সাথে সদা প্রস্ত্তত; যে থাকে বৃহৎ প্রতিরক্ষার কাজে। আল্লাহর ফেরেশতারা তার জন্য দো‘আ করতে থাকে যতক্ষণ না সে মসজিদ থেকে চলে যায় অথবা বাতকর্ম করে না করে ফেলে’।[14]

(১০) ফেৎনার যুগে সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরা :

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, عبد الله بن مسعود رضي الله عنه  أن رسول الله  صلى الله عليه وسلم  قال : إنّ مِنْ وَرَائِكمْ زَمانَ صَبْرٍ لِلْمُتَمَسِّكِ فِيهِ أجْرُ خَمْسينَ شَهِيداً-  ‘তোমাদের পরবর্তী এমন এক ছবরের যুগ রয়েছে, তাতে রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরলে পঞ্চাশ জন শহীদের সমপরিমাণ নেকী পাওয়া যাবে’।[15]

(১১) যালেম শাসকের নিকট সত্য কথা বলা :

জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,

سَيِّد الشُّهَدَاءِ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ المُطَّلِبِ، وَرَجُلٌ قَامَ إلَى إمَامٍ جائرٍ فَأَمَرَهُ وَنَهَاهُ فَقَتَلَهُ-

রাসূল (ছাঃ) বলেন, শহীদের নেতা হলো হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব। আর সেই ব্যক্তি যে যালেম শাসকের নিকট দাঁড়িয়ে তাকে আদেশ ও নিষেধ করে (উপদেশ দেয়) অতঃপর তাকে হত্যা করা হয়’।[16]

(১২) বিপদাপদে পতিত হওয়া :

মহান আল্লাহ তাঁর ধৈর্যশীল মুমিন বান্দাদের উপর বালা-মুছীবত, অসুখ-বিসুখ প্রদানের মাধ্যমে গুনাহসমূহ মিটিয়ে দিয়ে অনুগ্রহ করেছেন। আর  তাদের মর্যাদাকেও বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। এমনকি অনেক অসুখের মাধ্যমে তাদেরকে শহীদের মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। নিম্নে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত বালা-মুছীবতসমূহ যা একজন ব্যক্তিকে শহীদের মর্যাদায় উন্নীত করতে পারে তা উল্লেখ করা হলো- 

(ক) মহামারীতে মৃত্যু:

জাবের বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (ছাঃ) বলেন,
الْفَارُّ مِنَ الطَّاعُونِ كَالفَارِّ مِنَ الزَّحْفِ وَمَنْ صَبَرَ فِيهِ كَانَ لَهُ أَجْرُ شَهِيدٍ- ‘মহামারীতে পলায়নকারী ব্যক্তি যুদ্ধের মাঠ থেকে পলায়নকারী ব্যক্তির ন্যায়। যে ব্যক্তি তথায় ধৈর্যধারণ করল, সে শহীদের মর্যাদা পেল’।[17]

(খ) সম্পদ রক্ষার্থে মৃত্যু :

আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, من قتل دون ماله فهو شهيد، وفي رواية قال : " من أريد ماله بغير حق فقاتل فقتل فهو شهيد-   ‘যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদ হেফাযত করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তির সম্পদ অন্যায়ভাবে কেউ পেতে চাইল, অতঃপর সে তার সাথে লড়াই করল, অতঃপর নিহত হল সে শহীদ’।[18]

(গ) প্রাণ, দ্বীন ও পরিবার রক্ষার্থে মৃত্যু :

সাঈদ বিন যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট শুনেছি, من قتل دون ماله فهو شهيد، ومن قتل دون دمه فهو شهيد، ومن قتل دون دينه فهو شهيد ، ومن قتل دون أهله فهو شهيد-  ‘যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদ হেফাযত করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। যে লোক তার প্রাণ রক্ষার্থে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। যে লোক তার দ্বীনের জন্য মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। যে লোক তার পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ’।[19]

