দক্ষিণ এশিয়ায় আহলেহাদীছ আন্দোলন
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব 722 বার পঠিত
আধুনিক যুগঃ ৪র্থ পর্যায় (সাংগঠনিক)
دور الجديد: المرحلة الرابعة (التنظيمى)
ইমামত ও ইমারত-এর মাসআলা (مسئلة الإمارة)
মুসলিম উম্মাহ্ ইসলামী হুকুমতের অধীনে অথবা অনৈসলমী হুকুমতের অধীনে শাসিত অবস্থায় তারা কুরআন-হাদীছে পারদর্শী একজন আমীরের অধীনে জামা‘আতবদ্ধ থাকবে কি থাকবে না, এ বিষয়ে ভারতের আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরাম ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। ইমামতপন্থী আহলেহাদীছগণ ইমামের বায়‘আতসহ জামা‘আতবদ্ধ জীবনযাপন করা ফরয বলেন। যদি তা না হয় তাহলে তাঁদের মতে জাহেলী হালতে মৃত্যুবরণ করার অবস্থা ‘হদ’ জারি করার দায়িত্ব হুকুমতের ‘আমীর’-এর উপরে পুরোপুরি ন্যস্ত থাকবে। কিন্তু তার অবর্তমানে আমীর জামা‘আতের উপরে শারঈ অনুশাসনমূলক শাস্তি দানের ক্ষমতা থাকবে। তাঁরা বলেন, আমীরে জামা‘আতের জন্য ‘হদ’ যুদ্ধ করা, প্রভৃতির জন্য ‘হুররিয়াত’ বা স্বাধীন হওয়া শর্ত নয়। আমীর ‘সিয়াসাতে শারঈ’র মালিক। ‘সিয়াসাতে মুল্কী’-র ক্ষেত্রে অপরিহার্য কোন বিধি তার জন্য প্রযোজ নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাক্কী জীবনে ‘সিয়াসাতে শারঈ’র মালিক ছিলেন। কিন্তু ‘সিয়াসাতে মুলকী’-র মালিক হন মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হওয়ার পরে। দাঊদ ও সুলায়মান ব্যতিত কোন নবীই ‘সিয়াসাতে মুল্কী’-র অধিকারী ছিলেন না। কিন্তু সকল নবীই ‘সিয়াসাতে শারঈ’-এর মালিক ছিলেন। তাঁরা বলেন, এমনকি তিনজন একস্থানে থাকলেও মুসলিম উম্মাহ্কে একজন আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী অনুশাসক মোতাবেক জীবনযাপন করতে হবে। এজন্য ইমামকে কুরায়শী হওয়া শর্ত নয়, তবে উত্তম। ইমামবিহীন কোন দলকে তাঁরা ‘জামা‘আত হিসাবে গণ্য করেন না। তাঁরা বলেন, একটি সকাল বা একটি সন্ধ্যাও ইমামবিহীন জীবন যাপন করা শরীয়তে বৈধ নয়। তাঁদের দলীলসমূহের প্রধানতঃ নিম্নরূপঃ-[1]
‘যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ সে বায়‘আত করল না, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরণ করল, (মুসলিম) (খ) বিভিন্ন বিষয়ে বায়‘আত গ্রহণ সম্পর্কিত বুখারী, নাসাঈসহ ছিহাহ্ সিত্তাহর বিভিন্ন হাদীছসমূহ (গ) ‘তিনজন ব্যক্তির জন্যও হালার নয় কোন নির্জন ভূমিতে অবস্থান করা তাদের মধ্যে একজনকে ‘আমীর’ না মানা পর্যন্ত (আহমাদ), ‘তিনজন ব্যক্তি সফরে বের হলে তাদের একজনকে আমীর নিযুক্ত করতে হবে’ (আবুদাঊদ)- এই মর্মের অন্যান্য হাদীছ (ঘ) জামা‘আত গঠন ও আমীর নিয়োগের ব্যাপারে আবুবকর (রাঃ), ওমর (রাঃ), আলী (রাঃ)-এর বর্ণিত আছারসমূহ (ঙ)‘ইমাম’ বা ‘আমীর’ হিসাবে কাউকে গ্রহণ করা ব্যতীত তোমাদের কেউ যেন না ঘুমায় বা সকাল না কলে’- হাদীছ (ইবনু আসাকির)
বিরোধী পক্ষের বক্তব্য