(ঘ) শ্বাসকষ্টে মৃত ব্যক্তি :

উক্ববাহ বিন আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,الْمَيِّتُ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ- ‘ ফুসফুসের প্রদাহে মৃত ব্যক্তি শহীদ’।[20]

(ঙ) সমুদ্রে পীড়াগ্রস্থ ও পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি :

উম্মে হারাম (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,الْمَائِدُ فِى الْبَحْرِ الَّذِى يُصِيبُهُ الْقَىْءُ لَهُ أَجْرُ شَهِيدٍ وَالْغَرِقُ لَهُ أَجْرُ شَهِيدَيْنِ- সমুদ্রে পীড়াগ্রস্থ ব্যক্তি যে বমনে আক্রান্ত হয়ে (মৃত্যুবরণ করেছে) সে শহীদের মর্যাদা পাবে আর পানিতে ডুবে মারা গেলে সে দুইজন শহীদের মর্যাদা পাবে’।[21]  

(মায়েদ) সমুদ্র পীড়াগ্রস্থ ব্যক্তি হলো যার সমুদ্রের প্রবল বাতাস ও প্রচন্ড ঢেউয়ের ফলে মারা ঘুরতে থাকে (বমি ও মাথা ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে সে মারা যায়)’।[22]

মোল্লা ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধ, হজ্জ, জ্ঞানার্জন অথবা ব্যবসায় ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্য ছাড়াও সমুদ্র ভ্রমণে গিয়ে মাথা ঘুরতে মারা যায় তবে সে শহীদের মর্যাদা পাবে’।[23]

রাশেদ বিন হুবাইশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,القتل في سبيل الله شهادة، والطاعون شهادة، والغرق شهادة، والبطن شهادة، والحرق شهادة، والسيل، والنفساء يجرها ولدها بسررها إلى الجنة- ‘আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি শহীদ, মহামারীতে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, বন্যার স্রোতে মৃত ব্যক্তি শহীদ, সন্তান জন্মদানের পর মৃত মহিলা যাকে তার নবজাতক সন্তান তার নাড়ি দিয়ে টানতে টানতে জান্নাতে নিয়ে যাবে’।[24]

(চ) পেটের পীড়া ও ভুমিধ্বসে মৃত ব্যক্তি :

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ الْمَطْعُونُ ، وَالْمَبْطُونُ ، وَالْغَرِيقُ ، وَصَاحِبُ الْهَدْمِ ، وَالشَّهِيدُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ. ‘পাঁচজন ব্যক্তি শহীদ। ১. মহামারীতে মৃত ব্যক্তি, ২. পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি। ৩. পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি। ৪. ভূমিধ্বসে মৃত ব্যক্তি। ৫. আল্লাহর পথে নিহত শহীদ ব্যক্তি’।[25]

(ছ) অগ্নিদগ্ধ ও গর্ভবতী :

জাবির ইবনু আতীক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, الشَّهَادَةُ سَبْعٌ سِوَى الْقَتْلِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ الْحَرِيقِ شَهِيدٌ وَالَّذِى يَمُوتُ تَحْتَ الْهَدْمِ شَهِيدٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدٌ-  ‘আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে এরূপ ব্যক্তি ছাড়াও সাত শ্রেণীর লোক শহীদের মর্যাদা পাবে। ১. মহামারীতে মৃতব্যক্তি শহীদ, ২. ডুবে মারা গেছে এরূপ ব্যক্তি শহীদ। ৩. ফুসফুসের প্রদাহে (শ্বাসকষ্ট) মৃত ব্যক্তি শহীদ। ৪. পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ। ৫. যে ব্যক্তি পুড়ে মারা গেছে সে শহীদ। ৬. কোন কিছু চাপা পড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি শহীদ এবং ৭. প্রসবকষ্টে মৃত নারী শহীদ’।[26]

‘মাবতুন’ হলো পেটের সমস্যাজনিত মৃত্যু। কেউ বলেন, বাচ্চাসহ মৃত মহিলা। কেউ কেউ বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কা মহিলা। অপর হাদীছে এসেছে, যে মহিলা বাচ্চা প্রসবের পর নিফাস অবস্থায় মারা যায় সেও শহীদ।

আব্দুল্লাহ বিন বিসর (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, القةيل في سبيل الله شهيد والمبطون شهيد والمطعون شهيد والغريق شهيد والنفساء شهيدة-  আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি শহীদ, পেটের রোগে মৃতব্যক্তি শহীদ, মহামারীতে মৃতব্যক্তি শহীদ, ডুবে মারা গেছে এরূপ ব্যক্তি শহীদ ও নিফাসওয়ালী মৃত মহিলা শহীদ’।[27]

(জ) যক্ষ্মারোগে মৃত্যু :

উবাদা বিন ছমেত হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, السِّلُ شهادة. যক্ষ্মারোগী শহীদ’।[28]

[লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ, রাজশাহী মহানগরী পূর্ব সাংগঠনিক উপযেলা ]

[1]. ফাৎহুল বারী ৬/১৬ পৃঃ, হা/২৭৯০।

[2]. বুখারী হা/৫৩৫৩; মুসলিম হা/২৯৮২; মিশকাত হা/ ৪৯৫১।

[3]. আবুদাউদ হা/২৪৪০; ইবনু মাজাহ হা/১৭২৭; মিশকাত হা/ ১৪৬০।

[4]. বুখারী হা/৫২৭; মুসলিম হা/২৬৪; সিলসিলা ছহীহাহ হা/ ১৪৮৯।

[5]. বুখারী হা/৩০০৪; মুসলিম হা/২৫৪৯; নাসাঈ হা/৩১০৩।

[6]. আদাবুল মুফরাদ হা/৪; সিলসিলা আল-আছারুছ ছহীহাহ হা/১৯৭।

[7]. আবুদাউদ হা/ ২৯৩৮; ইবনু মাজাহ হা/১৮৮১; মিশকাত হা/১৭৮৫।

[8]. মু‘জামুল আওসাত হা/ ৬৮৩৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১৪২৮।

[9]. ইবনু মাজাহ হা/২২৭; মিশকাত হা/৭৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬১৮৪।

[10]. ছহীহুল জামে‘ হা/১৫৯৯।

[11]. ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১১।

[12]. ছহীহুল জামে‘ হা/৭০৪৪।

[13]. মুসলিম হা/২৫১; তিরমিযী হা/৫১; নাসাঈ হা/১৪৩।

[14]. আহমাদ হা/ ৮৬২৫; ত্বাবারানীর কাবীর হা/ ১১৭৫; আওসাত্ব হা/ ৮১৪৪; ছহীহ তারগীব হা/৪৫০।

[15]. ছহীহুল জামে‘ হা/২২৩৪।

[16]. ছহীহুল জামে‘ হা/৩৬৭৫।

[17]. ছহীহুল জামে‘ হা/৪২৭৭।

[18]. বুখারী হা/২৪৮০; তিরমিযী হা/১৪১৮; আবুদাউদ হা/৪৭৭১; নাসাঈ হা/৪১০১; ইবনু মাজাহ হা/২৫৮১।

[19]. তিরমিযী হা/১৪২১; আবুদাউদ হা/৪৭৭২।

[20]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৩৮।

[21]. আবুদাউদ হা/৪৭৭২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৬৪২।

[22]. মিরকাতুল মাফাতীহ ৭/৪০১ পৃঃ।

[23]. ঐ।

[24]. ছহীহুল জামে‘ হা/৪৪৩৯।

[25]. বুখারী হা/২৮২৯; মুসলিম হা/১৯১৪; তিরমিযী হা/১০৬৩।

[26]. আবুদাউদ হা/৩১১৩; মিশকাত হা/১৫৬১।

[27]. ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৩৯।

[28]. ছহীহুল জামে‘ হা/৩৬৯১।




আরও