গোরাবা ও মুজাহিদীন-এর বাইরে ইমামতবিরোধী আলিমগণ উপরোক্ত হাদীছ ও আছারসমূহের পাল্টা কোন হাদীছ বা আছার উপস্থাপন করতে পারেননি, তবে কিছু যুক্তি ও ব্যাখ্যা পেশ করেছেন। তাঁরা হাদীছে বর্ণিত ইমাম বা আমীরকে জিহাদকারী, শারঈ হদ বা শাস্তি প্রদানের ক্ষমতার অধিকারী হওয়া পূর্বশর্ত হিসাবে গণ্য করেন না-যা পরিত্যাগ করলে গোনাহগার হ’তে হবে। অবশ্য সাংগঠনিক শৃংখলা বিধানের জন্য তাঁরা আর পাঁচটি সামাজিক সংগঠনের ন্যায় ‘ছদর’ ‘রঈস’ বা সভাপতি এমনকি ‘আমীর’ নির্বাচনও সমর্থন করে থাকেন।[2]
বর্তমান সময়ের জনৈক কুয়েত আহলেহাদীছ আলিম উপরোক্ত হাদীছগুলিকে দু’টি পৃথক ক্ষেত্রের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন। প্রথমোক্ত হাদীছে যেখানে আনুগত্যের বায়‘আত ব্যতীত জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরণের কথা বলা হয়েছে, সে হাদীছগুলিকে ‘জামা‘আতে আম্মাহ’ বা সাধারণ মুসলমানদের সম্মিলিত সমাজ ও রাষ্ট্রনেতার আনুগত্য বুঝানো হয়েছে। এতদ্ব্যতীত ধর্মীয় উন্নতি ও অগ্রগতির সকল কাজে যোগ্য আমীরের অধীনে বিশেষ বিশেষ ‘জামা‘আতে গঠন করে ইসলামী বা অনৈসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে ইসলামী দা‘ওয়াত পরিচালনার অপরিহার্যতা বুঝানো হয়েছে বাকী হাদীছগুলিতে। এই সকল জামা‘আতেকে তিনি ‘জামা‘আতে খাছ্ছাহ’ বা বিশেষ জামা‘আত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানের সর্বব্যাপী জাহেলিয়াতের যুগে যখন কোন মুসলিম রাষ্ট্রেই যথাযথভাবে ইসলামী আইন ও শাসনব্যবস্থা চালু নেই, সে অবস্থায় পৃথিবীর সকল স্থানে খাছ খাছ জামা‘আত গঠনের মাধ্যমে ইসলামের দা‘ওয়াত ও প্রচার কার্য চালিয়ে যাওয়া এবং ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী জীবনযাপন করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের জন্য ফরয। ‘জামা‘আতে খাছ্ছাহ’গুলি পরস্পর ন্যায়ের কাজে সহযোগিতর করবে এবং সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ‘জামা‘আতে আম্মাহ’ পঠনের চেষ্টা করবে।[3]
ইমামত বা ইমারতবিরোধী আলিমগন ইমারত প্রতিষ্ঠিার জন্য যে সকল শর্তারোপ করেছেন সেগুলি কল্পনাপ্রসূত, যার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন- ‘শত শর্তারোপ করা হৌক না কেন, যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে উল্লেখ নেই, তা বাতিল’ (বুঃ মৃঃ।[4] ইসলাম তার অনুসারীদেরকে তাগূতের নিকটে বিচার-ফায়ছালা নিয়ে যেতে নিষেধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম থাকা না থাকার সঙ্গে শর্তযুক্ত নয়। তাই যে পরিবেশেই থাকুক না কেন মুসলমানকে সর্বদা ইসলামী অনুশাসন মোতাবেক তার দ্বীনী ও দুনিয়াবী জীবন পরিচালনা করতে এবং সংখ্যায় কম থাকা বা বেশী থাক সর্বদা তাকে জামা‘আতবদ্ধভাবে ইসলামী নেতৃত্বের অধীনে জীবনযাপন করতে হবে। সেই জামা‘আতের যিনি নেতৃত্ব দিবেন তিনিই হবেন ‘আমীর’। সকল মা‘রূফ বা শরীয়ত অনুমোদিত ন্যায়কার্যে আমীরের নির্দেশ পালন করা মামূরের জন্য ফরয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, .... যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করল সে আমার আনুগত্য করল, যে আমীরের অবাধ্যতা করল, যে আমার অবাধ্যতা করল (বুঃ মৃঃ।[5] (চলবে)
[বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ (পিএইচ.ডি থিসিস) শীর্ষক গ্রন্থ পৃঃ ৩৬৫-৩৬৮)]
[1]. (ক)(الف) و عن عبد الله بن عمر قال سمعت رسول الله (ص). يقول... و من مات و ليس في عنقه بيعة مات ميتة جاهلية رواه مسلم في كتاب الامارة ح১৮৫১. و في مشكوة. ط/ بيروت ح৩৬৭৪-
(খ) নাসাঈ শরীফ বিভিন্ন প্রকার বায়‘আতের ১৭টি অধ্যায় রচনা করা হয়েছে যেমনঃ-
(ب) =১- باب البيعة علي السمع و الطاعة ২- البيعة علي ان لا ننازع الامر اهله ৩-البيعة علي القول بالحق ৪- البيعة علي القول بالعدل
৫- البيعة علي الاثرة ৬-البيعة علي النصح لكل مسلم ৭- البيعة علي ان لا نفر ৮- البيعة علي الموة ৯- البيعة علي الجهاد ১০- البيعة علي الهجرة ১১- البيعة علي فيما احب و اكره ১২- البيعة علي فراق المشرك ১৩- بيعة النساء ১৪- بيعة من به عاهة ১৫- بيعة الغلام ১৬- بيعة علي المماليك ১৭- البيعة فيما يسةطيع الانسان- (نسائ ج২ كةاب البيعة)-
كذلك روي البخاري و مسلم وعن عبادة بن الصامت قال : بايعنا رسول الله صلى الله عليه وسلم على السمع والطاعة في العسر واليسر والمنشط والمكره وعلى أثرة علينا وعلى أن لا ننازع الأمر أهله وعلى أن نقول بالحق أينما كنا لا نخاف في الله لومة لائم . وفي رواية : وعلى أن لا ننازع الأمر أهله إلا أن تروا كفرا بواحا عندكم من الله فيه برهان مشكوة. بيروت. ১৯৮৫ح৩৬৬৬.ج২ص৮৬. ১) و روي مسلم عَنْ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ الأَشْجَعِىُّ قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً فَقَالَ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ وَكُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ فَقُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ. فَقُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ.قَالَ فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا وَقُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلاَمَ نُبَايِعُكَ قَالَ عَلَى أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَالصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ وَتُطِيعُوا وَأَسَرَّ كَلِمَةً خَفِيَّةً وَلاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا. فَلَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُ أَحَدِهِمْ فَمَا يَسْأَلُ أَحَدًا يُنَاوِلُهُ إِيَّاهُ.(رياض الصالحين للنووي.بيروت 1989.ص267. باب القناعة و العفاف و الاقتصاد-
(গ)(ج) عن أبي سعيد الخدري: أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال "إذا خرج ثلاثة في سفر فليؤمروا أحدهم رواه ابو داؤد.. و قد اخرجه الامام أحمد بلفظ: لا يحل لثلاثة نفر يكونون بفلاة من الأرض إلا أمروا عليهم أحدهم)- صحيح الجامع رقم.. 5سلسلة الاحاديث الصحيحة للالباني رقم 1322-
(ঘ)(د) عن ابي بكر (رض) قال.. لَا بُدَّ لِلنَّاسِ مِنْ إِمَارَةٍ. رواه الطبراني في الكبير- عن عمر بن الخطاب (رض) انه قال... لاَ إِسْلاَمَ إِلاَّ بِجَمَاعَةٍ، وَلاَ جَمَاعَةَ إِلاَّ بِإِمَارَةٍ، وَلاَ إِمَارَةَ إِلاَّ بِطَاعَةٍ-رواه الدارمي. نقله ابن عبد البر في جامع بيان العلم و فضله ج 1 ص 62- و عن علي (رض) انه قال.. لا يصلح للناس الا امير. رواه البيهقي في شعب الايمان)-
(ঙ)(ه) عن حذيفة مرفوعا قال قال رسول الله (ص) من استطاع منكم ان لا ينام نوما ولا يصبح صبحا الا و عليه امام فليفعل. نقله ابن عساكر- فتاوي علماء كرام در باره تقرر امام.كراچی. ص.1. 43-
[2]. (ক) মাওলানা ছানাউল্লাহ (১৮৬৮-১৯৪৮ খৃঃ) সম্পাদিত ও অমৃতসর হ'তে প্রকাশিত উর্দূ সাপ্তাহিক ‘আখবারে আহলেহাদীছ’ ৩৪ বর্ষ ২৪, ৩৫ ও ৪১ সংখ্যা মোতাবেক ১৯৩৭ সালের ২৩শে এপ্রিল, ৯ই জুলাই ও ১৩৫৬ হিজরীর ১২ই জমাদিউছ ছানী যথাক্রমে ৩-৫, ৪-৫ ও ৬ষ্ঠ পৃঃ (খ) পাকিস্তানের সাপ্তাহিক ‘আল-ই‘তিছাম’ ১৯শ বর্ষ ৫০ সংখ্যা ২০ বর্ষ ৩য় সংখ্যা মোতাবেক ১৯৬৮ সালের ১২ই জুলাই ও ১৬ই আগষ্ট তারিখে ‘ফৎওয়া’ অধ্যায়ে প্রকাশিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান জমঈয়তে আহলেহাদীছের আমীর হাফেয মুহাম্মাদ গোন্দলবী প্রদত্ত ফৎওয়া এবং (গ) দিল্লী'তে ইমামতপন্থীদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘ফাতাওয়া’ উলামায়ে কেরাম দর বারায়ে তাক্বার্রুরে ইমাম’ মুনাযারা অধ্যায় পৃঃ ৩৮-৫৩ অবলম্বন।
[3]. নিবন্ধকারঃ আবদুর রহমান খালেক, নিবন্ধঃ উছূলুল ‘আমালিল জিমা‘ঈ (জামা‘আত সংগঠনের মূলনীতি সমূহ) মাসিক ‘আল-ফুরক্বান’ (ছাফাত-কুয়েতঃ ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও এপ্রিল সংখ্যা ১৯৯০ খৃঃ) দ্রষ্টব্য।
[4].عن عائشة (رض) قالت قال رسول الله (ص)...منْ شَرط لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ...متفق عليه. مشكوة كتاب البيوع ح2877- মুত্তফাক আলাইহ, মিশকাত (বৈরতঃ ১৯৮৫) ‘বুয়ূ’ অধ্যায়, হা/১৮৭৭ ২য় খন্ড পৃঃ ৮৭০-৭১।
[5].عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ مَنْ أَطَاعَنِى فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ، وَمَنْ عَصَانِى فَقَدْ عَصَى اللَّهَ، وَمَنْ يُطِعِ الأَمِيرَ فَقَدْ أَطَاعَنِى، وَمَنْ يَعْصِ الأَمِيرَ فَقَدْ عَصَانِى، وَإِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ، فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَعَدَلَ، فَإِنَّ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرًا، وَإِنْ قَالَ بِغَيْرِهِ، فَإِنَّ عَلَيْهِ مِنْهُ. متفق عليه. مشكوة. كتاب الامارة و القضاء.ح3661-
মুত্তফাক আলাইহ, মিশকাত (বৈরত ছাপা ১৯৮৫) ‘ইমারত’ অধ্যায়, হা-৩৬৬১, ২য় খন্ড পৃঃ ১০৮৫।